সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আমার বিবেক আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে।

“আমার বিবেক, আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে।” আমার বিবেক আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে আমার বিবেক আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে ক) এমন অনুভূতি কার? খ) তাঁর এমন অনুভূতির কারণ কী? গ) উক্তিটির মধ্য দিয়ে যে প্রতিবাদী উচ্চারণ ধ্বনিত হয়েছে তার তাৎপর্য আলোচনা করো। ক) এমন অনুভূতি কার? উদ্ধৃত অংশটি কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। এই অংশে যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা কবির নিজের। খ) তাঁর এমন অনুভূতির কারণ কী? ভাইয়ের মৃত্যু, নিখোঁজ মেয়ের জঙ্গলে পাওয়া ছিন্ন ভিন্ন শরীর, কবির মধ্যে একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে ক্রোধ, দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধের। সমাজ সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী  কবি মৃদুল দাশগুপ্ত  তাই বিধাতার বিচারের আশায় বসে থাকতে পারেননি। নিজেই নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এভাবে, আমি কি তাকাব আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে? এই পরিস্থিতিতে তিনি কলম তুলে নেন প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে। বলেন, আমি তা পারি না। যা পারি কেবল সে-ই কবিতায় জাগে সমাজ সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী কবি এই কারণেই (বিধির বিচারের আশায় বসে না থাকতে পারার কারণে) কবিতাকে

সে-ই কবিতায় জাগে

“সে-ই কবিতায় জাগে” সে-ই কবিতায় জাগে “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” ক) কোন্ কবিতার কথা বলা হয়েছে? খ) ‘সে’ কে? খ) কবিতায় কী জাগার কথা বলতে চেয়েছেন কবি? গ) এই জাগার ফলাফল কী হবে বলে কবি আশা করেছেন? ক) কোন্ কবিতার কথা বলা হয়েছে? কবি মৃদুল দাশগুপ্তে র লেখা ‘ ধানক্ষেত থেকে ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ পাঠ্য কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এখানে ‘কোন্ কবিতায়' বলতে কবির এই কবিতাকেই ( ক্রন্দনরতা জননীর পাশে) বোঝানো হয়েছে। খ) ‘সে’ কে? ‘ সে’ বলতে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রতিবাদী সত্তার কথা কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিবাদী সত্তার কারণেই তিনি ২০০৬-৭ সালের জমি আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন এবং লিখেছিলেন ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ নামক এই প্রতিবাদী কবিতা। খ) কবিতায় কী জাগা’র কথা বলতে চেয়েছেন কবি? সিঙ্গুর জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছিলেন। একের পর এক জননী সন্তান হারা হচ্ছিলেন। কখ

“আমি তা পারি না। যা পারি কেবল”

“আমি তা পারি না। যা পারি কেবল” - ২০১৮, ২০২২ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” ক) আমি কে? খ) তিনি কী পারেন না? গ) তিনি কেন তা পারেন না? অথবা, তার এই বক্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো। ঘ) না পারার বেদনা তাঁকে কীভাবে আলোড়িত করেছে কবিতা অবলম্বনে লেখো। ঙ) তিনি কী পারেন? অথবা, বক্তা কীভাবে তাঁর কর্তব্য পালন করতে চান? ক) আমি কে? ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। লিখেছেন  কবি মৃদুল দাশগুপ্ত । এই কবিতায় ‘ আমি ’ বলতে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত নিজেকেই বুঝিয়েছেন। খ) তিনি কী পারেন না? কবি বাংলার কৃষককে বঙ্গজননীর সন্তান হিসেবে দেখেছেন। কৃষিজমি আন্দোলনের সূত্র ধরে কৃষি জমি রক্ষার্থে যখন কৃষক পরিবারের সন্তান নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বলি হয়েছেন, তখন কবির কাছে তা ‘বঙ্গজননীর সন্তান হত্যা’ হিসাবেই বিবেচিত হয়েছে। এই হত্যা তার কাছে জঘন্য এবং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেছেন, তার সহ-নাগরিকদের বড় অংশই এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নিদারুণভাবে নিস্পৃহ থাকছেন। প্রতিবাদ না জানিয়ে তারা যেন বিধাতার কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দিয়ে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেল

“আমি কি তাকাব আকাশের দিকে / বিধির বিচার চেয়ে?”

“আমি কি তাকাব আকাশের দিকে / বিধির বিচার চেয়ে?” “আমি কি তাকাব আকাশের দিকে / বিধির বিচার চেয়ে?” “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” ক) কে, কোন্ প্রসঙ্গে কাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন? খ) তিনি কোন্ বিচারের কথা উল্লেখ করেছেন? গ) তাঁর মনে এই দ্বন্দ্বমূলক প্রশ্ন জাগার কারণ কী? ঘ) তিনি বিধির বিচার প্রত্যাশা করেন না কেন? ঙ) এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো। ক) কে, কোন্ প্রসঙ্গে কাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন? কবি মৃদুল দাশগুপ্তে র ‘ ধানক্ষেত থেকে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, শিল্পের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ করার প্রতিবাদে কৃষি জমি রক্ষা কমিটি কৃষক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। এক পর্যায়ে এই আন্দোলন ও তার পাল্টা আন্দোলন হিংসাশ্রয়ী রূপ নেয় । একের পর এক সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে থাকে বাংলা জুড়ে। কবি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারও ভাই অথবা মেয়ের ছিন্নভিন্ন লাশ দেখে অন্তত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে এও লক্ষ্য করেন, নাগরিক সমাজের একটা বড়

“কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ / কীসের মূল্যবোধ!”

৬) “কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ / কীসের মূল্যবোধ!” “কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ / কীসের মূল্যবোধ!” “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” ক) বক্তা কে? খ) কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন তুলেছেন? অথবা , কোন্ মানসিক যন্ত্রণা থেকে কবি একথা বলেছেন? ক) বক্তা কে? কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। উক্ত উদ্ধৃটির বক্তা হলেন  কবি মৃদুল দাশগুপ্ত  নিজেই। খ) কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন তুলেছেন? অথবা, কোন্ মানসিক যন্ত্রণা থেকে কবি একথা বলেছেন? শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং তার বিপরীতে কৃষি জমি রক্ষার তাগিদে কৃষকের জমি রক্ষা কমিটির আন্দোলন — একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশককে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কবি লক্ষ্য করেছেন, কৃষি জমি রক্ষার তাগিদে কৃষক সমাজ জীবন বাজি রেখে গণআন্দোলনে ঝঁপিয়ে পড়ছেন। আন্দোলনের একটি পর্বে এসে দেখেন, সেই আন্দোলন ও তার পাল্টা প্রতিরোধ আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করেছে। আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলনের নাম করে মানুষের এই মৃত্যুকে কবি সমর্থন করতে পারেননি। তাই জীবন বিপন্ন হওয়া

“নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ”

৫) “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ”  “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় ক্রোধ” ক) কবি কাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন? খ) কোন প্রসঙ্গে কবির এই প্রতিক্রিয়া? অথবা, ক্রোধের কারণ কি? গ) এ প্রসঙ্গে কবির প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করো। ক) কবি কাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন? উদ্ধৃত অংশটি  কবি মৃদুল দাশগুপ্ত  রচিত ‘‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি ২০০৬-৭ সালে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে যে ‘কৃষি জমি রক্ষা কমিটি’র গণআন্দোলন সংঘটিত হয়, তাতে মৃত্যুবরণ করা মানুষদের ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন। খ) কোন্ প্রসঙ্গে কবির এই প্রতিক্রিয়া? অথবা, ক্রোধের কারণ কি? কবি মৃদুল দাশগুপ্ত  ছিলেন একজন সমাজ-সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী মানুষ। মানুষের কল্যাণ তাঁকে যেমন আহ্লাদিত করে, তেমনি অকল্যাণ করে ব্যথিত। আলোচ্য সময়ে জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কবি সমাজের যে নগ্নতা ও অবক্ষয় দেখেছিলেন, তা কবিকে একাধারে ব্যথিত ও অস্থির করে তুলেছিল। তাঁকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল, সন্তানহারা জননীর চোখের জল।  ক

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে / এখন যদি না-থাকি

৩) “ক্রন্দনরতা জননীর পাশে / এখন যদি না-থাকি” ক্রন্দনরতা জননীর পাশে / এখন যদি না-থাকি “ক্রন্দনরতা জননীর পাশে / এখন যদি না-থাকি” ক) ‘এখন’ বলতে কোন সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে? খ) সেই সময় জননী ক্রন্দনরতা কেন? গ) কবি ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে চেয়েছেন কেন? ক) ‘এখন’ বলতে কোন সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে? কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন, রাজনৈতিক হানাহানিতে সমাজে নেমে আসছে গভীর অবক্ষয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের যে মানবিক সম্পর্ক তা মুছে যাচ্ছে। সমাজ হিংসা ও প্রতিহিংসার ভয়ংকর রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। মানুষ ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সম্প্রীতিবোধ-সহ সমস্ত মানবীয় মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে। বর্তমান শতকের প্রথম দশকে শিল্পের জন্য জমি অধিকরণকে কেন্দ্র করে এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এই বাংলায়। কবি মৃদুল দাশগুপ্ত এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সময়কালকে ‘ এখন’ বলে উল্লেখ করেছেন খ) সেই সময় জননী ক্রন্দনরতা কেন? কবি লক্ষ্য করেন, এই সময়ে, সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে এবং সেই

“কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া / কেন তবে আঁকাআঁকি”

“কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া / কেন তবে আঁকাআঁকি” “কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া / কেন তবে আঁকাআঁকি” “কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া / কেন তবে আঁকাআঁকি” ক) প্রশ্নগুলি কার? কোন প্রসঙ্গে করেছেন? খ) কবির মধ্যে কেন এই প্রশ্ন অনিবার্য হয়ে উঠেছে? অথবা, একথা বলার কারণ কী? গ) এই মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে কবির কোন্ বিশেষ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে? ক) প্রশ্নগুলি কার? কোন প্রসঙ্গে করেছেন? উদ্ধৃত অংশটি কবি মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ নামক কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। উদ্ধৃত অংশে যে প্রশ্নগুলি এসেছে তা আসলে কবি নিজেই নিজের বিবেকের কাছে  করেছেন। বর্তমান শতকের প্রথম দশকের দ্বিতীয়ার্ধে এপার বাংলায় শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে যে কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল, তাকে পটভূমি করেই কবি এই কবিতা লিখেছেন। আন্দোলনের একটি পর্যায়ে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়। নির্বিচারে মানুষের মৃত্যুকে একটি নিরীহ কর্মের মতো বিবেচিত হতে থাকে। অধিকাংশ মানুষই প্রতিক্রিয়া হীন থাকাকেই শ্রেয় বলে বিবেচনা করতে থাকে। কিন্তু কবির মধ্যে ছিল প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। মনের মনিকোঠায় জমা ছিল মানুষের জন্য প্রেম ভাল

‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি জননীকে কেন ক্রন্দনরতা বলেছেন?

‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি জননীকে কেন ‘ক্রন্দনরতা’ বলেছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো। কবি এখানে নিজেকে কোন্ ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন? ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি জননীকে কেন ক্রন্দনরতা বলেছেন? অথবা, ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার জননীকে ‘ক্রন্দনরতা’ বলে উল্লেখ করা হলো কেন? কবি তাঁর কি কর্তব্য এ কবিতায় নির্দিষ্ট করেছেন? ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার জননীকে ‘ক্রন্দনরতা’ বলে উল্লেখ করা হলো কেন? 👉 ভূমিকা : একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সিঙ্গুরে কৃষি জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে, তার অভিঘাতে নাগরিক জীবন যে অমানবিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল, তারই প্রেক্ষাপটে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত   লিখেছেন ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ কবিতাটি। ১) জননীকে কেন ‘ক্রন্দনরতা’ বলেছেন : কবি লক্ষ্য করেছেন, এই সময়ে, সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে এবং সেই জমিকে এক ফসলী অথবা অনাবাদি জমি হিসেবে চিহ্নিত করে এই অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ফলে কৃষক সমাজ এই অধিগ্রহণ বিষয়ে আড়াআড়ি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। শুরু হয় ব্যপক গণআন্দোলন। এই

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় সমকালীন সামাজিক অবক্ষয় ও মানবতার অমলিন প্রেক্ষাপট

সমকালীন সামাজিক অবক্ষয় ও মানবতার অমলিন প্রেক্ষাপট চিত্রিত হয়েছে ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় — আলোচনা করো। ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় সমকালীন সামাজিক অবক্ষয় ও মানবতার অমলিন প্রেক্ষাপট ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় সমকালীন সামাজিক অবক্ষয় ও মানবতার অমলিন প্রেক্ষাপট ‘‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’’ কবিতায় সমকালীন সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যেও মানবতাবোধের প্রকাশ ঘটেছে তা আলোচনা করো। 👉 ভূমিকা : কবি মৃদুল দাশগুপ্ত  একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে পশ্চিমবাংলা কৃষি জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তারই অভিঘাতে নাগরিক জীবন যে অমানবিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল, তারই প্রেক্ষাপটে লিখেছেন ‘ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ’ কবিতাটি। ১) সামাজিক অবক্ষয়ের পরিচয় : আলোচ্য সময়ে কবি লক্ষ্য করেছেন, শিল্পের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে এবং উর্বর জমিকে এক ফসলী অথবা অনাবাদি জমি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে কিছু মানুষ অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে আন্দোলন করছে। ফলে রাজনীতির মঞ্চ উত্তাল হয়ে ওঠছে প্রতিবাদ প্রতিরোধের আবহে। এক পর্বে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন ও তার পাল্টা আন্দ

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে - কবি মৃদুল দাশগুপ্ত

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা : ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ক্রন্দনরতা জননীর পাশে এখন যদি না-থাকি কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া কেন তবে আঁকাআঁকি? নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে না-ই যদি হয় ক্রোধ কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ কিসের মূল্যবোধ! যে-মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন জঙ্গলে তাকে পেয়ে আমি কি তাকাবো আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে? আমি তা পারি না। যা পারি কেবল সে-ই কবিতায় জাগে আমার বিবেক, আমার বারুদ বিস্ফোরণের আগে। ----------xx--------- 👁️‍🗨️ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর :  এখানে ক্লিক করো ।

আমি দেখি

“আমি দেখি” আমি দেখি ক) আমি কে? খ) তিনি কি দেখতে চেয়েছেন? গ) তিনি তা কেন দেখতে চেয়েছেন? ঘ) তার এই দেখার মধ্যে সৌখিনতা না কি প্রয়োজনীয়তার তাগিদ রয়েছে তা যুক্তিসহ আলোচনা করো। ঙ) পঙ্ক্তিটি সমগ্র কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করো। অথবা, কবির গাছ লাগানোর এই নির্দেশ ও অনুরোধের কারণ ও তাৎপর্য আলোচনা করো। ক) আমি কে? কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। এখানে ‘ আমি’ বলতে প্রকৃতিপ্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় নিজেকেই বুঝিয়েছেন। খ) তিনি কী দেখতে চেয়েছেন? রোগমুক্ত শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে মানুষ ও বৃক্ষের সহাবস্থান অত্যন্ত জরুরী। আর এ কারণেই কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সবুজ শূন্য শহরে তাঁর সহনাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে শহরজুড়ে সবুজের বাগান গড়ে তুলতে। শহর জুড়ে লাগানো এই সবুজ বাগানই তিনি আমরণ দেখতে চেয়েছেন। গ) তিনি তা কেন দেখতে চেয়েছেন? কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিংশ শতকের অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার অবক্ষয়ের পটভূমিতে এই কবিতাটি রচনা করেছেন। এই সময়কালে তিনি লক্ষ্য করেছেন, নগ

চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান

“চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান” চোখ তো সবুজ চায় / দেহ চায় সবুজ বাগান ক) কার চোখ ‘সবুজ’ চায়? খ) চোখ কেন সবুজ চায়? গ) চোখ ও দেহের সঙ্গে সবুজ বাগানের সম্পর্ক কী? ঘ) কবির এই মন্তব্যটির যথার্থতা (সার্থকতা) কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো। ঙ) এই মন্তব্যের আলোকে গাছের প্রতি কবির মমত্ববোধ কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো। ক) কার চোখ ‘সবুজ’ চায়? প্রকৃতি প্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবির নিজের চোখ সবুজের আকাঙ্ক্ষী। খ) চোখ কেন সবুজ চায়? পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয় হল চোখ। এই চোখকে মনের আয়না বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, চোখের সঙ্গে মানুষের মনের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। চোখের তৃপ্তি মনের তৃপ্তিকে ত্বরান্বিত করে। আমাদের চোখের সঙ্গে সবুজ রঙের রয়েছে প্রগাঢ় প্রীতির সম্পর্ক। বিশেষ করে সবুজ গাছের সজীব পাতায় মোড়া বাহারী বাগান মানুষের মনকে উজ্জীবিত করে তোলে। প্রকৃতি প্রেমিক কবির শহরের অসুখে আক্রান্ত ও বিধ্বস্ত নাগরিক মনকে উজ্জীবিত করার জন্য চোখ সবুজ চায়। গ) চোখ ও দেহের স

তাই বলি, গাছ তুলে আনো

“তাই বলি, গাছ তুলে আনো” তাই বলি, গাছ তুলে আন ক) বক্তা কে? খ) তিনি কেন গাছ তুলে আনতে বলছেন? গ) উদ্ধৃতিতে তাই শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন? ঘ) উদ্ধৃতিতে কবি যে আন্তরিক আবেদন প্রকাশ পেয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। ক) কে, কোথায় একথা বলেছেন? প্রকৃতিপ্রেমিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘অঙ্গুরি তোর হিরণ্য জল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। খ) গাছ তুলে আনতে বলার কারণ : আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয়, কবির এই উক্তিটি পরিবেশ বিরোধী। কিন্তু ‘ আমি দেখি ’ কবিতাটি এক ঝলক পড়লেই বোঝা যায় এই কবিতার মর্মবস্তু হল বৃক্ষরোপণের আহ্বান সম্বলিত একটি কাব্যিক সন্দর্ভ । আসলে কবি জানেন মানুষ-সহ সমস্ত জীব প্রকৃতির ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। উভয়ের সম্পর্ক অনেকটা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের মতো। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের ক্ষমতার জোরে এই সম্পর্ককে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত লাভ ও লোভের বশবর্তী হয়ে বৃক্ষ নিধনে মেতে ওঠে। ফলে নাগরিক জীবনে নেমে আসে ক্লেদ ক্লান্তি ও অবসাদ। যন্ত্র সভ্যতার দাপটে প্রকৃতি বৃক্ষ শূণ্য হয়ে নির্মলতা ও কোমলতা হারিয়ে মানুষের পক্ষে অসহনীয় হয়ে প

সবুজের অনটন ঘটে

“সবুজের অনটন ঘটে” সবুজের অনটন ঘটে ক) ‘সবুজের অনটন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ) কোথায় ‘সবুজের অনটন’ ঘটে? গ) সবুজের অনটনের কারণ কী? ঘ) সবুজের অনটন কাটাতে কী করা প্রয়োজন বলে কবি মনে করেছেন? ক) সবুজের অনটন : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ আমি দেখি ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, দ্রুত নগরায়ন এবং যন্ত্র-সভ্যতার প্রসারের কারণে শহর কীভাবে বৃক্ষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। সভ্যতার অগ্রগতির নাম করে এভাবে শহরকে বৃক্ষশশূন্য করে ফেলার মানসিকতাকে কবি ‘শহরের অসুখ’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর এই অসুখের দাপটে পাল্লা দিয়ে কমেছে শহরের সবুজ গাছ। এভাবে শহর জুড়ে সবুজের দ্রুত কমে যাওয়াকে কবি এই কবিতায় ‘ সবুজের অনটন’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) কোথায় ‘সবুজের অনটন’ ঘটে? মানব সভ্যতার অগ্রগতির হাত ধরে বিশ্বব্যাপী গড়ে উঠতে থাকে নগর সভ্যতা। এইভাবে নগরায়ন এবং যন্ত্র সভ্যতার দূষণের কারণে শহরের সবুজ এক সময় গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ মানুষ গাছ কেটে আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে গিয়ে শহর বা নগরে ‘ সবুজের অনটন’ ডেকে আনে। গ) সবুজের অনটনের কারণ কী? মানব সভ্যতার অগ