১) “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো” — ২০১৫
ক) বক্তা কে?খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে?
গ) গল্পটা কী? — ২০১৫
ঘ) স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? — ২০১৫
ক) বক্তা কে?
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের গল্পকথক হচ্ছেন উদ্ধৃত অংশটির বক্তা।
খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে?
‘অলৌকিক’ গল্পের গল্প-কথক স্বয়ং লেখক কর্তার সিং দুগ্গাল। তিনি নিজে যে স্কুলে পড়তেন সেখানেই কোন একদিন শোনানো হয়েছিল, গুরু নানক কীভাবে হাত দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরকে থামিয়ে ছিলেন, তার গল্প। আলোচ্য উদ্ধৃতিতে এই স্কুলের কথাই বলা হয়েছে।
গ) গল্পটা কী? — ২০১৫
গুরু নানক একদিন তার অনুচরদের নিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছান। ভয়ানক গরমের কারণে মর্দানা নামে তার এক অনুচর প্রচন্ড তৃষ্ণা অনুভব করে। কিন্তু আশেপাশে কোন জলের উৎস ছিল না। কারণ জায়গাটা ছিল পাথরের চাঁই, ধুধু বালি ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালায় ভরা সম্পূর্ণ জনমানব হীন।
এই কারণে গুরু নানক তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে একটু অপেক্ষা করতে। আশ্বাস দেন পরের গাঁয়ে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানা সিদ্ধান্ত করে জল ছাড়া এক পাও এগোতে পারবে না। ফলে গুরু নানক গভীর সমস্যায় পড়লেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি বাধ্য হয়ে ধ্যানে বসলেন। চোখ খুলে দেখেন শিস্য মর্দানা টেস্টার চোটে জল ছাড়া মাছের মত ছটফট করছে।
গুরু নানক ধ্যান-যোগে জানতে পারেন, এই এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারী নামে একজন দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। ফলে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তিনি সে কথা মর্দানাকে বলেন। পরামর্শ দেন তার কাছে যাওয়ার।
পরামর্শ শুনে মর্দানা সেখানে ছুটে যায়। বলী কান্ধারী তার তেষ্টার কথা শুনে জল পান করার জন্য নিজের কুয়োর দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন। মর্দানা সেদিকে এগোতে থাকে। হঠাৎ বলী কান্ধারী মর্দানার পরিচয় জানতে চায়। উত্তরে মর্দানা জানায় সে পির নানকের সঙ্গী।
এ কথা জানতে পেরে বলী কান্ধারী তাকে জল দিতে অস্বীকার করে। গুরু নানকের পরামর্শে যখন সে বারবার যায়, তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সে বলে, ‘আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না’। এমনভাবে তিনবার ফিরে এলে গুরু নানক মর্দানাকে তার সামনের পাথরটি তুলতে বলে। পাথরটি তোলার সাথে সাথে সেখান থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। অন্যদিকে বলী কান্ধারীর কুয়োর জল শুকিয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত বলি গুরু নানককে হত্যার জন্য একটি পাথর নিক্ষেপ করেন। গুরু নানক জয় নিরঙ্কার ধ্বনি উচ্চারণ করে হাত দিয়ে পাথরটিকে থামিয়ে দেন। গুরু নানকের হাতের ছাপ বিশিষ্ট পাথরটির নাম সেই থেকে পাঞ্জা সাহেব নামে পরিচিতি পায়। এই পাথরটিতে আজও নাকি গুরু নানকের হাতের ছাপ লেগে আছে।
ঘ) স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? — ২০১৫
এই গল্পটা শোনার পর লেখকের যুক্তিবাদী মন তিন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়।
১) প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সে বলে পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ঘটনার মধ্যে বৈজ্ঞানিক সত্য থাকতে পারে।
২) কিন্তু পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া চাঙর হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা যৌগিক বলে মনে হয়নি। ফলে তিনি তা বিশ্বাস করেননি।
৩) শুধু তাই নয়, এই ব্যাপারে ফুলের মাস্টারমশায়ের সঙ্গে তর্কও করেছিলেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন