সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি। প্রবন্ধ রচনা

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ বা রচনা

উত্তর তৈরি হলেই লেখার রং পাল্টে যাবে।

🧿 মোট চার ভাবে প্রবন্ধ রচনা করতে হবে। এই চার ধরণের মধ্যে যেকোন একটা ধরণ বেছে নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে হবে।

১) মানুষ মানচিত্র অনুসরণে প্রবন্ধ রচনা

  1. ভ্রমণের মূল্য - ২০১৫
  2. শিক্ষায় ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলা - ২০১৬
  3. ভারতের দেশপ্রেমের ঐতিহ্য - ২০১৭
  4. দেশপ্রেম বনাম বিশ্ব প্রেম
  5. ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ 🌟🌟
  6. বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান — ভারতবর্ষ
  7. বিশ্ব উষ্ণায়ন - ২০১৯ - 🌟🌟🌟🌟🌟🌟
  8. জলসংকট ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা 🌟
  9. পরিবেশ বিপর্যয় : ২০২০ 🌟
  10. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার 🌟🌟
  11. পরিবেশ উন্নয়ন ও ছাত্র সমাজ 🌟
  12. বাংলার ঋতুরঙ্গ বা ঋতু বৈচিত্র্য
  13. উন্নয়ন বনাম পরিবেশ
  14. সবুজায়ন বনাম নগরায় 🌟🌟
  15. বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
  16. অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও মানব জীবন 🌟🌟
  17. কোভিড - ১৯ বিশ্ব ব্যাপী আক্রমন - ২০২২
  18. বাংলার উৎসব - ২০১৮, ২০২৩
  19. দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ⭐
  20. বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ ⭐
  21. বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার
  22. ছাত্র জীবনে সৌজন্য ও শিষ্টাচার 🌟🌟🌟🌟
  23. ছত্রজীবন 🌟
  24. শৃঙ্খলাবোধ ও ছাত্র সমাজ 🌟
  25. নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজ
  26. সমাজকল্যাণে ছাত্র সমাজ
  27. সর্বশিক্ষা অভিযান
  28. রেগিং এবং ছাত্র সমাজ
  29. বিজ্ঞাপন ও আধুনিক সমাজ 🌟
  30. শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যম
  31. আধুনিক জীবনে সংবাদপত্রের ভূমিকা 🌟
  32. আধুনিক প্রযুক্তি ও আমরা 🌟
  33. ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন
  34. বিজ্ঞান সাধনায় ভারত
  35. সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা
  36. শিশুশ্রম ও তার প্রভাব
  37. যুদ্ধ নয় শান্তি চাই
  38. বিচিত্রের মধ্যে ঐক্য 🌟

২) প্রদত্ত অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে প্রবন্ধ রচনা

  1. শক্তির সন্ধানে মানুষ - ২০১৫
  2. গাছের কথা - ২০১৬
  3. বাংলা বইয়ের দুঃখ - ২০১৭
  4. বইমেলা 🌟
  5. পল্লী সাহিত্য - ২০১৮
  6. ভারত এক মিলনমেলা - ২০১৯
  7. শুভ উৎসব - ২০২০
  8. নতুন মাস্টার মশাই - ২০২২
  9. মানব জীবন - ২০২৩
  10. তরুণের স্বপ্ন
  11. বাংলার ব্রত
  12. সংস্কৃতি
  13. মানব ধর্ম 🌟
  14. বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার প্রতিবন্ধকতা
  15. বিশ্ব উষ্ণায়ন ⭐
  16. ধর্ম ও মানবিকতা
  17. সময়ের মূল্য ও সময়ানুবর্তিতা
  18. ভারতের মহাকাশ গবেষণা ও চন্দ্রযান থ্রি
  19. বাংলার মেলা 🌟

৩) বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা

  1. আধুনিক জীবনে বৃদ্ধাশ্রম অপরিহার্য - ২০১৫
  2. চলোভাস ছাড়া জীবন অচল - ২০১৬
  3. বিজ্ঞাপনী প্রচার মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল - ২০১৭
  4. দূরদর্শন মানব জীবনকে সমস্যা জর্জরিত করে তুলেছে - ২০১৮
  5. সুপ্রভাত নয়, বর্তমান গণমাধ্যম কুপ্রভাবই বিস্তার করছে - ২০১৯
  6. ফেসবুক আশীর্বাদ - ২০২০
  7. ক্লাসরুম শিক্ষার পরিপূরক অনলাইন এডুকেশন - ২০২২
  8. বিজ্ঞাপন ছাড়া বর্তমান জীবন অচল - ২০২৩
  9. পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়
  10. বিজ্ঞান এ যুগে অপরিহার্য
  11. জীবিকাই প্রতিষ্ঠা পেতে দেশ নয় বিদেশি আদর্শ স্থান
  12. বিজ্ঞানের এই যুগে সাহিত্য একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়
  13. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বর্জন করা উচিত
  14. ইংরেজি মাধ্যম স্কুলই দেশের ভবিষ্যৎ
  15. পাশ ফেল তুলে দেওয়া এক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত
  16. স্বাগতম ভারতীয় গণতন্ত্রের গণ অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে উপেক্ষিত
  17. কৃষি নয় শিল্পই হওয়া উচিত রাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয়
  18. নারীবাদ এর অর্থ কেবল পুরুষ বিরোধিতা নয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির জাগৃতি নারী স্বাধীনতার ভিত্তি
  19. ইন্টারনেটের মাপারিতিক তো ব্যবহার সমাজের পক্ষে শুভ ফলদায়ক
  20. উৎসব আসলে আর্থিক অপচয়
  21. বৃত্তের চেয়ে চিত্ত বড়
  22. নগরায়ন মানব সভ্যতার উন্নতির প্রথম শর্ত
  23. শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অবসরে গল্পের বই পাঠ করা একান্ত আবশ্যক
  24. কুসংস্কার প্রগতির পথে অন্তরায় স্বরূপ 
  25. প্রতিযোগিতা জীবন গড়ে দেয়
  26. সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনজীবনে তার প্রভাব

৪) প্রদত্ত সূত্র ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রবন্ধ রচনা

  1. বেগম রোকেয়া - ২০১৫ 🌟
  2. স্বামী বিবেকানন্দ - ২০১৬
  3. ভগিনী নিবেদিতা 
  4. মহাশ্বেতা দেবী - ২০১৭ 🌟
  5. নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় - ২০১৮
  6. সত্যজিৎ রায় - ২০১৯
  7. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - ২০২০
  8. সৈয়দ মুজতবা আলী - ২০২২ 🌟
  9. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী - ২০২৩
  10. আশাপূর্ণা দেবী 
  11. প্রেমেন্দ্র মিত্র
  12. সুকুমার রায়
  13. শরৎচন্দ্র 🌟
  14. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 🌟
  15. জীবনানন্দ দাশ 🌟🌟
  16. মাইকেল মধুসূদন দত্ত 🌟🌟🌟🌟🌟🌟
  17. রাজা রামমোহন রায়
  18. নারায়ণ দেবনাথ 🌟
  19. কাজী নজরুল ইসলাম 🌟🌟
  20. সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
  21. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  22. প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
  23. দ্রৌপদী মুর্মু
  24. শঙ্খ ঘোষ 🌟
  25. মৃণাল সেন 🌟
  26. সমরেশ মজুমদার 🌟
  27. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 🌟
  28. আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু 🌟
  29. ক্ষুদিরাম বসু 🌟

👁️‍🗨️ প্রবন্ধের উত্তর খুব শীঘ্রই আপলোড করার চেষ্টা হচ্ছে ... অপেক্ষা করো।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি - সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রবন্ধ রচনা : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভূমিকা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত একাধারে একজন মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। শিক্ষাজীবন : মধুসূদন দত্ত শিক্ষা গ্রহণ পর্ব শুরু হয় মায়ের তত্ত্বাবধানে সাগরদাঁড়ির পাঠশালায়। পরে সাত বছর বয়সে কলকাতা আসেন এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন।  এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তী জীবনে স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কলেজের পরীক্ষায় তিনি বরাবর বৃত্তি পেতেন। এ সময় নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিলেত যাওয়ার। তাঁর ধারণা ছিল বিলেতে যেতে পারলেই বড় কবি হওয়া যাবে।  এই উদ্দেশ্যেই ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি খ্রিস্ট...

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি । প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলা বই - দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চমাধ্যমিক 'বাংলা বই'য়ে👨তোমাকে স্বাগত 💁 তোমার প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরটি পেতে ওপরের মেনু বারের বিষয় মেনুতে ক্লিক করো । গল্পের প্রশ্ন চাইলে ‘ গল্পের  প্রশ্ন’  ট্যাবে , কবিতার প্রশ্ন চাইলে ‘ কবিতার প্রশ্ন’ ট্যাবে ক্লিক করো ।  এভাবে প্রয়োজনীয় বিষয়ের  ট্যাবে  ক্লিক করে প্রশ্নের পাতায় যাও। সেখানে দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশ্ন ও উত্তর খোঁজ। অথবা নিচের প্রয়োজনীয় লিঙ্কে ক্লিক করো। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো। ১)  দ্বাদশ শ্রেণির গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ২)  দ্বাদশ শ্রেণির কবিতা 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৩)  দ্বাদশ শ্রেণির নাটক 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৪)  আন্তরজাতিক কবিতা ও ভারতীয় গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৫)  দ্বাদশ শ্রেণির পূর্নাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ  👉  প্রশ্ন ও উত্তর ৬)  দ্বাদশ শ্রেণির শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৭)  দ্বাদশ শ্রেণির ভাষা বিভাগ 👉   প্রশ্ন ও উত্তর   ৮)  দ্বাদ...

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান্ — অতুল প্রসাদ সেন  ভূমিকা : জাতীয় সংহতি হল একটি দেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি সাধারণ পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা। এর অর্থ হল, আমাদের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও, আমরা এই সত্যকে স্বীকার করি যে, আমরা সবাই এক। এটি কেবল একটি জাতীয় অনুভূতি নয়, এটা সেই চেতনা যা সমস্ত উপভাষা ও বিশ্বাসের মানুষকে একই প্রচেষ্টায় একত্রিত করে। জাতীয় একীকরণের সংজ্ঞা: ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণ বলেছেন, national integration cannot be made by bricks and mortar, mould and hammer, but it quietly grows in people’s minds through education.1️⃣ এইচ এ গণি সংজ্ঞায়িত করেছেন, “National integration is a socio-psychological and educational process through which a feeling of unity and harmony develops in the hearts of the people and a sense of common citizenship or feeling of loyalty to the nation is fostered among them”2️⃣ এককথায়, জাতীয় সংহতির ধারণার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্ত্...

বাংলার ঋতুরঙ্গ বা বাংলা ঋতু বৈচিত্র্য

 বাংলার ঋতুরঙ্গ বা ঋতু বৈচিত্র্য বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। — জীবনানন্দ দাস ভূমিকা : ঋতুবৈচিত্র্যের বর্ণিল উপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিপূর্ণ। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই বাংলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যময় ঋতুরূপ। ভিন্ন ভিন্ন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতু ঘুরে ফিরে আসে এই বাংলায়। প্রতিটি ঋতুই স্বতন্ত্র সৌন্দর্যে অপরূপা। বাংলা প্রকৃতির এই অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়ে জীবনানন্দ দাশ একে ‘ রূপসী বাংলা ’ বলে অভিহিত করেছেন। ঋতু বৈচিত্রের কারণ : বাংলাদেশ  কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থিত। এখানকার আবহাওয়াতে তাই নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। এখানেই রয়েছে বাংলার ঋতু বৈচিত্রের মূল চাবিকাঠি।  নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত এখানে হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হয় প্রচুর বৃষ্টিপাত। ছয় ঋতুর ‘রূপসী বাংলা’ : বাংলার এই ছটি ঋতু যেন বিনি সুতোয় গাঁথা মালার মতো। এই মেলায় পর পর গাঁথা আছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও ঋতুরাজ বসন্ত। প্রতি ...

কবিতা 'মহুয়ার দেশ' - কবি সমর সেন

কবিতা : মহুয়ার দেশ কবিতা : 'মহুয়ার দেশ কবি : সমর সেন ১ মাঝে মাঝে সন্ধার জলস্রোতে পলাশ সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ, আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়। সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো। অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ, সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য, আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল নামুক মহুয়ার গন্ধ।                                             ২                                             এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে                                    ...

রচনা : মৃণাল সেন

প্রবন্ধ রচনা : মৃণাল সেন ভূমিকা : মৃণাল সেন ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারিত হতো তার নামও। জন্ম ও শিক্ষাজীবন :  মৃণাল সেন ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম । এখানেই তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। এর পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাথমিক কর্ম :  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি সাংবাদিকতা, ওষুধ বিপণনকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। চল্লিশের দশকে মৃণাল সেন ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর চলচ্চিত্রে শব্দকুশলী হিসেবেও কাজ শুরু করেন। রাজনৈতিক দর্শন :  আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী মৃণাল সেন দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হন। ছবি পরিচালনা : বাংলা, ওড়ইয়আ, হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি বহুভাষিক চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি...

প্রবন্ধ : ভগিনী নিবেদিতা

ভগিনী নিবেদিতা ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ভগিনী নিবেদিতার নাম। পৈত্রিক সূত্রে তিনি ছিলেন স্কচ। আধুনিক ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ও ধর্মনেতা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারতবর্ষে আসেন। ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা নেন। ভারতে সমাজ সেবা ও নারী শিক্ষার প্রসারেও নিবেদিতার ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও বংশ পরিচয় : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল ছিলেন ধর্মযাজক। মায়ের নাম মেরি ইসাবেলা। মাত্র দশ বছর বয়সে মার্গারেটের বাবা মারা যান। তারপর তাঁর দাদামশাই তথা আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হ্যামিলটন তাঁকে লালনপালন করেন। শিক্ষাজীবন : মার্গারেট লন্ডনের চার্চ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর হ্যালিফ্যাক্স কলেজে তিনি ও তাঁর বোন মেরি পড়াশোনা করেছিলেন। কর্মজীবন : ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে, সতেরো বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে মার্গারেট শিক্ষিকার পেশা গ্রহণ করেন। দু’বছরের জন্যে কেসউইকের একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ান। এরপরে একে ...

ছোটগল্প হিসেবে 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটির সার্থকতা বিচার

ছোটগল্প হিসেবে 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটির সার্থকতা বিচার : ছোটগল্প হিসাবে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ কতটা সার্থক ছোটগল্প হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটি কতটা সার্থক হয়েছে আলোচনা করো। ছোটগল্প হিসাবে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ কতটা সার্থক 👉 ভূমিকা : ছোটো প্রাণ, ছোটো ব্যথা, ছোটো ছোটো দুঃখকথা নিতান্ত সহজ সরল, ........ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ। কথাগুলো বলেছিলেন বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । কবিতার ছন্দে বলা এই অংশতেই রয়েছে সার্থক ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যে র যথাযথ বিবরণ। এডগার অ্যালান পো -এর মতে, যে গল্প অর্ধ থেকে এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করা যায়, তাকে ছোটগল্প বলে। ছোটগল্পে জীবনের সামগ্রিক দিকটি উপন্যাসের মতো বিস্তারিতভাবে বর্ণিত না হয়ে, তার খণ্ডাংশ নিয়ে পরিবেশিত হয়। এজন্য ছোটগল্প যথাসম্ভব বাহুল্যবর্জিত, রসঘন ও নিবিড় হয়ে থাকে। সংগত কারণেই এতে চরিত্রের সংখ্যা হয় খুবই সীমিত। ছোটগল্পের প্রারম্ভ ও প্রাক্কাল সাধারণত এবং খানিকটা নাটকীয়ভাবেই শুরু হয়। 👉   ছোটগল্পের বৈশ...

মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ

মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় এর চরিত্র আলোচনা কর মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ 👉 ভূমিকা : সমাজ সচেতন কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্প ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’। ১৯৪৩ সালের ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে তিনি রচনা করেছেন এই গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দিয়ে এঁকেছেন একের পর এক দৃশ্যপট। এই দৃশ্যপটগুলো বিশ্লেষণ করলেই ধরা পড়ে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ। 👉  মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র 👉 মানব দরদী মন : শহর কলকাতায় অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎই একদিন মৃত্যুঞ্জয় ‘অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য’ প্রত্যক্ষ করে। মানুষের এই মৃত্যুবরণ তার দরদি মনের গভীরে তৈরি করে অপূরণীয় ক্ষত। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। 👉 পরোপকারী ইচ্ছা শক্তি : এদিকে, কীভাবে এই মৃত্যুকে প্রতিরোধ করা যাবে, সেই ভাবনায় তার হৃদয়মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে, খাওয়া-ঘুম ছুটে যায়। সিদ্ধান্ত নেয়, নিজের সর্বস্ব দিয়ে এই মৃত্যুর বিরুদ্ধে সে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। 👉 আবেগপ্রবণ : মৃত্যুঞ্জয়ের মন...

শিকার। কবিতা - কবি জীবনানন্দ দাশ

কবিতা। শিকার - কবি জীবনানন্দ দাশ ভোর; আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল : চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ। একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে : পাড়াগাঁর বাসরঘরে সব চেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির মতো; কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে-মুক্তা                আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিলো হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে তেমনি — তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও। হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালীরা                  সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে— মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন; শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের; সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর; হ’য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো। সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ                          ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে। ভোর; সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থ...