সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা
সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা।”
ক) বক্তাকে?
খ) কোন রাতের কথা বলা হয়েছে?
গ) সেই রাতে তিনি কী বুঝেছিলেন?
অথবা,
এ বিষয়ে বক্তার মূল বক্তব্য পাঠ্য রচনা অবলম্বনে লেখো।
অথবা,
বক্তা কখন এবং কেন এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন নিজের ভাষায় লেখো।
ক) বক্তাকে?
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়, যিনি প্রথম জীবনে একজন নামকরা অভিনেতা ছিলেন, উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
খ) কোন রাতের কথা বলা হয়েছে?
প্রথম জীবনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নাট্যাভিনয়ে দারুন পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন। সেই অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে একটি বড় লোকের সুন্দরী মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়ে। একসময় রজনীকান্ত তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটি শর্ত দেয়, অভিনয় ছাড়লেই কেবল সে তাঁকে বিয়ে করতে পারবে। কারণ, তার মতে, অভিনেতার সঙ্গে প্রেমর সম্পর্ক করা যায় কিন্তু বিয়ে করে সেই সম্পর্কে সামাজিক সম্মান দেয়া যায় না। সেদিন রাতেই একটি ‘বাজে হাসির বই’-এ অভিনয় করতে করতে তাঁর চোখ খুলে যায়। তিনি উপলব্ধি করেন নাট্যাভিনয় কোন পবিত্র শিল্প নয়। ‘সেই রাত্রেই’ বলতে এই রাত্রের কথা বলা হয়েছে।
গ) সেই রাতে তিনি কী বুঝেছিলেন?
অথবা,
এ বিষয়ে বক্তার মূল বক্তব্য পাঠ্য রচনা অবলম্বনে লেখো।
রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন শিল্প প্রেমিক শিল্পী। শিল্পকে ভালোবেসেই তিনি পেয়েছেন খ্যাতি, পেয়েছেন সম্মান। এমন কি জীবনে এসেছে প্রেমও। কিন্তু সেই প্রেমকে পরিণতি দেওয়ার প্রশ্নেই বাধে গোল। তার প্রেমিকা শর্ত দেয়, বিয়ে করতে হলে অভিনয় ছাড়তে হবে।
কিন্তু জীবনের প্রথম ভালবাসাকে ছেড়ে তিনি দ্বিতীয় ভালবাসায় ডুবে গিয়ে তিনি বাঁচাতে চাননি। ফলে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে তিনি উপলব্ধি করেন, সমাজে একজন অভিনেতার মর্যাদা ঠিক কতটা। মানুষ অভিনেতার অভিনয় দেখে হাততালি দিতে পারে, প্রশংসা করতে পারে, মেডেলও দিতে পারে; এমনকি তার সঙ্গে প্রেমও করতে পারে। কিন্তু সামাজিক সম্মানের অংশীদার করতে পারে না। সেদিন রাত্রেই একটি বাজে হাসির নাটক করতে গিয়ে এই সত্য তার মধ্যে আরও গভীর ভাবে গেঁথে যায়। তিনি বুঝতে পারেন, সমাজ একজন অভিনেতাকে জোকার, ক্লাউন কিম্বা ভাঁড়ের চোখে দেখতেই পছন্দ করে সমাজ, মানুষের মনোরঞ্জনই যার একমাত্র কাজ। কোন সামাজিক সম্মান বা স্বীকৃতি এই কাজের বিনিময়ে পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সেই রাতের এই উপলব্ধির কারণেই রজনীকান্ত বলেছিলেন, নাট্যাভিনয় কোন পবিত্র শিল্প নয়। যারা তা বলে, হয় তারা মিথ্যুক, না হয় গাধা।
উদ্ধৃত অংশের বিষয়ে এটাই ছিল বক্তার মূল বক্তব্য।
------xx-----
বিকল্প প্রশ্ন সমূহ :
১) “নাকটাভিনায় একটি পবিত্র শিল্প”
ক) এর বক্তা কে?
খ) এই পবিত্রতার নামাবলিটা কিভাবে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল?
অথবা,
বক্তা কখন এবং কেন এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন নিজের ভাষায় লেখো।
২) “এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করিনা”
ক) কোনটি বাজে কথা?
খ) তাতে বিশ্বাস না করার কারণ বুঝিয়ে দাও।
২/২) “এই পবিত্রতার নামাবলীটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল...”
ক) সেদিন বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে?
খ) সেদিন কী ফাঁস হয়ে গিয়েছিল?
গ) ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অবলম্বনে মন্তব্যটি তাৎপর্য লেখো।
অথবা,
এই মন্তব্যের মাধ্যমে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী বুঝিয়েছেন আলোচনা করো।
অথবা,
ঘ) এই পবিত্রতার নামাবলিটা কীভাবে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন