সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে - কবি মৃদুল দাশগুপ্ত

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা : ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ক্রন্দনরতা জননীর পাশে এখন যদি না-থাকি কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া কেন তবে আঁকাআঁকি? নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে না-ই যদি হয় ক্রোধ কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ কিসের মূল্যবোধ! যে-মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন জঙ্গলে তাকে পেয়ে আমি কি তাকাবো আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে? আমি তা পারি না। যা পারি কেবল সে-ই কবিতায় জাগে আমার বিবেক, আমার বারুদ বিস্ফোরণের আগে। ----------xx--------- 👁️‍🗨️ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর :  এখানে ক্লিক করো ।

কবিতা : ‘আমি দেখি’ : শক্তি চট্টোপাধ্যায়

 কবিতা : ‘আমি দেখি’ কবিতা : ‘আমি দেখি’ : শক্তি চট্টোপাধ্যায় কবি : শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘Aami Dekhi’ - a Poetry, written by Sakti Chattopadhyay  গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও আমার দরকার শুধু গাছ দেখা গাছ দেখে যাওয়া গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরবদের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন বহুদিন জঙ্গলে যাইনি বহুদিন শহরেই আছি শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে...                               তাই বলি, গাছ তুলে আনো                               বাগানে বসাও আমি দেখি                               চোখ তো সবুজ চায়!                               দেহ চায় সবুজ বাগান                               গাছ আনো, বাগানে বসাও।                               আমি দেখি।। --------xxx------ এই 👉 (আমি দেখি) কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো ।

কবিতা 'মহুয়ার দেশ' - কবি সমর সেন

কবিতা : মহুয়ার দেশ কবিতা : 'মহুয়ার দেশ কবি : সমর সেন ১ মাঝে মাঝে সন্ধার জলস্রোতে পলাশ সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ, আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়। সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো। অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ, সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য, আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল নামুক মহুয়ার গন্ধ।                                             ২                                             এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে                                             মাঝে মাঝে শুনি                                             মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির                                             গভীর, বিশাল শব্দ,                                             আর শিশিরে-ভেজা সবুজ সকালে                                             অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,                                    

রূপ-নারানের কূলে। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিতা: রূপনারানের কূলে। কবি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপ-নারানের কূলে জেগে উঠিলাম , জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয় । রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ , চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়; সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম , সে কখনো করে না বঞ্চনা । আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন , সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে , মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ ক’রে দিতে । --------xx------- 📃 ‘রূপ নারানের কূলে’ কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো ।

শিকার। কবিতা - কবি জীবনানন্দ দাশ

কবিতা। শিকার - কবি জীবনানন্দ দাশ ভোর; আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল : চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ। একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে : পাড়াগাঁর বাসরঘরে সব চেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির মতো; কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে-মুক্তা                আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিলো হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে তেমনি — তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও। হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালীরা                  সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে— মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন; শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের; সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর; হ’য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো। সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ                          ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে। ভোর; সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে-ঘুরে! সুন্দর বাদামী হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিলো! এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে; কচি বাতাবী লেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে-