“আমার বিবেক, আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে।”
আমার বিবেক আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে |
খ) তাঁর এমন অনুভূতির কারণ কী?
গ) উক্তিটির মধ্য দিয়ে যে প্রতিবাদী উচ্চারণ ধ্বনিত হয়েছে তার তাৎপর্য আলোচনা করো।
ক) এমন অনুভূতি কার?
উদ্ধৃত অংশটি কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। এই অংশে যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা কবির নিজের।
খ) তাঁর এমন অনুভূতির কারণ কী?
ভাইয়ের মৃত্যু, নিখোঁজ মেয়ের জঙ্গলে পাওয়া ছিন্ন ভিন্ন শরীর, কবির মধ্যে একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে ক্রোধ, দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধের। সমাজ সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তাই বিধাতার বিচারের আশায় বসে থাকতে পারেননি। নিজেই নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এভাবে,
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে
বিধির বিচার চেয়ে?
এই পরিস্থিতিতে তিনি কলম তুলে নেন প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে।
বলেন,
আমি তা পারি না। যা পারি কেবলসে-ই কবিতায় জাগে
সমাজ সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী কবি এই কারণেই (বিধির বিচারের আশায় বসে না থাকতে পারার কারণে) কবিতাকে তাঁর ‘বিবেক’ ও ‘বারুদে’র সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন, বিস্ফোরণের আগে তাঁর এই কবিতা জেগে উঠেছে এবং একসময় এই কবিতাই ঘটাবে প্রতিবাদের বিস্ফোরণ।
গ) উক্তিটির মধ্য দিয়ে যে প্রতিবাদী উচ্চারণ ধ্বনিত হয়েছে তার তাৎপর্য আলোচনা করো।
আসলে এই উক্তির মধ্য দিয়ে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রতিবাদী সত্তার প্রতিবাদী উচ্চারণের প্রকাশ ঘটেছে। কবির প্রতিবাদী মন এই কবিতায় শব্দের শক্তি দিয়ে গড়ে তুলতে চেয়েছে বিদ্রোহের আগুন। কবি জানেন, তাঁর একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তাই কবিতার মাধ্যমে তিনি তাঁর বিবেককে আগুনের রূপ দিতে চেয়েছেন, যা একদিন জমে থাকা ক্ষোভের বারুদে বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
তাই কাব্যিক প্রতিবাদের মাধ্যমে এই কবিতায়, তিনি সাধারণ মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং মানুষের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন