“নামুক মহুয়ার গন্ধ”
ক) কোথায় মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার কথা বলা হয়েছে?
খ) কেন কবির এমন কামনা?
গ) মহুয়ার গন্ধ কী কবিকে শেষ পর্যন্ত শান্তি দিতে পেরেছিল?
ক) মহুয়ার গন্ধ কোথায় নামার কথা :
খ) কেন কবির এমন কামনা:
ওপরের 🖕 দুটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করো এবং যথাক্রমে ঘ ও খ দাগের উত্তর দেখো।
গ) কবিকে শান্তি দিতে পেরেছিল :
মহুয়ার দেশে পৌঁছে কবি উপলব্ধি করেছেন এখানকার অরণ্য-জীবনেও লেগেছে বিপর্যয়ের ঢেউ। ধনতান্ত্রিক অর্থ-ব্যবস্থার আগ্রাসনে সেখানকার আদিম সমাজব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে। অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক শোভা ও মহুয়া ফুলের গন্ধ ভেদ করে নিবিড় অন্ধকারে তাই মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে কয়লা খনির ‘গভীর’ ও ‘বিশাল’ শব্দ যা কবির কাছে অসহ্য লাগছে।
আবার শিশির ভেজা সবুজ সকালে উঠে তিনি বিস্মিত নয়নে দেখছেন, ধুলোর কলঙ্ক মাখা রাতজাগা শ্রমিকের দুঃস্বপ্ন পীড়িত, ক্লান্ত ও অবসন্ন মুখ নিয়ে মহুয়ার দেশ আজ ভারাক্রান্ত। কবির কথায়,
অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়
কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।
এভাবে কবিতার প্রথম স্তবকে কবির রোমান্টিক ভাবনায় ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতা ও একঘেয়েমি থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখলেও, অচিরেই (দ্বিতীয় স্তবকে) তাঁর আশা ভঙ্গ হয়। কারণ, মহুয়ার দেশ কবির রোমান্টিক ভাবনার আড়ালে থাকা ‘অসহ্য নিবিড় অন্ধকারে’ ভরা এক দুঃস্বপ্নের দেশ হয়ে দেখা দেয়।
------------xx----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন