“ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?” — ২০১৬
![]() |
ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন? |
খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬
গ) ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল? — ২০১৬
ঘ) ট্রেন থামানোর পরিণতি কি হয়েছিল?
ক) এখানে কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে?
কর্তার সিং দুগালের লেখা অলৌকিক গল্পটিতে পাঞ্জা সাহেবের ট্রেন থামানোর একটি অলৌকিক আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। ট্রেনটি অনাহারে থাকা স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বন্দীদের নিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছিল। আলোচ্য গল্পে এই ট্রেনের কথাই বলা হয়েছে।
খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬
এই ট্রেনের মধ্যে, লেখক এর বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েদিরা খিদে তেষ্টায় মরার মত অবস্থায় পৌঁছে গেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাদের খিদা বা দেশটা মেটানোর কোন ব্যবস্থাই করেনি। তারা হুকুম দিয়েছিল ট্রেনটি যেন কোথাও না থামে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় পাঞ্জাবের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সিদ্ধান্ত করে, যে কোন প্রকার এই হোক ট্রেনটিকে থামাতে হবে এবং কয়েদিদের জলখাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। মূলত এ কারণেই ট্রেনটি থামানোর দরকার হয়েছিল।
গ) ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল? — ২০১৬
হাসান আবদালে গুরু নানক অলৌকিক ক্ষমতা বলে হাত দিয়ে টিলার উপর থেকে পড়া পাথর ঠেকিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর লেখক খবর পান পাঞ্জা সাহেবের ‘সাকা’ হয়েছে। অর্থাৎ দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর গুলি চালিয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছে এবং বাকিদের অন্য শহরের জেলে পাঠানো হচ্ছে। এই ট্রেনে থাকা কয়েদিরা খিদে ও চেষ্টায় কাতর।
উত্তেজিত জনতা ঠিক করে, ট্রেনের মধ্যে আটকে থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশপ্রেমিকদের জন্য জল ও রুটির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ট্রেন কিভাবে থামানো যাবে? শুরু হয় আবেদন নিবেদনের মাধ্যমে ট্রেনটিকে পাঞ্জা সাহেবের থামানোর অনুমতি ধিক্কার চেষ্টা। কিন্তু ফিরিঙ্গি সরকার সেই আবেদন অগ্রাহ্য করে।
শেষমেষ সিদ্ধান্ত হয়, ট্রেনটিকে তারা থামাবেই এবং দরকার হলে ট্রেন লাইন এর উপর শুয়ে পড়বেন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেললাইনে প্রথমদিকে পুরুষেরা এবং তাদের পিছনে এক একজন করে বউ বাচ্চা শুয়ে পড়ে। সকলে জয় নিরঙ্কর ধ্বনি দিতে থাকে। এই ঘটনা দেখে দুরন্ত গতিতে আসা ট্রেনের চালক গতি কমিয়ে দেয়। কিন্তু ট্রেনটি থামে অনেক দূরে এসে। প্রথম দিকের কিছু মানুষ মারা যান এবং অবশেষে ট্রেনটি থেমে যায়।
ঘ) ট্রেন থামানোর পরিণতি কি হয়েছিল?
অবশেষে ট্রেনটি থামলেও লাইনের প্রথম দিকে শুয়ে থাকা বেশ কিছু মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে। লাশগুলো দুমড়ে মুছড়ে বীভৎস আকার ন্যায়। ততক্ষণে খালপাড়ের সেতুটিতে রক্তের স্রোত বইতে শুরু করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন