সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক

“অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক” - ২০২০ অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক ক) এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? খ) তারা অবসন্ন কেন? গ) ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন? ঘ) এ প্রসঙ্গে কবির ভাবনার পরিচয় দাও। ক) কাদের কথা : বিশ শতকের তিরিশের দশকের কবি সমর সেন প্রণীত ‘কয়েকটি কবিতা’ নামাঙ্কিত কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এখানে কয়লার খনিতে কর্মরত, জীবন যন্ত্রণায় কাতর ও অবসাদগ্রস্থ মানুষদের কথা বলা হয়েছে। খ) তাদের অবসন্ন হওয়ার কারণ : কবি সমর সেনের ভাবনায়, মহুয়ার দেশ হলো এমন এক জগৎ যেখানে নাগরিক সভ্যতার দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার রসদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, পুঁজিবাদের আগ্রাসন অরণ্য ভূমির নির্জনতাকে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। জমিহারা মানুষগুলো কয়লা খনির দুর্গম গভীরে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিনিময়ে পাচ্ছে না ভালো-থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মজুরি। প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা এই মানুষগুলো আধুনিক সভ্যতার কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছে। সারা শরীরে ‘ধুলোর কলঙ্ক’ মাখা এই মান

গভীর, বিশাল শব্দ

“গভীর, বিশাল শব্দ,” গভীর, বিশাল শব্দ ক) শব্দটি কীসের? খ) শব্দকে এখানে ‘গভীর’ ও ‘বিশাল’ বলা হয়েছে কেন? গ) কবির চেতনায় এই শব্দ কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে? ক) কীসের শব্দ : নাগরিক কবি সমর সেন নগর জীবনের একঘেয়েমি ও ক্লান্তি কাটাতে শহর থেকে বহুদূরে ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’-এ গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, রাতের নিবিড় অন্ধকারের আবরণ ভেদ করে কানে আসছে এক গভীর ও বিকট শব্দ। এই গভীর ও বিশাল শব্দ আসলে মহুয়া বনের ধারে কয়লা খনিগুলি থেকে আসা শব্দ, যা তিনি মাঝে মাঝে শুনতে পাচ্ছিলে। খ) ‘গভীর’ ও ‘বিশাল’ বলার কারণ : ‘গভীর’ শব্দের অর্থ হল অতি নিম্ন, দুর্গম বা গম্ভীর। ‘ এই কবিতায় মহুয়া বনের ধারে যে কয়লা খনিগুলো আছে তার গভীরতা ও দূর্গমতাকে নির্দেশ করছে। কারণ, মাটির অনেক গভীরে গিয়ে এই কয়লা সংগ্রহ করতে হয়।   অন্য দিকে বিশাল’ শব্দের অর্থ বৃহৎ। কয়লা খনির গভীরে খনি শ্রমিকদের কয়লা ভাঙা ও তা উত্তোলনের সময় যে বিকট শব্দ হয় তা মহুয়া বনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শোনা যায়। এই বিকট শব্দ ও তার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুনতে পাবার বিষয়টিকে প্রকাশ করার জন্য ‘শব্দ’কে ‘বিশাল’ বিশেষণ

এখানে অসহ্য নিবিড় অন্ধকারে / মাঝে মাঝে শুনি

“এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে / মাঝে মাঝে শুনি” Table Of Contents ক) বক্তাকে? খ) ‘এখানে’ বলতে তিনি কোন জায়গার কথা বলেছেন? গ) এখানে তিনি মাঝে মাঝে কী শুনতে পান? ঘ) বিষয়টি কবির অসহ্য লাগে কেন? ক) বক্তা : উদ্ধৃত অংশটি কবি সমর সেনের লেখা ‘মহুয়ার দেশ’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃত অংশটির বক্তা কবি সমর সেন নিজেই। খ) ‘এখানে’ বলতে কোন্ জায়গা : নাগরিক কবি সমর সেন নগর জীবনের একঘেয়েমি ও ক্লান্তি কাটাতে শহর থেকে বহুদূরে ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’-এ যেতে চেয়েছিলেন। ‘এখানে’ বলতে কবি এই ‘মেঘ মোদির মহুয়ার দেশে’র কথাই বলেছেন, যেখানে পথের দু'ধারে সারি সারি দেবদারু গাছের রহস্যময় ছায়া, মহুয়া ফুল ও তার গন্ধ  কবিকে নগর জীবনের ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করবে বলে তার বিশ্বাস ছিল। গ) কবি কী শুনতে পান : কিন্তু কবির এই বিশ্বাস বাস্তবের কঠিন মাটিতে অঙ্কুরিত হতে পারেনি। ফলে তার আশা ভঙ্গ হয়। তিনি লক্ষ্য করেন, রাতের নিবিড় অন্ধকারের আবরণ ভেদ করে কানে আসে মহুয়া বনের কয়লা খনিগুলি থেকে গভীর ও বিকট শব্দ। এই গভীর ও বিকট শব্দই তিনি মাঝে মাঝে শুনতে পান। ঘ) কবির অসহ্য লাগার কারণ : কবি সম

নামুক মহুয়ার গন্ধ

“নামুক মহুয়ার গন্ধ” নামুক মহুয়ার গন্ধ ক) কোথায় মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার কথা বলা হয়েছে? খ) কেন কবির এমন কামনা? গ) মহুয়ার গন্ধ কী কবিকে শেষ পর্যন্ত শান্তি দিতে পেরেছিল? ক) মহুয়ার গন্ধ কোথায় নামার কথা : খ) কেন কবির এমন কামনা: ওপরের 🖕 দুটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করো এবং যথাক্রমে ঘ ও খ দাগের উত্তর দেখো। গ) কবিকে শান্তি দিতে পেরেছিল : মহুয়ার দেশে পৌঁছে কবি উপলব্ধি করেছেন এখানকার অরণ্য-জীবনেও লেগেছে বিপর্যয়ের ঢেউ। ধনতান্ত্রিক অর্থ-ব্যবস্থার আগ্রাসনে সেখানকার আদিম সমাজব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে। অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক শোভা ও মহুয়া ফুলের গন্ধ ভেদ করে নিবিড় অন্ধকারে তাই মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে কয়লা খনির ‘গভীর’ ও ‘বিশাল’ শব্দ যা কবির কাছে অসহ্য লাগছে। আবার শিশির ভেজা সবুজ সকালে উঠে তিনি বিস্মিত নয়নে দেখছেন, ধুলোর কলঙ্ক মাখা রাতজাগা শ্রমিকের দুঃস্বপ্ন পীড়িত, ক্লান্ত ও অবসন্ন মুখ নিয়ে মহুয়ার দেশ আজ ভারাক্রান্ত। কবির কথায়, অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক, ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয় কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন। এভাবে কবিতার প্রথম স্তবকে কবির রোমান

আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া ফুল, নামুক মহুয়ার গন্ধ

“আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল, / নামুক মহুয়ার গন্ধ।” আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল ক) ‘আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? - ২০১৭ খ) এমন কামনার কারণ কী? - ২০১৭ গ) কবির ক্লান্তির স্বরূপ ব্যাখ্যা করো। ঘ) বক্তা কোথায় ‘মহুয়ার গন্ধ’ নামতে বলেছেন? ঙ) কবিতায় কবির কোন সত্য উপলব্ধি হয়েছে? ক) ‘আমার’ পরিচয়: নাগরিক কবি সমর সেনের লেখা ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। এই কবিতায় ‘আমার’ বলতে কবি নিজের কথা বুঝিয়েছেন। খ) এমন কামনার কারণ : অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে বিশ্বব্যাপী দুর্বার গতিতে বেড়ে ওঠে নগরায়ন। ব্রিটিশ শাসনের সূত্রে কলকাতায়ও তার প্রভাব পড়ে। গড়ে ওঠে শিল্প কারখানা। ফলে শিল্প কারখানার ধুলো ও ধোঁয়ায় নগরের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এই বিষাক্ত ধুলো ও ধোঁয়া শীতের শিশিরকে আশ্রয় করে ধোঁয়াশায় রূপ নেয় এবং তাতেই ভরে যায় চতুর্দিক। কবির কথায়, ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সেই ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাসে’ কবির যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। শহর জীবন

রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে

“রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে” রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে ক) বক্তা কে? খ) কোন্ প্রসঙ্গে একথা বলেছেন? গ) ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ঘ) কে ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে’ আলোকিত করে? অথবা, ‘সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস’ কীভাবে ‘রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে’ আলোড়িত করে? ক) বক্তা কে? কবি সমর সেন রচিত ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন কবি সমর সেন নিজেই। খ) প্রসঙ্গ কী : কবি সমর সেন নগর জীবনের একঘেয়েমি ও ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে দূষণমুক্ত প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যের মাঝে ছুটে যেতে চেয়েছেন। যেতে চেয়েছেন মেঘ-মদির মহুয়ার দেশে, যেখানে পথের দুধারে সারি সারি দেবদারু গাছের রহস্যময় ছায়া ও দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। বস্তুত এই দূষণমুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শোভিত স্বপ্নের দেশের নৈসর্গিক পরিবেশের বর্ণনা দিতে গিয়ে কবি এই মন্তব্য করেছেন। গ) ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতা’ কী : দিন হল কর্মচঞ্চল সময়ের অনুষঙ্গে ভরা। আর রাত্রি তার বিপরীত। সারাদি

ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো

“ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।” ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ক) ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ) তা কীভাবে কেন ঘুরে ফিরে ঘরে আসে? অথবা পঙক্তিটির তাৎপর্য লেখো। গ) ‘শীতের দুঃস্বপ্নের মত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ক) ধোয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস : নাগরিক কবি সমর সেনের ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি নগর পরিবেশে অস্তগামী সূর্যের স্বর্ণালী আলোয় সান্ধ্যকালীন সৌন্দর্যের যে চিত্রকল্প তুলে ধরেছেন তা আসলে ক্ষণস্থায়ী। কারণ, অল্পক্ষণের মধ্যেই এই সৌন্দর্যকে ঢেকে দেয় যন্ত্র সভ্যতার বিষবাষ্প। শিল্প কারখানা থেকে বেরিয়ে আসা এই বিষবাষ্প শীতের শিশিরের সঙ্গে মিশে ভয়ংকর ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। এই ধোঁয়াশাকেই এই কবিতায় ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। কবির কল্পনায় তা   ‘শীতের দুঃস্বপ্নের মতো’ মনে হয়। খ) কীভাবে এবং কেন ঘুরে ফিরে ঘরে আসে : যন্ত্র সভ্যতার এই বিষবাষ্প নাগরিক জীবনকে ঘিরে ধরে থাকে সর্বক্ষণ। সাময়িক বিরতির পর

অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ

“অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ,” অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ ক) কাকে, কেন 'মহুয়ার দেশ' বলা হয়েছে? খ) কবিতাটিতে স্বপ্ন ভঙ্গের কোন্ কথা আছে? গ) কবির দেখা মহুয়ার দেশটি কেমন তা কবিতা অবলম্বনে বর্ণনা করো। অথবা, কবি মহুয়ার দেশের কী বর্ণনা দিয়েছেন? ঘ) এই মহুয়ার দেশ কীভাবে কবির চেতনাকে (কবিমনকে) প্রভাবিত করেছে তা নিজের ভাষায় লেখো। ক) মহুয়ার দেশ বলার কারণ : কবি সমর সেনের লেখা কবিতা ‘মহুয়ার দেশ’ থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় ‘মহুয়ার দেশ’ বলতে কলকাতা শহর থেকে বহু দূরে শাল, পিয়াল, দেবদারু ও মহুয়া গাছে ভরা অরণ্য-ভূমিকে বোঝানো হয়েছে। ভৌগলিক দিক দিয়ে অঞ্চলটি রাঢ় বঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকাকে ‘মহুয়ার দেশ’ বলার কারণ হল, এখানে প্রচুর পরিমাণে অপরূপ সৌন্দর্য ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ মহুয়া গাছ জন্মায়। কবির ভাবনায় মহুয়া বনের অপরূপ ফুল ও মহুয়ার গন্ধ কবির নাগরিক জীবনের একঘেয়েমি, অবসাদ, বিসন্নতা ও ক্লান্তি কাটিয়ে মুক্তির আনন্দ দিতে পারে। মহুয়া গাছের সৌন্দর্য ও গুণের প্রতি তাঁর এই সীমাহীন টান ও ভালোবাসার জন্যই কবি এই অঞ্চলকে

শীতের দুঃস্বপ্নের মতো

“শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।” শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ক) কার এমন মনে হয়েছে? খ) এমন মনে হওয়ার কারণ কী? গ) কবি কীভাবে এই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন? ঘ) তিনি কী সত্যিই মুক্তি পেয়েছিলেন ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতা অবলম্বনে লেখো। ক) কার মনে হয়েছে : নাগরিক কবি সমর সেনের লেখা ‘ কয়েকটি কবিতা’ নামাঙ্কিত কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘মহুয়ার দেশ’ নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। এই কবিতায় বর্ণিত নগর জীবনের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঘেরা নগর জীবনের ধূসর পরিবেশ কবির কাছে ‘শীতের দুঃর স্বপ্নের মতো’ বলে মনে হয়েছে। খ) এমন মনে হওয়ার কারণ : মায়ের সঙ্গে সন্তানের যেমন নাড়ীর সম্পর্ক, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ঠিক তেমনি। মায়ের দেহ রস থেকেই সন্তান যেমন মাতৃগর্ভে পুষ্ট হয়, মানুষ তেমনি প্রকৃতির গর্ভে বেড়ে ওঠে এক নিরাপদ বলয়ের মধ্যে থেকে। কিন্তু মায়ের গর্ভের মতো এই প্রকৃতি যদি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে, তবে মানুষের জন্য তা দুঃস্বপ্নের মত হয়ে দাঁড়ায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ঘটে যাওয়া ইউরোপীয় শিল্পবিপ্লব পুঁজিবাদী সমাজের কাছে মুনাফা লোটার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ফলে শিল্প উন্নয়নের দানবীয় চ

সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়

“সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়” সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ক) কোন প্রসঙ্গে কবির এই মন্তব্য? খ) উজ্জ্বল স্তব্ধতার বিবরণ দাও। গ) উজ্জ্বল স্তব্ধতা কীভাবে শীতের দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে ব্যাখ্যা করো। ক) প্রসঙ্গ : উদ্ধৃত অংশটি নাগরিক কবি সমর সেনের লেখা ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ মহুয়ার দেশ ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি সারাদিনের নাগরিক জীবনের ক্লান্তিকর কর্মকাণ্ড শেষে অবসন্ন শরীর নিয়ে যখন সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন। এই ক্লান্ত অবসন্ন সময়ে ‘অলস সূর্য’ সন্ধ্যার জল-স্রোতে এঁকে দেয় এক অনিন্দ্য সুন্দর নৈসর্গিক প্রতিবিম্ব। কবি যাকে ‘গলিত সোনার মত উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন। পড়ন্ত বিকেলের এই নৈসর্গিক দৃশ্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। খ) উজ্জ্বল স্তব্ধতার বিবরণ : কবি কল্পনায়, কবির সাথে সাথে কর্মক্লান্ত সূর্যও যেন বেলা শেষে নিস্তেজ ও অলস হয়ে পড়ে। এই ক্লান্ত অবসন্ন ‘অলস সূর্য’ সন্ধ্যার জল-স্রোতে এঁকে দেয় এক অনিন্দ্য সুন্দর নৈসর্গিক প্রতিবিম্ব। কবির বর্ণনায়, অলস সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মত উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এই আলো জলের উপর ভাসমান ফেনায় লা

অলস সূর্য দেয় এঁকে

“অলস সূর্য দেয় এঁকে” “অলস সূর্য দেয় এঁকে” ক) উদ্ধৃত অংশটি কোন কবির কোন কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে? খ) কবি এখানে সূর্যকে ‘অলস’ বলেছেন কেন? গ) এ প্রসঙ্গে কবি যে নৈসর্গিক চিত্র এঁকেছেন তার বর্ণনা দাও। ক) কোন কবির কোন কবিতা : উদ্ধৃত অংশটি নাগরিক কবি সমর সেনের লেখা ‘ কয়েকটি কবিতা ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ মহুয়ার দেশ ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। খ) সূর্যকে ‘অলস’ বলার কারণ : সূর্য হল সৌরমণ্ডলের সমস্ত শক্তির আধার। এই কবিতায়ও সে প্রাণশক্তির প্রতীক। সারাদিনের প্রচন্ড সূর্য কিরণ বিতরণ করে পৃথিবীর জীব মন্ডলকে সে প্রাণবন্ত করে তোলে। দিনশেষে সে যেন নিজেই ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় সে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে জেগে ওঠার জন্য ফিরে যেতে চায় গভীর ঘুমের দেশে। কবির কল্পনায়, তাই সে এখন শ্রম-ক্লান্ত এক ‘অলস সূর্য’। গ) ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় নৈসর্গিক চিত্র : প্রকৃতি প্রেমিক ও নাগরিক কবি সমর সেন প্রকৃতির প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ উপলব্ধি করেছেন এই কবিতায়। ভালোবেসেছেন তার অপরূপ সৌন্দর্যকে। সেই ভালোবাসার টানেই তার কলমের আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন এক নৈসর্গিক চিত্রপট। সারাদিনের নাগরিক জীবনের ক্লা

মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশে যেতে চান কেন? সেখানে তাঁর আশাভঙ্গের কারণ কী?

‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশে যেতে চান কেন? সেখানে তাঁর আশাভঙ্গের কারণ কী? ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশে যেতে চান কেন? সেখানে তাঁর আশাভঙ্গের কারণ কী? ভূমিকা : নাগরিক কবি সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতাটি নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতায় ও একঘেয়েমিতে ক্লান্ত, একজন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষের জীবন যন্ত্রণার অনবদ্য প্রতিচ্ছবি। মহুয়ার দেশে যেতে চাওয়ার কারণ : এই কবিতার প্রথম পর্বে কবি নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতা ও একঘেয়েমি থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় নিতে চেয়েছেন। তাই এক সময় শহর জীবন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন আদিম অরণ্যের বুকে, যেখানে আছে ‘ মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ ’। কারণ, কবির রোমান্টিক ভাবনায় ধরা পড়েছিল, এই মহুয়ার দেশে রয়েছে দীর্ঘ দেবদারু গাছের সুদীর্ঘ রহস্যময় প্রগাঢ় ছায়া। রয়েছে ‘দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস’, যা রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। কবির কথায়, আর দুর সমুদ্রের দীর্ঘ শ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোরিত করে। এ যেন, মৃদঙ্গ-করতালের বলবান শব্দের ঘনঘটার মধ্যে বেহালার একটি তারের একটানা তান যেমন সকলকে ছাপিয়ে বুকের ভেতরে বাজতে থাকে, তেম

কবিতা 'মহুয়ার দেশ' - কবি সমর সেন

কবিতা : মহুয়ার দেশ কবিতা : 'মহুয়ার দেশ কবি : সমর সেন ১ মাঝে মাঝে সন্ধার জলস্রোতে পলাশ সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ, আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়। সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো। অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ, সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য, আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল নামুক মহুয়ার গন্ধ।                                             ২                                             এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে                                             মাঝে মাঝে শুনি                                             মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির                                             গভীর, বিশাল শব্দ,                                             আর শিশিরে-ভেজা সবুজ সকালে                                             অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,                                    

মহুয়ার দেশ কবিতার মূল বক্তব্য

 ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার মূল বক্তব্য The essence of the poem 'Mahuar Desh' ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার মূল বক্তব্য় ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার দুটি পর্বে কবির যে আলাদা আলাদা বক্তব্য ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো। অথবা, ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশের যে চিত্র অঙ্কন করেছেন তার পরিচয় দাও। 🔘 ভূমিকা : নাগরিক কবি সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতাটি নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতায় ও একঘেয়েমিতে ক্লান্ত, একজন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষের জীবন যন্ত্রণার অনবদ্য প্রতিচ্ছবি। 🔘 নাগরিক কবির স্বপ্ন : দুই পর্বে ভাগ করা এই কবিতার প্রথম পর্বে কবি নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতা ও একঘেয়েমি থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় নিতে চেয়েছেন। কোলাহল মুখর শহরের পড়ন্ত বিকেলে ‘অলস সূর্য’ বিদায় নেয়ার সময় ‘গলিত সোনার মত’ যে ‘উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ’ এঁকে দেয় ‘সন্ধ্যার জলস্রোতে’, তা কবিকে মুগ্ধ করে। কবির উপমায় তা এভাবে ফুটে ওঠে : অলস সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ, আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়। কিন্তু ক্ষণিকের এই মুগ্ধতা কবি চিত্রকে আলোড়িত করলেও অচিরেই তার মোহভঙ্গ ঘটে।

সকল দেনা শোধ করে দিতে

 “সকল দেনা শোধ করে দিতে” “সকল দেনা শোধ করে দিতে” ক) বক্তা কে? খ) কীসের দেনা? অথবা, মৃত্যুতে ‘সকল দেনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ) কীভাবে এই দেনা শোধ করা যাবে বলে কবি মনে করেছেন? অথবা, সে ‘দেনা’ কবি কীভাবে শোধ করতে চেয়েছেন? ঘ) তাঁর এই মনোভাবটি কোন বিশেষ মূল্যবোধকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে? ক) বক্তা কে : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারায়ণের কূলে কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে কবি নিজেই উদ্ধৃত অংশটির বক্তা। খ) কীসের দেনা : জীবন সায়াহ্নে এসে কবি উপলব্ধি করেছেন, এ জগত স্বপ্ন নয়, কঠিন বাস্তব। সুখ দুঃখের বৈঠা বেয়ে কবি মুখোমুখি হয়েছেন সেই কঠিন বাস্তবের। কঠিন বাস্তবের মধ্যে দিয়ে হেঁটেই তিনি অর্জন করেছেন এক ‘দারুণ সত্য’। এই দারুণ সত্য হল বিশ্ব প্রকৃতি এবং মানব সমাজের ক্রমবিকাশ যে কঠিন যোগসূত্রে (রক্তের অক্ষরে) গাঁথা আছে তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। এ অর্জন তিনি তাঁর সুখ-দুঃখে ভরা জীবন-যন্ত্রনার কল্যাণেই করেছেন। এ কারণেই তাঁর মনে হয়েছে, জীবনের কাছে তিনি ঋণী। জীবনের কাছে তাঁর এই ঋণকেই তিনি ‘ সকল   দেনা ’ বলে অভিহিত করেছেন। গ) কীভাবে দেনা শোধ করা যাবে: জীবন ও মৃত্যু - এক