সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আমি দেখি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি দেখি

“আমি দেখি” আমি দেখি ক) আমি কে? খ) তিনি কি দেখতে চেয়েছেন? গ) তিনি তা কেন দেখতে চেয়েছেন? ঘ) তার এই দেখার মধ্যে সৌখিনতা না কি প্রয়োজনীয়তার তাগিদ রয়েছে তা যুক্তিসহ আলোচনা করো। ঙ) পঙ্ক্তিটি সমগ্র কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করো। অথবা, কবির গাছ লাগানোর এই নির্দেশ ও অনুরোধের কারণ ও তাৎপর্য আলোচনা করো। ক) আমি কে? কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। এখানে ‘ আমি’ বলতে প্রকৃতিপ্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় নিজেকেই বুঝিয়েছেন। খ) তিনি কী দেখতে চেয়েছেন? রোগমুক্ত শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে মানুষ ও বৃক্ষের সহাবস্থান অত্যন্ত জরুরী। আর এ কারণেই কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সবুজ শূন্য শহরে তাঁর সহনাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে শহরজুড়ে সবুজের বাগান গড়ে তুলতে। শহর জুড়ে লাগানো এই সবুজ বাগানই তিনি আমরণ দেখতে চেয়েছেন। গ) তিনি তা কেন দেখতে চেয়েছেন? কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিংশ শতকের অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার অবক্ষয়ের পটভূমিতে এই কবিতাটি রচনা করেছেন। এই সময়কালে তিনি লক্ষ্য করেছেন, নগ...

চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান

“চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান” চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান ক) কার চোখ ‘সবুজ’ চায়? খ) চোখ কেন সবুজ চায়? গ) চোখ ও দেহের সঙ্গে সবুজ বাগানের সম্পর্ক কী? ঘ) কবির এই মন্তব্যটির যথার্থতা (সার্থকতা) কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো। ঙ) এই মন্তব্যের আলোকে গাছের প্রতি কবির মমত্ববোধ কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো। ক) কার চোখ ‘সবুজ’ চায়? প্রকৃতি প্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবির নিজের চোখ সবুজের আকাঙ্ক্ষী। খ) চোখ কেন সবুজ চায়? পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয় হল চোখ। এই চোখকে মনের আয়না বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, চোখের সঙ্গে মানুষের মনের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। চোখের তৃপ্তি মনের তৃপ্তিকে ত্বরান্বিত করে। আমাদের চোখের সঙ্গে সবুজ রঙের রয়েছে প্রগাঢ় প্রীতির সম্পর্ক। বিশেষ করে সবুজ গাছের সজীব পাতায় মোড়া বাহারী বাগান মানুষের মনকে উজ্জীবিত করে তোলে। প্রকৃতি প্রেমিক কবির শহরের অসুখে আক্রান্ত ও বিধ্বস্ত নাগরিক মনকে উজ্জীবিত করার জন্য চোখ সবুজ চায়। গ) চোখ ও দেহের স...

তাই বলি, গাছ তুলে আনো

“তাই বলি, গাছ তুলে আনো” তাই বলি, গাছ তুলে আন ক) বক্তা কে? খ) তিনি কেন গাছ তুলে আনতে বলছেন? গ) উদ্ধৃতিতে তাই শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন? ঘ) উদ্ধৃতিতে কবি যে আন্তরিক আবেদন প্রকাশ পেয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। ক) কে, কোথায় একথা বলেছেন? প্রকৃতিপ্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘অঙ্গুরি তোর হিরণ্য জল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। খ) গাছ তুলে আনতে বলার কারণ : আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয়, কবির এই উক্তিটি পরিবেশ বিরোধী। কিন্তু ‘ আমি দেখি ’ কবিতাটি এক ঝলক পড়লেই বোঝা যায় এই কবিতার মর্মবস্তু হল বৃক্ষরোপণের আহ্বান সম্বলিত একটি কাব্যিক সন্দর্ভ । আসলে কবি জানেন মানুষ-সহ সমস্ত জীব প্রকৃতির ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। উভয়ের সম্পর্ক অনেকটা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের মতো। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের ক্ষমতার জোরে এই সম্পর্ককে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত লাভ ও লোভের বশবর্তী হয়ে বৃক্ষ নিধনে মেতে ওঠে। ফলে নাগরিক জীবনে নেমে আসে ক্লেদ ক্লান্তি ও অবসাদ। যন্ত্র সভ্যতার দাপটে প্রকৃতি বৃক্ষ শূণ্য হয়ে নির্মলতা ও কোমলতা হারিয়ে মানুষের পক্ষে অসহনীয় হয়ে প...

সবুজের অনটন ঘটে

“সবুজের অনটন ঘটে” সবুজের অনটন ঘটে ক) ‘সবুজের অনটন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ) কোথায় ‘সবুজের অনটন’ ঘটে? গ) সবুজের অনটনের কারণ কী? ঘ) সবুজের অনটন কাটাতে কী করা প্রয়োজন বলে কবি মনে করেছেন? ক) সবুজের অনটন : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, দ্রুত নগরায়ন এবং যন্ত্র-সভ্যতার প্রসারের কারণে শহর কীভাবে বৃক্ষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। সভ্যতার অগ্রগতির নাম করে এভাবে শহরকে বৃক্ষশশূন্য করে ফেলার মানসিকতাকে কবি ‘শহরের অসুখ’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর এই অসুখের দাপটে পাল্লা দিয়ে কমেছে শহরের সবুজ গাছ। এভাবে শহর জুড়ে সবুজের দ্রুত কমে যাওয়াকে কবি এই কবিতায় ‘ সবুজের অনটন’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) কোথায় ‘সবুজের অনটন’ ঘটে? মানব সভ্যতার অগ্রগতির হাত ধরে বিশ্বব্যাপী গড়ে উঠতে থাকে নগর সভ্যতা। এইভাবে নগরায়ন এবং যন্ত্র সভ্যতার দূষণের কারণে শহরের সবুজ এক সময় গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ মানুষ গাছ কেটে আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে গিয়ে শহর বা নগরে ‘ সবুজের অনটন’ ডেকে আনে। গ) সবুজের অনটনের কারণ কী? মানব সভ্যতার অগ...

শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়

 “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়” শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় ক) ‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? খ) কোন সবুজের কথা বলা হয়েছে? অথবা, ‘সবুজ খায়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ) এ কথা বলার কারন কী? ঘ) কে কীভাবে সবুজ খায় ‘আমি দেখি’ কবিতা অবলম্বনে বিশ্লেষণ করো। ঙ) কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো। অথবা, এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে কবি র কোন্ অভিব্যক্তায় ব্যস্ত রয়েছে? ক) ‘শহরের অসুখ’ কী? আধুনিক সভ্যতায় উন্নয়নের নামে যে নগরায়ন শুরু হয়েছে, তার ফলে প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তা গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নগরে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে উদ্ভিদ নিধনযজ্ঞ। ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় মানুষ সমষ্টিগত স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ায়, পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি কম গুরুত্ব পায় । ফলে ব্যক্তি স্বার্থে শহরে নির্বিচারে বেড়ে চলেছে বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় এই ‘নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করার মানসিক প্রবৃত্তি' কে  ‘শহরের অসুখ’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) কোন সবুজ? অথবা, ‘সবুজ খায়’ বলতে কী বোঝায়? আজ যেখা...

বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন / বহুদিন জঙ্গলে যায়নি

“বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন / বহুদিন জঙ্গলে যায়নি” বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন / বহুদিন জঙ্গলে যায়নি ক) কেন কবি একথা বলেছেন? অথবা, বহুদিন জঙ্গলে যাননি বলে কবি কেন আক্ষেপ করেছেন? খ) কবি কেন জঙ্গলে যেতে চান বুঝিয়ে বলো। গ) এই অভাব পূরণের জন্য কবি কী চেয়েছেন? ঘ) বহুদিন জঙ্গলে না যাওয়ার সঙ্গে বহুদিন শহরে থাকার সম্পর্কটি নিরূপণ করো। ক) একথা বলার কারণ (আক্ষেপের কারণ) : প্রকৃতি প্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় আমরা তাকে দেখতে পাই গাছ-প্রেমিক এক নাগরিক কবি হিসাবে। অর্থাৎ নাগরিক কবি হলেও তিনি ছিলেন অরণ্য প্রেমি। কারণ, তিনি জানতেন অরণ্যের সবুজের মধ্যেই রয়েছে শহরে জীবনের যান্ত্রিক ও কৃত্রিম পরিবেশে হাঁপিয়ে ওঠা নাগরিকের জন্য সঞ্জীবন সুধা। আর এ কারণেই তিনি বারবার যেতে চান অরণ্যভূমি সবুজ আঁচলের মায়াবী ছায়ায়। কিন্তু দীর্ঘ অসুস্থতা ও নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় দীর্ঘদিন তিনি তা ছুঁতে পারেননি। তাই ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার বেদনায় তিনি হতাশ হয়েছেন। সেই হতাশার কারণেই তিনি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। খ) জঙ্গলে যেতে চাওয়া...

আরোগ্যের জন্য ওই সবুজ ভীষণ দরকার

“আরোগ্যের জন্য ওই সবুজ ভীষণ দরকার” আরোগ্যের জন্য ওই সবুজ ভীষণ দরকার ক) কে কোথায় একথা বলেছেন? খ) ‘ওই সবুজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? - ২০২২ অথবা, কোন সবুজের কথা কবি বলেছেন? গ) এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার কিরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? অথবা, আরোগ্যের সঙ্গে সবুজের সম্পর্ক এই কবিতা অবলম্বনে বুঝিয়ে লেখো। ঘ) ওই সবুজ তাঁর দরকার কেন? অথবা, কবিতাটিতে কবির আকাঙ্ক্ষা বর্ণনা করো। ঙ) ওই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন? - ২০১৯,২০২২ ক) কে কোথায় বলেছেন : প্রকৃতি প্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন। খ) ‘ওই সবুজ’ বলতে যা বোঝায় : সবুজ বৃক্ষ তথা প্রকৃতির মধ্যেই কবি খুঁজে পেয়েছেন মানবাত্মার সুখ ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। কারণ, ‘সবুজ গাছ’ আর ‘ফসলের সবুজ’ আমাদের পরিবেশকে শুধু অনিন্দ্য সুন্দর ও দূষণমুক্ত করেই তোলে না, তারা পুষ্টি যুগিয়ে জীবনকেও করে তোলে নীরোগ ও কর্মক্ষম। ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘ওই সবুজ’ বলতে প্রকৃতির সেই সবুজের সমারহকে বুঝিয়েছেন, যার দূষণমুক্ত পরিবেশ, রোগমুক্ত ও কর্মক্ষম নাগরিক জীবন এবং অনিন...

আমার দরকার শুধু গাছ দেখা / গাছ দেখে যাওয়া

“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা / গাছ দেখে যাওয়া” আমার দরকার শুধু গাছ দেখা / গাছ দেখে যাওয়া ক) বক্তা কে? খ) বক্তা কেন কেবল গাছই দেখে যেতে চান? অথবা, তার গাছ দেখা দরকার কেন? - ২০১৬ গ) ‘শুধু’ শব্দটি কবি ব্যবহার করেছেন কেন? ক) বক্তা কে : আলোচ্য উক্তিটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় প্রকৃতি প্রেমিক কবি নিজেই এই কথাগুলো বলেছেন। খ) গাছ দেখতে চাওয়ার কারণ (প্রয়োজনীয়তা) : একটি গাছ একটি প্রাণ - শ্লোগানটি বহুল প্রচলিত ও আলোচিত একটি বাক্যবন্ধ দিয়ে তৈরি। এর তাৎপর্যও চিরকালীন। প্রকৃতিপ্রেমী কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় এই স্লোগানটিকে মিশ্রকলাবৃত্ত ছন্দের মাধ্যমে যেন আরও বেশি প্রাঞ্জল করে তুলেছেন। সমস্ত কবিতা জুড়ে তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন গাছের সীমাহীন প্রয়োজনীয়তাকে। আসলে, সবুজ বৃক্ষ তথা প্রকৃতির মধ্যেই কবি খুঁজে পেয়েছেন মানবাত্মার সুখ ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। কারণ, ‘সবুজ গাছ’ আর ‘ফসলের সবুজ’ আমাদের পরিবেশকে শুধু অনিন্দ্য সুন্দর ও দূষণমুক্ত করে তোলে না, তারা পুষ...

গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও

“গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও” Table Of Contents ক) উক্তিটি কার এবং কাদের উদ্দেশ্যে? খ) তাঁর এমন উক্তির কারণ কী? গ) এই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে গাছেদের সম্পর্কে কবির মনোভাব আলোচনা করো। ক) উক্তির বক্তা ও উদ্দেশ্য : আলোচ্য উক্তিটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত  ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় প্রকৃতি প্রেমিক কবি নিজেই তাঁর সহ-নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো বলেছেন। খ) এমন উক্তির কারণ : কবি জানেন, সবুজ গাছের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অনেকটা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের মত। তাই সবুজ গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে, মানুষের অস্তিত্ব গভীর সংকটে পড়বে। কারণ, কবির কথায় : গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার সেই সঙ্গে কবি এও জানেন, মানুষ কখনও প্রয়োজনে, আবার কখনও প্রলোভনে পড়ে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে। কবি এই প্রবণতাকে ‘ শহরের অসুখ ’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন : শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে... কবি জানেন, ক্রমশ সবুজহীন হয়ে পড়া নগর সভ্যতার নাভিশ্বাস ওঠা অবস্...

সবুজের প্রতি মানুষের চাহিদা চিরন্তন” - এই উক্তির আলোকে ‘আমি দেখি’ কবিতাটি আলোচনা

সবুজের প্রতি মানুষের চাহিদা চিরন্তন” - এই উক্তির আলোকে ‘আমি দেখি’ কবিতাটি আলোচনা করো। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যে সম্পর্ক, তা আসলে সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের মতো। এক্ষেত্রে, একের থেকে অপরকে বিচ্ছিন্ন রাখা যেমন নিয়ম-বিরুদ্ধ, তেমনই হঠকারী। একারণেই সবুজের প্রতি মানুষের চাহিদা চিরন্তন সত্য হয়ে উঠেছে। ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এই চিরন্তন সত্যকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, সবুজ বৃক্ষ তথা প্রকৃতির মধ্যেই কবি খুঁজে পেয়েছেন মানবাত্মার সুখ ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। কারণ, সবুজ গাছ আর ফসলের সবুজ আমাদের পরিবেশকে শুধু অনিন্দ্য সুন্দর করে তোলে না, তারা পুষ্টি যুগিয়ে জীবনকেও করে তোলে নীরোগ ও কর্মক্ষম। সবুজের প্রতি মানুষের এই চাহিদাকে সামনে রেখেই তিনি লিখেছেন ‘আমি দেখি’ কবিতাটি : আমার দরকার শুধু গাছ দেখা গাছ দেখে যাওয়া গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার সেই সঙ্গে তিনি যার পর নেই হতাশও হয়েছেন। কারণ, তিনি দেখেছেন, কখনও প্রয়োজনে, আবার কখনও প্রলোভনে, মানুষ শহরকে সবুজ-শূন্য করে ফেলছেন, যা তিনি চান না। তার কথায়, শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ...

‘আমি দেখি’ কবিতায় নাগরিক জীবনের প্রতি কবির মনোভাব।

‘আমি দেখি’ কবিতায় নাগরিক জীবনের প্রতি কবির যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বুঝিয়ে লেখো। আমি দেখি’ কবিতায় নাগরিক জীবনের প্রতি কবির মনোভাব অথবা, ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি কী দেখতে চান এবং কেন দেখতে চান তা কবিতা অবলম্বনে লেখো। অথবা, ‘আমি দেখি’ কবিতার মধ্য দিয়ে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন্ বার্তা দিতে চেয়েছেন? ভূমিকা : কবি শঙ্খ ঘোষ শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে লিখেছেন, “সমুদ্র, পাহাড়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতি”।  তাই, প্রকৃতি যেমন তাঁর কাব্যজগতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল, তেমনি তিনিও হয়ে উঠেছিলেন একজন সবুজের পিয়াসী এবং প্রকৃত প্রকৃতি প্রেমিক। কবি কী দেখতে চান : সেই সঙ্গে তিনি এও বুঝেছিলেন সুস্থ নগর জীবনের জন্য প্রয়োজন সবুজে মোড়া এক অনিন্দ্যসুন্দর শহর, যেখানে বুক ভরে শ্বাস নেওয়া যাবে নিশ্চিন্তে। তাই কবি তাঁর ‘ আমি দেখি ’ কবিতাটি জুড়ে সেটাই কামনা করেছেন। বলেছেন : গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার। কবি কেন দেখতে চান : বস্তুত, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যে সম্পর্ক, তা আসলে সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের...

‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কবির অসীম ব্যাকুলতা

‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কবির অসীম ব্যাকুলতা কীভাবে বর্ণিত হয়েছে তা আলোচনা করো। অথবা “শক্তি চট্টোপাধ্যায় মূলত প্রকৃতি প্রেমের কবি” - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তিটির আলোকে ‘আমি দেখি’ কবিতাটি বিশ্লেষণ করো। শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। তাই উভয়ই উভয়কে চিনতেন ব্যক্তি জীবনে যেমন, সাহিত্যকর্মেও তেমন। ‘প্রকৃতি প্রেমের কবি’ বলাটা তাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষে খুবই যৌক্তিক ও স্বাভাবিক। কারণ, তিনি জানতেন, “জঙ্গলের মধ্যে ঘর ঈশ্বর গড়েন” - আজন্ম-লালিত এই বিশ্বাস নিয়ে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুযোগ পেলেই ছুটে যেতেন জঙ্গলে, বৃক্ষের সুনিবিড় সাহচর্যে। কবি শঙ্খ ঘোষও এ কারণেই বলেছিলেন, “সমুদ্র, পাহাড়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতি”। কিন্তু এক সময় ‘ শহরের অসুখে ’ জর্জরিত হয়ে কবি দীর্ঘকাল প্রকৃতি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। অথচ তিনি জানতেন, প্রকৃতির সবুজ গাছের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জীবন-সুধা। তাই, প্রকৃতি যেমন তাঁর কাব্যজগতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল, তেমনি তিনিও হয়ে উঠেছিলেন সবুজের পিয়াসী এবং একজন প্রক...