সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি । প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলা বই - দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চমাধ্যমিক 'বাংলা বই'য়ে👨তোমাকে স্বাগত 💁 তোমার প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরটি পেতে ওপরের মেনু বারের বিষয় মেনুতে ক্লিক করো । গল্পের প্রশ্ন চাইলে ‘ গল্পের  প্রশ্ন’  ট্যাবে , কবিতার প্রশ্ন চাইলে ‘ কবিতার প্রশ্ন’ ট্যাবে ক্লিক করো ।  এভাবে প্রয়োজনীয় বিষয়ের  ট্যাবে  ক্লিক করে প্রশ্নের পাতায় যাও। সেখানে দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশ্ন ও উত্তর খোঁজ। অথবা নিচের প্রয়োজনীয় লিঙ্কে ক্লিক করো। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো। ১)  দ্বাদশ শ্রেণির গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ২)  দ্বাদশ শ্রেণির কবিতা 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৩)  দ্বাদশ শ্রেণির নাটক 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৪)  আন্তরজাতিক কবিতা ও ভারতীয় গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৫)  দ্বাদশ শ্রেণির পূর্নাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ  👉  প্রশ্ন ও উত্তর ৬)  দ্বাদশ শ্রেণির শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৭)  দ্বাদশ শ্রেণির ভাষা বিভাগ 👉   প্রশ্ন ও উত্তর   ৮)  দ্বাদশ শ্রেণির প্রবন্ধ  👉   প্রবন্ধের তালিকা ৯)  দ্বাদশ শ্রেণির প্রুফ সংশোধন  👉   নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর ১
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান্ — অতুল প্রসাদ সেন  ভূমিকা : জাতীয় সংহতি হল একটি দেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি সাধারণ পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা। এর অর্থ হল, আমাদের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও, আমরা এই সত্যকে স্বীকার করি যে, আমরা সবাই এক। এটি কেবল একটি জাতীয় অনুভূতি নয়, এটা সেই চেতনা যা সমস্ত উপভাষা ও বিশ্বাসের মানুষকে একই প্রচেষ্টায় একত্রিত করে। জাতীয় একীকরণের সংজ্ঞা: ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণ বলেছেন, national integration cannot be made by bricks and mortar, mould and hammer, but it quietly grows in people’s minds through education.1️⃣ এইচ এ গণি সংজ্ঞায়িত করেছেন, “National integration is a socio-psychological and educational process through which a feeling of unity and harmony develops in the hearts of the people and a sense of common citizenship or feeling of loyalty to the nation is fostered among them”2️⃣ এককথায়, জাতীয় সংহতির ধারণার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক

বাংলার ঋতুরঙ্গ বা বাংলা ঋতু বৈচিত্র্য

 বাংলার ঋতুরঙ্গ বা ঋতু বৈচিত্র্য বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। — জীবনানন্দ দাস ভূমিকা : ঋতুবৈচিত্র্যের বর্ণিল উপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিপূর্ণ। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই বাংলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যময় ঋতুরূপ। ভিন্ন ভিন্ন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতু ঘুরে ফিরে আসে এই বাংলায়। প্রতিটি ঋতুই স্বতন্ত্র সৌন্দর্যে অপরূপা। বাংলা প্রকৃতির এই অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়ে জীবনানন্দ দাশ একে ‘ রূপসী বাংলা ’ বলে অভিহিত করেছেন। ঋতু বৈচিত্রের কারণ : বাংলাদেশ  কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থিত। এখানকার আবহাওয়াতে তাই নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। এখানেই রয়েছে বাংলার ঋতু বৈচিত্রের মূল চাবিকাঠি।  নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত এখানে হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হয় প্রচুর বৃষ্টিপাত। ছয় ঋতুর ‘রূপসী বাংলা’ : বাংলার এই ছটি ঋতু যেন বিনি সুতোয় গাঁথা মালার মতো। এই মেলায় পর পর গাঁথা আছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও ঋতুরাজ বসন্ত। প্রতি দুই মাস অন্তর

প্রবন্ধ : ভগিনী নিবেদিতা

ভগিনী নিবেদিতা ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ভগিনী নিবেদিতার নাম। পৈত্রিক সূত্রে তিনি ছিলেন স্কচ। আধুনিক ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ও ধর্মনেতা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারতবর্ষে আসেন। ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা নেন। ভারতে সমাজ সেবা ও নারী শিক্ষার প্রসারেও নিবেদিতার ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও বংশ পরিচয় : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল ছিলেন ধর্মযাজক। মায়ের নাম মেরি ইসাবেলা। মাত্র দশ বছর বয়সে মার্গারেটের বাবা মারা যান। তারপর তাঁর দাদামশাই তথা আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হ্যামিলটন তাঁকে লালনপালন করেন। শিক্ষাজীবন : মার্গারেট লন্ডনের চার্চ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর হ্যালিফ্যাক্স কলেজে তিনি ও তাঁর বোন মেরি পড়াশোনা করেছিলেন। কর্মজীবন : ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে, সতেরো বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে মার্গারেট শিক্ষিকার পেশা গ্রহণ করেন। দু’বছরের জন্যে কেসউইকের একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ান। এরপরে একে

ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার

ছাত্র জীবনের সৌজন্য ও শিষ্টাচার মানব জীবনে শিষ্টাচার, ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ভদ্রতা আত্মীয়তার চেয়ে কিছু কম এবং সামাজিকতার চেয়ে কিছু বেশি। - ইন্দিরাদেবী চৌধুরাণী ভূমিকা? ইংরেজীতে যাকে বলে Etiquette; good manners; formality; বাংলায় তাকেই বলে শিষ্টাচার। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক গুণাবলির অন্যতম হল এই সৌজন্য ও শিষ্টাচার। দেহের সৌন্দর্ৎ বৃদ্ধি পায় যেমন অলঙ্কারে, তেমনি আত্মার সৌন্দর্য বাড়ে শিষ্টাচারে। অলঙ্কার বাইরের সামগ্রী আর শিষ্টাচার অন্তরের। এবং সৌজন্যবোধ হলো তার মার্জিত প্রাত্যহিক জীবনচর্চা। সৌজন্য ও শিষ্টাচারের বৈশিষ্ট্য : ১) জীবনবিকাশে র ক্ষেত্রে শিষ্টাচার, ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধ অপরিহার্য । চলনে-বলনে, আচরণে, পোশাক-পরিচ্ছদে এবং ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য ও চারিত্রিক দীপ্তি প্রকাশেও এই গুণগুলো ক্রিয়াশীল থাকা জরুরি। ২) ঘরে বাইরে সর্বত্র শিষ্ট ও সৌজন্যমূলক আচরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শিষ্টাচার হল একটি অপরিহার্য চারিত্রিক সম্পদ এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক ঐশ্বর্য । ৩) শিষ্টাচার বা সৌজন্যবোধ নিজের অসুবিধা সত্ত্বেয় পরের সুবিধা করে দিতে উৎসুক থাকে। শুধুমাত্র  আত্মস

অরণ্য, অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ, ও মানব জীবন

 অরণ্য, অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ, ও মানব জীবন দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর, লও যত লৌহ লৌষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর হে নবসভ্যতা! - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিকা : ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালের  প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণীকুল বাঁচাই’। বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকুলের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই হল এই দিবসের মূল লক্ষ্য। অরণ্য ও মানব জীবন : সৃষ্টির শুরু থেকেই অরণ্য ছিল মানুষের পরম আত্মীয়, অকৃত্রিম বন্ধু । অরণ্যই দিয়েছে মানুষকে বেঁচে থাকার রসদ। নানা রকম ফলমূল সহ পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, বাতাসে জলীয় বাষ্প প্রদান ও কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে মানব জীবনকে দিয়েছে সুরক্ষা। শুধু তাই নয়, অনেক জীবের বাসস্থানরূপেও কাজ করে আসছে এই অরণ্য। তাই গাছ কাটা হলে, পরিবেশের ভারসাম্যের পাশাপাশি বাস্তুতন্ত্রও ব্যাহত হয়। সুতরাং অরণ্য ধ্বংস মানেই বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়। আর এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হল পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি। এছাড়াও বন্যা,খরা

বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার

 বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার যুক্তিতে মেলায় মুক্তি, বিশ্বাসে বহুদূর — আলী হোসেন    বিজ্ঞান কী? ল্যাটিন শব্দ ‘সায়েন্টিয়া’ থেকে ইংরেজি ‘সায়েন্স’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় ‘বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ ‘বিশেষ জ্ঞান’। প্রকৃত অর্থে, বিজ্ঞান হল প্রকৃতি সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা যায়। এবং যা প্রয়োগ করে কোনো বিষয় সম্পর্কে প্রকৃত সত্যে পৌঁছানো যায়। বিজ্ঞানমনস্কতা কী? বিজ্ঞানমনস্কতা হল এক বিশেষ মানসিকতা যা প্রচলিত বিশ্বাসকে সরিয়ে রেখে মানুষকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রকৃত সত্যে পৌঁছাতে উৎসাহিত করে। সত্যে পৌঁছানোর এই পদ্ধতিকে বলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।  বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতার উৎপত্তি : মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই কিছু মানুষ পার্থিব নানা জটিল সমস্যার সমাধানকল্পে বিশ্বাসের পরিবর্তে কার্যকারণ সম্পর্ককে আশ্রয় করে। অর্থাৎ প্রকৃতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করে। এদের হাত ধরেই জন্ম

রচনা : মৃণাল সেন

প্রবন্ধ রচনা : মৃণাল সেন ভূমিকা : মৃণাল সেন ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারিত হতো তার নামও। জন্ম ও শিক্ষাজীবন :  মৃণাল সেন ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম । এখানেই তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। এর পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাথমিক কর্ম :  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি সাংবাদিকতা, ওষুধ বিপণনকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। চল্লিশের দশকে মৃণাল সেন ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর চলচ্চিত্রে শব্দকুশলী হিসেবেও কাজ শুরু করেন। রাজনৈতিক দর্শন :  আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী মৃণাল সেন দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হন। ছবি পরিচালনা : বাংলা, ওড়ইয়আ, হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি বহুভাষিক চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ব

পরিবেশ দূষণের কারণ ও তার প্রতিকার

পরিবেশ দূষণের কারণ ও তার প্রতিকার পরিবেশ দূষণ ঃ প্রাকৃতিক কারণে অথবা মানুষের কার্যকলাপে উদ্ভূত দূষিত পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে তোলে। পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন ঘটে যা জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। এটিকে পরিবেশ দূষণ বলে।  পরিবেশ দূষণের কারণ ঃ ১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি  :  ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনজঙ্গল কেটে বসতবাড়ি তৈরি করা হয়। ফলে বৃষ্টিপাত কমে, স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে কলুষিত হয়, অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে অধিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয়। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। ২। নগরায়ন : নগরায়নের ফলে কলকারখানা ও গাড়ি বাড়ছে। ফলে কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণের সৃষ্টি করছে। গাড়ির হর্ণ থেকে শব্দ দূষণ হচ্ছে। আবার নদীর পানিতে কলকারখানার আবর্জনা মিশে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। কাজের আশায়  শহরে এলে বস্তি গড়ে উঠে। এই বস্তিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার অব্যবস্থা ও সচেতনতার অভাব পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।  ৩। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যা  : সমগ্র বিশ্বে জলবায়ুর পরিবর্তনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রবন্ধ রচনা : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভূমিকা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত একাধারে একজন মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। শিক্ষাজীবন : মধুসূদন দত্ত শিক্ষা গ্রহণ পর্ব শুরু হয় মায়ের তত্ত্বাবধানে সাগরদাঁড়ির পাঠশালায়। পরে সাত বছর বয়সে কলকাতা আসেন এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন।  এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তী জীবনে স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কলেজের পরীক্ষায় তিনি বরাবর বৃত্তি পেতেন। এ সময় নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিলেত যাওয়ার। তাঁর ধারণা ছিল বিলেতে যেতে পারলেই বড় কবি হওয়া যাবে।  এই উদ্দেশ্যেই ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্র

তোমরাও হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো

“তোমরাও হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো।” — ২০১৬ ক) লেখক কাকে সাহায্য করতে বলেছেন? খ) তাকে কেন সাহায্য করতে বলেছেন? গ) কীভাবে সাহায্য করতে বলেছেন? ক) লেখক কাকে সাহায্য করতে বলেছেন? উদ্ধৃত অংশটি ‘আমার বাংলা’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নামক রচনার অন্তর্ভুক্ত। এটি লিখেছেন সাম্যবাদী ঘরাণার লেখক ও প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এই রচনায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন ১২-১৩ বছর বয়সী কিশোরের কথা বলেছেন। সে দু’পায়ে নয়, চার হাত-পায়ে হাঁটে। কারণ, দীর্ঘ অনাহারে থাকতে থাকতে সে মাজা তুলে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তার হাতের আঙুল গুলো অত্যন্ত সরু। দূর থেকে দেখলে মনে হয় লোমহীন কোনো এক অদ্ভুত জন্তু। লেখক প্রত্যক্ষভাবে এই অনাহারি কিশোরকে সাহায্য করতে বলেছেন। তবে গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত সমস্ত বিপন্ন মানুষকে এখানে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। খ) তাকে কেন সাহায্য করতে বলেছেন? লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন সাম্যবাদী ঘরানার লেখক। তাই তাঁর রচনায় মানবতাবাদ তথা ‘মানুষের শোষণ মুক্তির ভাবনা’ অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। এই ভাবনাই তাকে বুঝতে সাহায্য করে, সমাজ জুড়ে শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের

দু পায়ে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে সে

“দু পায়ে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে সে।” ক) এখানে কার উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে? খ) তার উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক আসলে কী দেখাতে চেয়েছেন? গ) লেখক তাকে কীভাবে ভাবে সাহায্য করতে বলেছেন? ক) এখানে কার উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘হাত বাড়াও’ নামক পাঠ্য থেকে। এই রচনায় পঞ্চাশের মন্বন্তর চলাকালীন সময়ে একজন ১২-১৩ বছরের কঙ্কালসার উলঙ্গ কিশোরের জীবন যুদ্ধের কথা রয়েছে। যার হাতের আঙুলগুলো অত্যন্ত সরু, দেখতে লোমহীন কোনো এক অজানা অদ্ভুত জন্তুর মত এবং যে জানোয়ারের মতো চার হাত পায়ে চলে। বাজারের রাস্তা থেকে চাল আর ছোলা খুটে খুটে খেয়ে বেঁচে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এখানে এই চার হাত পায়ে চলা কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট কিশোরের পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।  খ) তার উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক আসলে কী দেখাতে চেয়েছেন? আসলে তার এই উঠে দাঁড়ানোর অর্থ হলো, পুনরায় অভাবমুক্ত হয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হয়ে ওঠার সামর্থ্য অর্জন করা। সুতরাং তার এই উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক এক সমাজ বিপ্লবের কথা বলেছেন

এবার শান্তি

“এবার শান্তি।” ক) এ শান্তি কীভাবে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে? খ) কেনই বা লেখক শান্তি প্রার্থনা করেছেন তা বুঝিয়ে লেখো। ক) এ শান্তি কীভাবে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘হাত বাড়াও’ নিবন্ধে পঞ্চাশের মন্বন্তরের এক হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী ছবি তুলে ধরেছেন। এই রচনায় ১২-১৩ বছর বয়সি এক কঙ্কালসার দেহ-বিশিষ্ট ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে একজন নিরন্ন কিশোরের বর্ণনা রয়েছে। যার জ্বলন্ত চোখের দৃষ্টি ‘বুকের রক্ত হিম করে দেয়’। লেখকের বিশ্লেষণে, তার এই জলন্ত চোখ দুটি শাস্তি চায়। শাস্তি চায় সেইসব খুনি মানুষদের, যারা শহরে, গ্রামে গঞ্জে, নগর বন্দরে ‘জীবনের গলায় মৃত্যুর ফাঁস পরাচ্ছে’। মানুষকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিচ্ছে না। সেই সঙ্গে সে চেয়েছে, এই শাস্তি আসুক শান্তির বার্তায় ভর করে। কামনা করেছে, বাংলার বুক জুড়ে সবুজ মাঠের সোনালী ফসলে ও চাষীর গোলা ভরা ধানে ভর করে সেই শান্তি আসুক। শান্তি আসুক কারখানায় কারখানায় বন্ধন মুক্ত মানুষের আন্দোলিত বাহুতে বাহু মিলনের মধ্য দিয়ে। মিলিত হোক যুদ্ধ আর অনাহারকে দূরে ঠেলে কোটি কোটি মানুষের বলিষ্ঠ হাত, স্

সেই দুটি জ্বলন্ত চোখ শাস্তি চায়

“সেই দুটি জ্বলন্ত চোখ শাস্তি চায়” ক) এখানে ‘কোন্ চোখে’র কথা বলা হয়েছে? অথবা, কার কথা বলা হয়েছে? খ) সে কীরূপ শাস্তি চায়? অথবা, সে কীভাবে শাস্তি চায়, বুঝিয়ে লেখো। গ) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখক কী উপলব্ধিতে উপনীত হয়েছিলেন? ঘ) লেখক তাকে কীভাবে এবং কেন সাহায্য করতে বলেছেন? ক) এখানে কোন্ ‘চোখে’র কথা বলা হয়েছে? অথবা, কার কথা বলা হয়েছে? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নিবন্ধে পঞ্চাশের মন্বন্তরের এক মর্মস্পর্শী ছবি তুলে ধরেছেন। এই রচনায় ১২-১৩ বছর বয়সি এক কঙ্কালসার দেহ-বিশিষ্ট ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে এক নিরন্ন কিশোরের বর্ণনা রয়েছে। যার জ্বলন্ত চোখের দৃষ্টি ‘বুকের রক্ত হিম করে দেয়’। আলোচ্য উদ্ধৃতিতে এই কিশোর এবং তার জ্বলন্ত চোখের কথা বলা হয়েছে। খ) সে কীরূপ শাস্তি চায়? অথবা, সে কীভাবে শাস্তি চায় বুঝিয়ে লেখো। এই জ্বলন্ত চোখ দুটি শাস্তি চায়। শাস্তি চায় সেইসব খুনি মানুষদের, যারা শহরে, গ্রামে গঞ্জে, নগর বন্দরে ‘জীবনের গলায় মৃত্যুর ফাঁস পরাচ্ছে’। মানুষকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিচ্ছে না। তার সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সে যেন সেইসব

সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেইসব খুনিদের সে শনাক্ত করছে

“সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেইসব খুনিদের সে শনাক্ত করছে” ক) কে শনাক্ত করছে? খ) এখানে কাদের খুনি বলা হয়েছে এবং কেন? অথবা, এখানে খুনি বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন এবং কেন? গ) সে খুনিদের শনাক্ত করছে কেন? অথবা, ‘সে শনাক্ত করছে’ বলার কারণ কী? ক) কে শনাক্ত করছে? উদ্ধৃত অংশটি লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেয়া হয়েছে। এই রচনা তিনি ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে এক অনাহারি উলঙ্গ কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট কিশোরের কথা বলেছেন। লেখক এর ভাষ্য মতে, এই কিশোরীই যেন পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের সময় অনাহারে মৃত অসংখ্য মানুষের খুনিদের শনাক্ত করছে। খ) এখানে কাদের খুনি বলা হয়েছে এবং কেন? অথবা, এখানে খুনি বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন এবং কেন? পঞ্চাশের মন্বন্তর ছিল মূলত মনুষ্যসৃষ্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জনিত ভয়াবহ আর্থিক সংকট, ইংরেজ সরকারের লাগামহীন শাসন ও শোষণ, সরকারের উদাসীনতায় বেড়ে ওঠা জোতদার, মজুতদার ও মহাজনদের সীমাহীন লোভ, নিরন্ন মানুষের প্রতি উচ্চবিত্ত মানুষের উদাসীনতা এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বার্থপর মানসিকতা এই ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। লেখকের ভাবনায়, অনাহা

দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি।

“দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি।” দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি। ক) এখানে কার নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে? খ) ‘নদীমালা’র সঙ্গে ‘দু-হাতে সোনা ছড়ানো’র সম্পর্ক কী? গ) তার সম্পর্কে লেখক যা বলতে চেয়েছেন বুঝিয়ে বলো। ক) এখানে কার নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই রচনায় তিনি এক ১২-১৩ বছরের উলঙ্গ কিশোরের বর্ণনা দিয়েছেন, যে চার হাত পায়ে হেঁটে বাজারের রাস্তা থেকে চাল আর ছোলা খুঁটে খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। এখানে এই ছেলেটির বেঁচে থাকার জন্য সীমাহীন কষ্টে ডুবে থাকা নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। খ) নদীমালার সঙ্গে দু-হাতে সোনা ছড়ানোর সম্পর্ক কী? প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশ নদীমাতৃক একটি জনপদ। নদীবিধৌত পলিমাটি এবং মৌসুমী জলবায়ুর কারণে বাংলার ভূমি হয়ে উঠেছে, কবির কথায়, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। প্রকৃতির অকৃত্রিম আশীর্বাদে প্রতিবছর বাংলার মাঠ তাই সোনালি ফসলে ভরে ওঠে। পলিমাটির সাথে সাথে নদীর জলও এই সোনালি ফসলের অন্যতম প্রাণ ভোমরা। তাই মালার মত ছড়িয়ে থাকা অসংখ