সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভারতীয় গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতীয় গল্প : অলৌকিক - কর্তার সিং দুগ্গাল

ছোটগল্প : অলৌকিক - লিখেছেন কর্তার সিং দুগ্গাল কর্তার সিং দু গ্‌ গা ল-এর লেখা ছোটগল্প ‘অলৌকিক’ এই গল্পের প্রশ্ন উত্তর পেতে এখানে যাও 'তারপর গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছোলেন হাসান আন্দালের জালে। ভয়ানক গরম পড়েছে। গনগনে রোদ। চারিদিক সুনসান। পাথরের চাঁই, ধু ধু বালি, ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালা। কোথাও একটা জনমানুষ নেই।' "তারপর কী হল মা?" আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি। 'গুরু নানক আত্মমগ্ন হয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল। কিন্তু কোথায় জল? গুৰু বললেন, ভাই মর্দানা, সবুর করো। পরের গাঁয়ে গেলেই পাবে।' কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন। অনেক দূর পর্যন্ত জল পাওয়া যাবে না, অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে। গুরু বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ‘দ্যাখো মর্দানা, কোথাও জল নেই, খানিকক্ষণ অপেক্ষা করো। এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।' মর্দানা তবু নড়তে রাজি নয়। সেখানেই বসে পড়ে। এগুবার আর উপায় নেই। গুরু গভীর সমস্যায় পড়লেন। মদীনার একগুঁয়েমি দেখে হাসি পেলেও সেই সঙ্গে বিরক্তও হলেন। পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি। চোখ খুলে দে

সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো

“সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো।” ভারতীয় গল্প : অলৌকিক। “সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো” ক) ‘সাকা’ কী? খ) কোথায় সাকা হয়েছিল? গ) এর ফল কী হয়েছিল? ক) ‘সাকা’ কী? পাঞ্জাবি শব্দ ‘সাকা’র অর্থ হল ‘মহৎ কাজে প্রাণোৎসর্গ করা’। শিখ ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্ম জাতীয়তা ও সম্মান রক্ষার্থে জীবন উৎসর্গ করার ঘটনাকে ‘সাকা’ বলে। খ) কোথায় সাকা হয়েছিল? প্রখ্যাত পাঞ্জাবি সাহিত্যিক কর্তার সিং দুগাল রচিত ‘অলৌকিক গল্প’ থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই গল্পে ‘ হাসান আবদাল ’ নামে একটি অঞ্চল ও সেখানকার একটি জঙ্গলের কথা আছে। জনশ্রুতি আছে, এই জঙ্গলে গুরু নানক পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া পাথর হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে তাঁর হাতের ছাপ আজও লেগে আছে। এই ঘটনার  পরবর্তী সময় থেকে এই অঞ্চলের নাম হয় ‘ পাঞ্জাব সাহেব ’। এখানেই ‘সাকা’ হয়েছিল। [হাসান আবদাল জায়গাটা বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক জেলার একটি শহর, যা দেশের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে 40 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।] গ) এর ফল কী হয়েছিল? এই গল্পের বর্ণনা অনুযায়ী ইংরেজ শাসক গোষ্ঠী দূরের শহরের নিরস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব

গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত

“গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।” “গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত”। ভারতীয় গল্প : অলৌকিক  ক) কোন্ গল্প স্মরণ করে হাসি পেত? খ) গল্প মনে পড়লেই হাসি পেত কেন? গ) এই গল্পের প্রতি বক্তার কীভাবে বিশ্বাস জন্মেছিল? অথবা, হাসি কীভাবে চোখের জলে পরিণত হয় তা লেখো। ক) কোন্ গল্প স্মরণ করে হাসি পেত? কর্তার সিং রচিত অলৌকিক গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই গল্পে বলি কান্ধারী নামে একজন দরবেশ ছিল। এই দরবেশ গুরু নানককে আঘাত করার জন্য পাহাড়ের উপর থেকে একটি পাথর গড়িয়ে দেন। গুরু নানক তখন অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই পাথরে স্পর্শ করার মাধ্যমে পাথরটিকে থামিয়ে দেন। যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখকের কাছে এই ঘটনাটি একটি হাস্যকর গল্প বলে মনে হয়েছিল। পরবর্তীতে এই গল্পটি স্মরণ করলেই তাঁর হাসি পেত। খ) গল্প মনে পড়লেই হাসি পেত কেন? সাধারণ বিজ্ঞান বলে, কোন বস্তু উঁচু থেকে গড়িয়ে নিচে আসতে শুরু করলে, বস্তুটির গতিবেগ ক্রমশ বাড়ে। গতি বাড়লেই তার আঘাত করার শক্তি বাড়ে। বলি কান্দারি যখন পাহাড়ের চূড়া থেকে পাথরের চাইটি ছুঁড়ে দেয়, তখন তার গতিবেগ ক্রমশ বাড়ার কথা এবং প্রচন্ড শক্তি উৎপন্ন হওয়ার কথা। এই অবস্থায় গুরু

অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল?

 ক) ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? — ২০১৮ খ) পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল? — ২০১৮ ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? ক) অলৌকিক ঘটনা অবিশ্বাসের কারণ : আলোচ্য প্রশ্নে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের অন্তর্গত। এই গল্পে গুরু নানকের শিষ্য মর্দনার জল তেষ্টা পায়। হাসান আবদালের জঙ্গলের কাছে দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে সে গুরু নানকের পরামর্শে জল চায়। কিন্তু কান্ধারী তা দেয় না। এক সময় গুরু নানক হাত দিয়ে একটা পাথর সরালে জলের ঝর্ণা বেরিয়ে আসে। একই সঙ্গে কান্ধারীর কুপের জল অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কান্ধারী একটা পাথরের চাঁই ছুঁড়ে দেয় গুরু নানকের দিকে। গুরু নানক হাত দিয়ে পাথরের চাঁইটি থামিয়ে দেন। এই সব ঘটনার মধ্যে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে মর্দানাকে রক্ষা করার ঘটনাটি লেখকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কারণ, তাঁর যুক্তিবাদী চিন্তা এই ঘটনার মধ্যে কোন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে পা

চোখের জলটা তাদের জন্য — ২০১৭

“চোখের জলটা তাদের জন্য” — ২০১৭ “চোখের জলটা তাদের জন্য” — ভারতীয় গল্প : অলৌকিক  ক) বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? —২০১৭ অথবা, বক্তার চোখে জল আসার কারন কী? খ) যে ঘটনায় চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো। — ২০১৭ ক) বক্তা কাদের কেন জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? —২০১৭ অথবা বক্তার চোখে জল আসার কারন কী? উদ্ধৃত অংশটি কর্তার সিং দুগগালের লেখা অলৌকিক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এই গল্পের গল্পকথক তার মায়ের বান্ধবীর কাছ থেকে শুনেছিলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দীদের খিদে ও তেষ্টা মেটানোর জন্য পাঞ্জা সাহেবের মানুষজন নিজেদের জীবন বাজি রেখে কীভাবে তাদের বহনকারী ট্রেনটিকে থামিয়েছিলেন। জল রুটির ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এই জীবন উৎসর্গকারী মানুষদের আত্মত্যাগের কথা শুনে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই গল্পের শেষে তিনি তাঁর চোখের জলকে ওই সমস্ত আত্মত্যাগী মানুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। খ) যে ঘটনায় চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো। — ২০১৭ এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য  হাসান আবদালে গুরু নানক অলৌকিক ক্ষমতা বলে হাত দিয়ে টিলার উপর থেকে পড়া পাথর ঠেকিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর

ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?

“ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?” — ২০১৬ ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন? ক) এখানে কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬ গ) ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল? — ২০১৬ ঘ) ট্রেন থামানোর পরিণতি কি হয়েছিল? ক) এখানে কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? কর্তার সিং দুগালের লেখা অলৌকিক গল্পটিতে পাঞ্জা সাহেবের ট্রেন থামানোর একটি অলৌকিক আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। ট্রেনটি অনাহারে থাকা স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বন্দীদের নিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছিল। আলোচ্য গল্পে এই ট্রেনের কথাই বলা হয়েছে। খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬ এই ট্রেনের মধ্যে, লেখক এর বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েদিরা খিদে তেষ্টায় মরার মত অবস্থায় পৌঁছে গেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাদের খিদা বা দেশটা মেটানোর কোন ব্যবস্থাই করেনি। তারা হুকুম দিয়েছিল ট্রেনটি যেন কোথাও না থামে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় পাঞ্জাবের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সিদ্ধান্ত করে, যে কোন প্রকার এই হোক ট্রেনটিকে থামাতে হবে এবং কয়েদিদের জলখাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

“গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো” — ২০১৫

১) “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো” — ২০১৫ ক) বক্তা কে? খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে? গ) গল্পটা কী? — ২০১৫ ঘ) স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? — ২০১৫ ক) বক্তা কে? কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের গল্পকথক হচ্ছেন উদ্ধৃত অংশটির বক্তা। খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে? ‘অলৌকিক’ গল্পের গল্প-কথক স্বয়ং লেখক কর্তার সিং দুগ্গাল। তিনি নিজে যে স্কুলে পড়তেন সেখানেই কোন একদিন শোনানো হয়েছিল, গুরু নানক কীভাবে হাত দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরকে  থামিয়ে ছিলেন, তার গল্প। আলোচ্য উদ্ধৃতিতে এই স্কুলের কথাই বলা হয়েছে। গ) গল্পটা কী? — ২০১৫ গুরু নানক একদিন তার অনুচরদের নিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছান। ভয়ানক গরমের কারণে মর্দানা নামে তার এক অনুচর প্রচন্ড তৃষ্ণা অনুভব করে। কিন্তু আশেপাশে কোন জলের উৎস ছিল না। কারণ জায়গাটা ছিল পাথরের চাঁই, ধুধু বালি ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালায় ভরা সম্পূর্ণ জনমানব হীন। এই কারণে গুরু নানক তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে একটু অপেক্ষা করতে। আশ্বাস দেন পরের গাঁয়ে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানা সিদ্ধান্ত করে জল ছাড়া এক পাও এগোতে পারবে না। ফলে গ