সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এই তো জীবনের নিয়ম!

“এই তো জীবনের নিয়ম!” “এইতো জীবনের নিয়ম” নাটক : নানা রঙের দিন ক) জীবনের নিয়ম কী? খ) এখানে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও। অথবা, এখানে বক্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়? ক) জীবনের নিয়ম কী? নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নানা রঙের দিন নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই অংশের বক্তা নাটকের মূল চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ৬৮ বছর বয়সী রজনীকান্ত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছেন জীবনের সত্য কী? বুঝেছেন জীবন চলে কিছু নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে, যেখানে আছে জন্ম, যৌবন, জরা, ও মৃত্যুর এক অমোঘ ঘেরাটোপ। জীবনকে ঘিরে থাকা এই নিয়মের বন্ধনকেই রজনীকান্ত ‘ জীবনের নিয়ম ’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) এখানে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও। অথবা, এখানে বক্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়? রজনীকান্ত বুঝেছেন জীবনের সত্য কী? জেনেছেন জীবনকে ঘিরে থাকা নিয়মের অমোঘ বন্ধনকে। জীবন চলে এই নির্দিষ্ট নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে। এই নিয়মকে খন্ডানোর ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বুঝেছেন, জন্ম, যৌবন, জরা এবং মৃত্যু স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষের জীবনে আসে। একে অতিক্রম করা যায় না। কোন প্রতিভাই এই নিয়মক

এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ

“এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ।” এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ। নাটক : নানা রঙের দিন  ক) উক্তিটি কার? খ) বক্তা জীবনের কোন্ সত্যের কথা বলতে চেয়েছেন? অথবা, জীবনের সত্য কী? গ) বক্তা কীভাবে এই সত্যে উপনীত হলেন? ক) উক্তিটি কার? নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একাঙ্ক নাটক নানা রঙের দিন। এই নাটকের মঞ্চাভিনেতা ও মুখ্য চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। খ) বক্তা জীবনের কোন্ সত্যের কথা বলতে চেয়েছেন? অথবা, জীবনের সত্য কী? বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। দীর্ঘ ৪৫ বছরের অভিনয় জীবনের মধ্য দিয়েই এই জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছেন। এবং অতুলনীয় প্রতিভার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস। বর্তমানে তাঁর বয়স হয়েছে। তাই মানুষ ভেবেছে তাঁর প্রতিভার অপমৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মোমের আলোয় দর্শকহীন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘ সাজাহান ’ নাটকের ঔরঙ্গজেবের সেই ভয়ংকর সিনটা সফল ভাবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, বয়স বাড়লেও তাঁর অভিনয় প্রতিভার মৃত্যু হয়নি। পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাই তিনি বলেছেন, “প্রতিভা যাঁর আছে, বয়েসে তাঁর কী আসে যায়!” নিজের প্রতিভা সম্পর্কে

আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা

“আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা।” আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা ক) বক্তা কে? খ) কোন প্রসঙ্গে এই উপলব্ধি? গ) বক্তা কোন্ কথাটা বুঝতে পেরেছিলেন? ক) বক্তা কে? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই উদ্ধৃতির বক্তা হলেন, ৬৮ বছরের প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। খ) কোন প্রসঙ্গে এই উপলব্ধি? অভিনয় জীবনের ৪৫ বছর পার করেছেন প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। একদিন রাতে, ৬৮ বছর বয়সে, তিনি স্মৃতির সরণী বেয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ফেলে আসা দিনগুলির গৌরব উজ্জ্বল সময়কে ছুঁয়ে দেখার তাগিদে। অভিনয় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পার্শ্বচরিত্র ‘ দিলদার’ -এর ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে এই রাতেই ঘুম থেকে উঠে তিনি বুঝতে পারলেন দর্শকের অন্তরে তাঁর অজান্তেই তাঁর প্রতিভার অপমৃত্যুর হয়েছে। এই রাতের উপলব্ধির কথা তার সহকারি প্রম্পটার কালীনাথ জানানো প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন। গ) বক্তা কোন্ কথাটা বুঝতে পেরেছিলেন? গভীর রাতের নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে রজনীকান্ত ফ্ল্যাশব্যাক

প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ

“... প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।” — ২০১৯ প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ ক) কে বলেছেন? খ) এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন? ক) কে বলেছেন? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ নাটক থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন, ৬৮ বছরের প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। খ) এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন? অভিনয় জীবনের ৪৫ বছর পার করেছেন প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। একদিন রাতে, ৬৮ বছর বয়সে, তিনি স্মৃতির সরণী বেয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ফেলে আসা দিনগুলির গৌরব উজ্জ্বল সময়কে ছুঁয়ে দেখার তাগিদে। গভীর রাতের নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ফ্ল্যাশব্যাকে দেখছেন অভিনয়ের টানে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন। দেখছেন, অভিনয়কে ভালবেসে একজন অভিনেতা কীভাবে অনায়াসে ছেড়েছিলেন জীবনের প্রথম প্রেম ও সুন্দরী নারীকে। এভাবে প্রেমকে হারানোর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তিনি বুঝেছিলেন, সমাজে একজন অভিনেতাদের মূল্য ঠিক কতটা। বুঝেছিলেন, একজন অভিনেতার মূল্য সার্কাসের একজন জোকারের চেয

নানা রঙের দিন নাটকের মঞ্চ সজ্জার বিবরণ ও নাটকটির নামকরণের সার্থকতা

‘নানা রঙের দিন’ নাটকের সূচনায় মঞ্চসজ্জার যে বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় লেখো। নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো। — ২০২০ নানা রঙের দিন নাটকের মঞ্চ সজ্জার বিবরণ ও নাটকটির নামকরণের সার্থকতা ভূমিকা : রুশ নাট্যকর অন্তন চেখভের ‘সোয়ান সং’ একাঙ্ক নাটক অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন ‘নানা রঙের দিন’ নামক একটি নাটক। এই নাটকের শুরুতে নাটকটির অভিনয়ের জন্য একটি মঞ্চ সাজ্যার বিবরণ পাওয়া যায়। মঞ্চ সজ্জার বিবরণ : এই নাটক অভিনয়ের জন্য যে মঞ্চসজ্জার বিবরণ পাওয়া যায় তার পরিসর অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ও ক্ষুদ্র। পেশাদারী থিয়েটারের ফাঁকা মঞ্চের পিছনের দিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি মাত্র দৃশ্যপট। যেখানে রয়েছে রাতে অভিনীত নাটকের জিনিসপত্র আর যন্ত্রপাতি, মঞ্চের মাঝে রয়েছে একটি উল্টানোর টুল, আর চারিদিকে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার। আর রয়েছে একটি মোমবাতি হাতে হাসিমুখে রজনীকান্ত নামক চরিত্রের মঞ্চে উপস্থিতি। নামকরণের সার্থকতা : প্রশ্নের এই অংশের উত্তরের জন্য নিচের প্রশ্নটির উত্তর দেখাও। এবং সংক্ষেপে লেখার চেষ্টা করো। 👁️‍🗨️  ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য আলোচনা করো ।

অভিনেতা মানে একটা চাকর — একটা জোকার, একটা ক্লাউন

“অভিনেতা মানে একটা চাকর — একটা জোকার, একটা ক্লাউন। লোকেরা সারাদিন খেটেখুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটক-ওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য” — ২০১৬ অভিনেতা মানে একটা চাকর — একটা জোকার, একটা ক্লাউন  নাটক : নানা রঙের দিন। ক) বক্তা কে? খ) কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? খ) বক্তার কথার তাৎপর্য আলোচনা করো। ক) বক্তা কে? রুশ নাট্যকর অন্তন চেখভের ‘সোয়ান সং’ একাঙ্ক নাটক অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন ‘নানা রঙের দিন’ নামক একটি নাটক। এই নাটকের মুখ্য চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়, একজন আটষট্টি বছরের প্রবীণ অভিনেতা। এই প্রবীণ অভিনেতাই এই উদ্ধৃতির বক্তা। খ) বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তখন অভিনয় জীবনের মধ্য গগনে বিরাজ করছেন। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম, যশ, খ্যাতি। সেই খ্যাতির সাঁকোয় চড়ে একদিন আসে এক প্রেম। একদিন এই প্রেমকে পরিণতি দেওয়ার কথা বললেই বাধে গোল। প্রেমিকা শর্ত দেয়, বিয়ে করতে হলে অভিনয় ছাড়তে হবে। রজনীকান্ত অভিনয়কে প্রাণের চেয়েও ভালোবসেন। তাই ছাড়তে পারেননি। বিয়েটাও তাই হয়নি। প্রেমিকার কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার দিন রাত্রে একটি অভিনয়

আমাদের দিন ফুরিয়েছে!

“আমাদের দিন ফুরিয়েছে!” আমাদের দিন ফুরিয়েছে! - নাটক : নানা রঙের দিন  ক) কে, কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? খ) বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো। ক) কে, কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক ‘ নানা রঙের দিন ’। এই নাটকের মুখ্য চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় । অভিনয় জীবনের স্বর্ণযুগ পেরিয়ে জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। শিল্পের প্রতি ভালবাসা এবং প্রতিভার জোরে একাকীত্বকে উপেক্ষা করার সাহস নিয়ে তিনি সবকিছু ছেড়ে অভিনয়ে জগতকে বেছে নিয়েছিলেন ভালোবাসার একমাত্র ক্ষেত্র হিসেবে। কিন্তু আজ নায়কের চরিত্র থেকে তিনি বাদ পড়েছেন। অভিনয় করতে বাধ্য হচ্ছেন ‘ দিলদার ’ নামক একটি পার্শ্বচরিত্রে। ফলে তাঁর মধ্যে তৈরি হয়েছে এক নেতিবাচক অনুভূতি, যা তাঁর মনে তীব্র হতাশার জন্ম দিয়েছে। এই হতাশার কথা প্রকাশ প্রসঙ্গেই রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রম্পটার কালিনাথ সেন কে এই মন্তব্যটি করেন। খ) বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো : মধ্যরাতের দর্শকশূন্য প্রেক্ষাগৃহের অন্ধকার মঞ্চে একটি মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়ে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর অতীত অভিনয় জীবনের

নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র

‘নানা রঙের দিন’ নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো। নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র অথবা, ‘ নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের যে নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্বের ছবি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো। ভূমিকা : রুশ নাট্যকর অন্তন চেখভে র ‘ সোয়ান সং’ একাঙ্ক নাটক অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন ‘ নানা রঙের দিন ’ নাটকটি। এই নাটকের মুখ্য চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন আটষট্টি বছরের প্রবীণ অভিনেতা। নাটকটিতে দর্শকশণ্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে কখনো একা, আবার কখনো প্রম্পটার কালীনাথ সেনের সঙ্গে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রজনীকান্ত যে কথাবার্তা বলেছেন তা থেকেই তার চরিত্রের দুটি দিক উন্মোচিত হয়েছে। একটি ব্যক্তির রজনীকান্ত, অন্যটি অভিনেতা রজনীকান্ত। ব্যক্তি রজনীকান্তের চরিত্র : ১) অভিনয় ছিল নেশার বস্ত : ব্যক্তির রজনীকান্ত পারিবারিক সূত্রে রাঢ়বাংলার একজন ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। যৌবন বেলায় অভিনয় ছিল তার নেশার বিষয়। এই নেশার টানেই তিনি পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ২) ব্যক্তিগত জীবন উপেক্ষিত : এই অভিনয়ের টানে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনকে

একাঙ্ক নাটক হিসেবে ‘ নানা রঙের দিন ’ কতখানি সার্থক

একাঙ্ক নাটক হিসেবে ‘নানা রঙের দিন’ কতখানি সার্থক আলোচনা করো — ২০১৭ একাঙ্ক নাটক হিসেবে ‘ নানা রঙের দিন ’ কতখানি সার্থক নাটকের বিভিন্ন আঙ্গিক আছে। একাঙ্ক নাটক তাদেরই একটি। একটিমাত্র অংক বা স্বর্গ বা পরিচ্ছেদ নিয়ে তৈরি দ্রুত সংঘটিত হওয়া নাটককেই একাঙ্ক নাটক বলে। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ — এমনই একটি একাঙ্ক নাটক। একাঙ্ক নাটকের বৈশিষ্ট্য : একান্ত নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর একমুখিতা। অর্থাৎ ১) এই নাটকে একটি মাত্র দৃশ্য থাকে,  ২) একই মঞ্চের ক্ষুদ্র পরিসরে তা সীমাবদ্ধ থাকে এবং মঞ্চসজ্জায় বাহুল্য থাকেনা।  ৩) স্থান, কাল ও পাত্রের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প চরিত্রের উপস্থিতি থাকে। এবং ৪) নাটকের ঘটনাবলী তার আকস্মিকতা নিয়ে তার শীর্ষবিন্দু বা ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে যায়। ১) একটি মাত্র দৃশ্যপট : অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচ্য নাটকটির সমগ্র অংশ জুড়ে রেখেছেন একটি মাত্র চরিত্রের এক রাতের কয়েক ঘন্টার স্মৃতিচারণ। এই চরিত্রের নাম রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। একটিমাত্র দৃশ্যেই তার জীবনের উত্থান ও সমাপ্তির ঘটনাবহুল চালচিত্র তুলে ধরেছেন। ২) মঞ্চের ক্ষুদ্র পরিসর : এই নাটক অভিনয়ের জন্য যে মঞ্চস

‘নানা রঙের দিন’ নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য

‘নানা রঙের দিন’ নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য আলোচনা করো। —২০১৫ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য ভূমিকা : নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ একটি ‘ একাঙ্ক নাটকে ’র অনিন্দ্য সুন্দর উদাহরণ। এই নাটকের কাহিনী এগিয়েছে একজন জীবন সায়ন্নে আসা অভিনেতার সাফল্যে ভরা  অতীত রঙ্গিন জীবন ও বর্তমান নিঃসঙ্গ জীবনের বেদনা বিধুর স্মৃতিচারণাকে কেন্দ্র করে। ভাব-সেতু নির্মাণ : সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, নামকরণের মাধ্যমে পাঠক ও পাঠ্যের মধ্যে একটি ভাবসেতু নির্মিত হয়, যাকে অবলম্বন করে পাঠক গল্প বা নাটকের গহীনে প্রবেশের প্রেরণা পায়। নামকরণের পদ্ধতি : গল্প, কবিতা কিম্বা নাটক, সমস্ত সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রেই নামকরণ মূলত তিনভাবে হয়ে থাকে। এগুলো হল, বিষয়কেন্দ্রিক, চরিত্রকেন্দ্রিক অথবা ব্যঞ্জনাধর্মী। নানা রঙের দিন একাঙ্ক নাটকটি নামকরণের ক্ষেত্রে ব্যঞ্জনাধর্মী বিষয়টিই ব্যবহৃত হয়েছে। বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ : এই নাটকের প্রধান চরিত্র অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় দিলদারের পোশাক পরে শূন্য প্রেক্ষাগৃহে মধ্যরাতে কিছুটা নেশার ঘোরে অতীত স্মৃতিচারণায় মগ্ন হয়েছেন। ত

দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা

দিল্লী, তুমি এমন হলে কেন? দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা  শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা Poems of Bahadur Shah Zafar II রেশমখানি অঙ্গে ধরে তব ধাঁধিয়েছিলে আমার দুটি চোখ, আধফোটা ফুল হৃদয়কমলতলে এই ঋতুরাজ তোমার সঙ্গী হোক। প্রাণের সাথে চলে প্রাণের খেলা তেমনি ছিলে ঘ্রাণের মত মোর সময় হলে সবার যেতে হয়- তুমিও গেলে ভেঙে সুখের দোর। অধর ছুঁয়ে অধর কথা বলে হৃদয় জানে ব্যথার গোপন সুর পাছে তোমার ভালবাসায় পড়ি তোমায় ছেড়ে যাচ্ছি বহু দূর আশার আলো নিভছে চিরতরে মনকে আমি বোঝাই নাকো আর ধুলোয় ছিলাম, ধুলোয় ফিরে যাব আমায় আজ কারই বা দরকার? দিল্লী তুমি আমার দেবপুরী আদর যেন বইত হাওয়ার ভেলা এখন তুমি জ্বলতে থাকা চিতা জমতে থাকা কান্না, অবহেলা। রাস্তা জুড়ে শবের স্তুপ জমে চোখের জল শুকিয়ে গেছে যেন মৃতেরা সব নেই তো কোনখানে দিল্লী, তুমি এমন হলে কেন? ছিন্ন হৃদয়, ছিন্ন মাংস-হাড় মনন জ্বলে দীর্ঘ সব শ্বাসে রক্তপুরী, সব হারাদের দেশ আমার চোখ সজল হয়ে আসে। চিরটাকাল সঙ্গে কে আর থাকে? সবার ভাগ্যে সব ভাল কি সয়? মনে ভাবি পরম নবীর বাণী সকল কিছু ভালোর জন্য হয়। অনুবাদ করেছেন কৌশিক মজুমদার

এই পবিত্রতার নামাবলীটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল...

“এই পবিত্রতার নামাবলীটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল...” সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা। ক) সেদিন বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? খ) সেদিন কী ফাঁস হয়ে গিয়েছিল? অথবা, ‘পবিত্রতার নামাবলিটা’ কী? অথবা, বক্তার এই মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো। গ) তা কোন দিন কিভাবে ফাঁস হয়ে গেল? অথবা, এই পবিত্রতার নামাবলিটা কোন্ দিন কীভাবে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল? ঘ) ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অবলম্বনে মন্তব্যটি তাৎপর্য লেখো। অথবা, এই মন্তব্যের মাধ্যমে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী বুঝিয়েছেন আলোচনা করো। ক) ‘সেদিন’ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? প্রথম জীবনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নাট্যাভিনয়ে দারুন পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন। সেই অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে একটি বড় লোকের সুন্দরী মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়ে। একসময় রজনীকান্ত তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটি শর্ত দেয়, অভিনয় ছাড়লেই কেবল সে তাঁকে বিয়ে করতে পারবে। কারণ, তার মতে, অভিনেতার সঙ্গে প্রেমর সম্পর্ক করা যায় কিন্তু বিয়ে করে সেই সম্পর্কে সামাজিক সম

এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করিনা

“এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করিনা।” ক) কোনটি ‘বাজে কথা’? খ) তাতে বিশ্বাস না করার কারণ বুঝিয়ে লেখো। ক) কোনটি বাজে কথা? উদ্ধৃত অংশটি নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘নানা রঙের দিন’ নামক একাঙ্ক নাটক থেকে গৃহীত হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় জীবন সায়াহ্নে এসে উপলব্ধি করেছেন ‘নাট্যাভিনয় পবিত্র শিল্প’ কথাটি আসলে অন্তঃসারশূন্য। কারণ, এর কোন সামাজিক মূল্য নেই। তাই তিনি এই কথাগুলোকে ‘বাজে কথা’ বলে উল্লেখ করেছেন। খ) তাতে বিশ্বাস না করার কারণ বুঝিয়ে লেখো। প্রথম নাট্যচর্চা ও নাট্যশিল্পের অবির্ভাব প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্র এথেন্সে, আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ এর মধ্যবর্তী কোন সময়ে। সেই সময় থেকেই নাট্যাভিনয় কেবল বিনোদনের উপাদান নয়, তা পবিত্র শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। অজিতের বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নাটক ‘নানা রঙের দিন’- এর প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রথম জীবন থেকেই নাট্যাভিনয়কে এভাবেই দেখে আসছেন। কিন্তু একসময় এই অভিনয় না ছাড়ার কারণেই তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কারণ তার প্রেমিকার কাছে তার যশ ও খ্যাতির কোন সামাজিক মূল

সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা

সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা।” সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’— তারা সব গাধা—গাধা। ক) বক্তাকে? খ) কোন রাতের কথা বলা হয়েছে? গ) সেই রাতে তিনি কী বুঝেছিলেন? অথবা, এ বিষয়ে বক্তার মূল বক্তব্য পাঠ্য রচনা অবলম্বনে লেখো। অথবা, বক্তা কখন এবং কেন এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন নিজের ভাষায় লেখো। ক) বক্তাকে? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়, যিনি প্রথম জীবনে একজন নামকরা অভিনেতা ছিলেন, উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। খ) কোন রাতের কথা বলা হয়েছে? প্রথম জীবনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নাট্যাভিনয়ে দারুন পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন। সেই অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে একটি বড় লোকের সুন্দরী মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়ে। একসময় রজনীকান্ত তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটি শর্ত দেয়, অভিনয় ছাড়লেই কেবল সে তাঁকে বিয়ে করতে পারবে। কারণ, তার মতে, অভিনেতার সঙ্গে প্রেমর সম্পর্ক করা যায় কিন্

শিল্পকে যে-মানুষ ভালোবেসেছে — তার বার্ধক্য নেই কালিনাথ, একাকীত্ব নেই

“শিল্পকে যে-মানুষ ভালোবেসেছে — তার বার্ধক্য নেই কালিনাথ, একাকীত্ব নেই” — ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অবলম্বনে মন্তব্যটি তাৎপর্য লেখো। অথবা, “শিল্প কে যে মানুষ ভালোবেসেছে তার বার্ধক্য নেই কালিনাথ, একাকীত্ব নেই”— বলতে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কি বুঝিয়েছেন আলোচনা করো। নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক ‘নানা রঙের দিন’ থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়, যিনি প্রথম জীবনে একজন নামকরা অভিনেতা ছিলেন, উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। তিনি জীবন সায়াহ্নে এসে একদিন গভীর রাতে উঠে তাঁর অভিনয় মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে মদে আসক্ত এই অভিনয় পাগল মানুষটি তাঁর অভিনয় জীবনের স্বর্ণযুগের স্মরণীয় স্মৃতি রোমন্থন ও আত্মবিশ্লেষণ করছেন তারই সহ কর্মী প্রম্পটার কলিনাথের কাছে। এই স্মৃতি রোমন্থন ও আত্মবিশ্লেষণ করতে গিয়েই তিনি এই কথাগুলো বলেছেন। আসলে, বয়সের কারণে বর্তমানে ‘দিলদার’-এর মত গৌণ চরিত্র ছাড়া কোন প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ মেলে না। কিন্তু এক সময় ঔরঙ্গজেব, সুজা, বক্তিয়ারের মত উজ্জ্বল চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মন জয় করেছিল। প্রৌঢ়ত্বের দ্বার প্রান্তে