“সে-ই কবিতায় জাগে”
সে-ই কবিতায় জাগে |
খ) ‘সে’ কে?
খ) কবিতায় কী জাগার কথা বলতে চেয়েছেন কবি?
গ) এই জাগার ফলাফল কী হবে বলে কবি আশা করেছেন?
ক) কোন্ কবিতার কথা বলা হয়েছে?
কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ‘ধানক্ষেত থেকে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ পাঠ্য কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এখানে ‘কোন্ কবিতায়' বলতে কবির এই কবিতাকেই (ক্রন্দনরতা জননীর পাশে) বোঝানো হয়েছে।
খ) ‘সে’ কে?
‘সে’ বলতে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রতিবাদী সত্তার কথা কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিবাদী সত্তার কারণেই তিনি ২০০৬-৭ সালের জমি আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন এবং লিখেছিলেন ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ নামক এই প্রতিবাদী কবিতা।
খ) কবিতায় কী জাগা’র কথা বলতে চেয়েছেন কবি?
সিঙ্গুর জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছিলেন। একের পর এক জননী সন্তান হারা হচ্ছিলেন। কখনো কারও ভাই কিংবা কোন মায়ের কন্যা সন্তান নিখোঁজ হচ্ছিল। জঙ্গলে মিলছিল তার ছিন্নভিন্ন দেহ। কবি মৃদুল দাশগুপ্ত সাধারণ মানুষের এভাবে রাজনীতির বলি হওয়াকে মেনে নিতে পারছিলেন না। এই পটভূমিতেই তার প্রতিবাদী সত্তা জেগে ওঠে এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। লেখেন এই প্রতিবাদী কবিতা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে।
গ) এই জাগার ফলাফল কী হবে বলে কবি আশা করেছেন?
যুগে যুগে শিল্পী সাহিত্যিক সহ সমাজের সৃষ্টিশীল মানুষেরা প্রতিবাদের পথ দেখিয়েছেন, যুগিয়েছেন প্রতিবাদের ভাষা। প্রতিবাদের এই পথ ও ভাষার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে শোষণমুক্ত সমাজের ভিত্তি ভূমি। কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তার সংবেদনশীল মন নিয়ে মূল্যবোধহীন মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কবিতার ছত্রে ছত্রে তার এই গর্জন ধ্বনিত হয়েছে বারুদের বিস্ফোরণের আগের মুহূর্তের চেহারায়, যা অচিরেই বিদ্রোহের আগুনে পরিণত হবে। কবির বিশ্বাস, বিদ্রোহের আগুন মানুষের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনবে, গড়ে উঠবে প্রেম প্রীতি ও ভালোবাসায় মোড়া এক নতুন সমাজ।
----------xx--------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন