সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে

“সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে” “সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে” ক) ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ কী? খ) এই মূল্য কীভাবে লাভ হয়? গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতায় সত্যকে কোন ‘কঠিন’ আবার কখনো ‘দারুণ’ বলেছেন কেন? অথবা রবীন্দ্রনাথ সত্যকে কখনো ‘কঠিন’ কখনো ‘দারুণ’ বলেছেন - কবিতার নিরিখে কবির এই উপলব্ধির যথার্থতা বিচার কর। ক) ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত রূপনারানের কূলে কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। জীবনব্যাপী সাধনার মধ্য দিয়ে কবি জেনেছেন, সত্য বড়ই কঠিন ও নির্মম। তাকে পেতে গেলে দুঃখকে ভালোবেসে আলিঙ্গন করতে হয়। দুঃখের সাগর মন্থন করেই সত্যের সখ্যতা লাভ করা যায়। তার জন্য প্রয়োজন হয় ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’। তপস্যা শেষে মেলে ‘অক্ষয শান্তির অধিকার’। কবির ভাবনায় এই ‘অক্ষয় শান্তির অধিকারই’ হল ‘সত্যের দারুন মূল্য’। খ) ‘সত্যের দারুন মূল্য’ কীভাবে লাভ হয়: কবি জীবনের নশ্বরতা নিয়ে কখনো কোন বেদনাহত আকুতি প্রকাশ করেননি। বরং তার অনিবার্যতার কথা সাবলীল ভাবে স্বীকার ও উপস্থাপন করেছেন তার বিভিন্ন লেখায়। এই কবিতায়ও আমরা তারই প্

কঠিনেরে ভালোবাসিলাম

 “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম” “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম” ক) কবি কঠিনেরে কেন ভালোবেসেছিলেন? খ) কবি কীভাবে ‘কঠিনেরে’ ভালবেসেছিলেন? গ) এই ভালোবাসা কবির জীবনে কী প্রাপ্তি এনেছিল? ঘ) কঠোর দুঃখের তপস্যা করে কবি কীভাবে আত্মস্বরূপ দেখতে পেয়েছেন তা কবিতা অনুসরণে লেখ। অথবা, রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়ে যা উপলব্ধি করেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো। ক) কবি কেন ভালোবেসেছিলেন : জীবনবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’। এই কবিতায় কবি জীবনের অমোঘ সত্যকে বা আত্ম স্বরূপ উপলব্ধি করার জন্য ‘কঠিনেরে’ ভালোবেসে ছিলেন। খ) কবি কীভাবে ভালবেসেছিলেন : জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়ে কবি উপলব্ধি করেছিলেন, জানিলাম এ জগত স্বপ্ন নয়। ব্যক্তি জীবনে কবি দুঃসহ আঘাতে বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। কবির কথায়, চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়; এভাবে তিনি উপলব্ধি করেছেন, জীবনের একটি অনিবার্য দিক হলো ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাকে সম্বল করেই সত্য উপলব্ধির পথে পাড়ি জামাতে হয়। এ পথ কঠিন ও বন্ধুর। কঠিন ও বন্ধুর পথকে ভালো না বাসতে পারলে জগৎ ও

আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন

 “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন” “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন” ক) ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ) কেন কবি এই জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন? গ) এখানে কবির মনোভাবের বিবর্তনের যে ছবি পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখ। ক) ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’ কী : উদ্ধৃত অংশটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি দুঃখ-জরা-মৃত্যু ও আঘাত-সংঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া কঠিন জীবনকে ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) ‘দুঃখের তপস্যা’ বলার কারণ : কবির মতে, ‘দুঃখ, মৃত্যুর ছলনা ও মিথ্যা আশ্বাসের প্রতারণা যে বুঝতে পারে, সে-ই শান্তির অক্ষয় অধিকার’ লাভ করে। রবীন্দ্র-সমালোচক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাই বলেছেন, “কঠোর দুঃখের তপস্যা করিয়া তিনি আত্মস্বরূপ দেখিতে পারিয়াছেন”। বস্তুত কবির কাছে জীবন হল আঘাত-সংঘাত, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে অমোঘ সত্যের উপলব্ধি। এই সত্যের স্বরূপ অত্যন্ত কঠিন। তবুও তিনি এই সত্যকে ভালোবাসেন। কারণ, তার মতে, সে কখনো করে না বঞ্চনা জীবনের

সে কখনো করে না বঞ্চনা

“সে কখনো করে না বঞ্চনা” Table Of Contents ক) বক্তা কে? খ) ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? গ) কে, কখনো বঞ্চনা করে না? ঘ) সে ‘বঞ্চনা’ করে না কেন? ঙ) বঞ্চনা বলতে কবি এখানে কী বুঝিয়েছেন? চ) কখন, কোন্ অবস্থায় কবির এই উপলব্ধি? ছ) কবি কীভাবে এই ভাবনায় উপনীত হয়েছেন? ২০১৫, ২০২৩ ক) বক্তা কে? : উদ্ধৃত অংশটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। এখানে বক্তা হলেন কবি রবীন্দ্রনাথ যে ঠাকুর নিজেই। খ) ‘সে’ কে? জীবন সায়াহ্নে এসে কবি উপলব্ধি করেছেন, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এক দারুণ ও কঠিন সত্য। ‘সে’ বলতে কবি এই ‘কঠিন সত্যে’র কথা বলেছেন, যা জীবনের জন্য দারুণ মূল্যবান। গ) কে বঞ্চনা করে না : এই কঠিন সত্যকে বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন।  কিন্তু কবি এই সত্যকে সাদরে বরণ করতে চান। কারণ, এই সত্য জীবনের জন্য দারুণ মূল্যবান। কেননা, এই কঠিন সত্য মানুষকে কঠোর বাস্তবের মাটিতে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং জীবনের চরম সত্যকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। তাই, কবির শেষ জীবনের উপলব্ধি, এই ‘সত্য’ কঠিন হলেও, ‘সে কখনো করে না বঞ্চনা’। ঘ) বঞ্চনা না করার কারণ : জীবন সায়াহ্নে এস