সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বইয়ে লেখে রাজার নাম। / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে অনত?

“বইয়ে লেখে রাজার নাম। / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে অনত?” — ২০১৭ বইয়ে লেখে রাজার নাম / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? ক) এখানে কোন্ বইয়ের কথা বলা হয়েছে? খ) কারা পাথর ঘাড়ে করে আনতো? — ২০১৭ গ) তারা কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল? — ২০১৭ ঘ) কাদের কথাই বা এই বইয়ে লেখা থাকে এবং কেন? ঙ) এই বইয়ে কাদের কথা লেখা উচিত এবং কেন? ক) এখানে কোন্ বইয়ের কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি কবি বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন মিশরের সাত দরজা ওয়ালা থিমস নগরের কথা আছে। এই নগরী দরিদ্র লাঞ্ছিত শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙ্গা কায়িক শ্রমের বিনিময়ে গড়ে উঠেছিল। অথচ ইতিহাস তাদের মনে রাখেনি। উদ্ধৃত অংশে এই থিবস নগরী গড়ে ওঠার ইতিহাসের কথা বলা হয়েছে। খ) কারা পাথর ঘাড়ে করে আনতো? — ২০১৭ প্রাচীন মিশরের থিবস নগরের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সেখানকার শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ভূমিকাই ছিল প্রধান। কারণ, তারাই পাথর ঘাড়ে করে বয়ে এনে এই নগরী গড়ে তুলেছিলেন। গ) তারা কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল? — ২০১৭ শ্রমই সম্পদের মূল চাবিকাঠি। শ্রমিকের শ্রমেই মূল্যহীন বস্তু সম...

পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা?

পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা? — ২০১৬ ক) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ কী? খ) ‘পাতায় পাতায়’ বলতে কোন্ পাতার কথা বোঝানো হয়েছে? গ) ‘পাতায় পাতায়’ কাদের জয় লেখা? ঘ) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ যারা বানাত তাদের প্রতি কবির কী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? ক) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ কী? উদ্ধৃত অংশটি  বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -এর লেখা ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক অনুবাদ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ‘ জয়োৎসবের ভোজ ’ কথাটির দ্বারা সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তির ‘ যুদ্ধ জয়ের উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ’কে বোঝানো হয়েছে। এবং বলা হয়েছে ‘যুদ্ধ জয়’ এবং সেই ‘জয়কে স্মরণীয় করে রাখার যে আয়োজন’ —সমস্ত অংশ জুড়েই রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের হাতের ছোঁয়া। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্য যে, এই উৎযাপন জয়ের প্রকৃত কান্ডারীদের নয়, স্মরণীয় করে রেখেছে তথাকথিত কান্ডারীদের যুদ্ধবাজ রাজাকে। খ) ‘পাতায় পাতায়’ বলতে কোন্ পাতার কথা বোঝানো হয়েছে? ‘পাতায় পাতায়’ বলতে এখানে সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় লেখা ইতিহাসের পাতাকে বোঝানো হয়েছে।  গ) ‘পাতায় পাতায়’ কাদের জয় লেখা? এই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে পুঁজ...

সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?

“সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?” — ২০১৫ ক) ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? খ) রাজমিস্ত্রিরা কী নির্মাণ করেছিল? গ) এই নির্মানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখো। ঘ) এই প্রশ্নের মাধ্যমে বক্তা কি বলতে চেয়েছেন? ক) ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে? ক) বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -এর লেখা ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক অনুবাদ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের বিনিময়ে চিনের প্রাচীর গড়ে ওঠার প্রসঙ্গ এনেছেন।  ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে এখানে এই প্রাচীর তৈরীর কাজের সমাপ্তির দিন সন্ধ্যার কথা বোঝানো হয়েছে, যে সন্ধ্যার পর থেকে এইসব হতভাগ্য রাজমিস্ত্রিদের কেউ আর খোঁজ রাখেনি, জায়গা হয়নি প্রাচীর তৈরীর ইতিহাসের পাতায়ও। খ) রাজমিস্ত্রিরা কী নির্মাণ করেছিল? উদ্ধৃত অংশে উল্লিখিত ‘রাজমিস্ত্রীরা’ জীবন মরণ পণ করে চিন দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করেছিলেন সুবিশাল প্রাচীর। বিশ্বের সপ্তমাশ্চর্যের মধ্যে এটা অন্যতম। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকাতেও এর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ) এই নির্মানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখো। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম ...

কবিতা : পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন - বের্টোল্ট ব্রেখট

‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ - বের্টোল্ট ব্রেখট পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন - বের্টোল্ট ব্রেখট বের্টোল্ট ব্রেখ্ট কে বানিয়েছিল সাত দরজাঅলা থি? বইয়ে লেখে রাজার নাম। রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? আর ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল, কে আবার গড়ে তুলল এতবার? সোনা- ঝকঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল তারা থাকত কোন বাসায়? চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা? জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম। বানাল কে? কাদের জয় করল সিজার? এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম, সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত? এমনকী উপকথার আটলান্টিস, যখন সমুদ্র তাকে খেল ডুবতে ডুবতে সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল ক্রীতদাসের জন্য। ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। একলাই না কি? গলদের নিপাত করেছিল সিজার। নিসেন একটা রাঁধুনি তো ছিল? বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি? সাত বছরের যুদ্ধ জিতেছিল দ্বিতীয় ফ্রেডারিক। কে জিতেছিল? একলা সে? পাতায় পাতায় জয় জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা? দশ-দশ বছরে এক-একজন মহামানব খরচ মেটাত কে? কত সব খবর! কত সব প্রশ্ন! -------xx------ 📔 এই কবিতার প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । ভাষান্ত...

ভারতীয় গল্প : অলৌকিক - কর্তার সিং দুগ্গাল

ছোটগল্প : অলৌকিক - লিখেছেন কর্তার সিং দুগ্গাল কর্তার সিং দু গ্‌ গা ল-এর লেখা ছোটগল্প ‘অলৌকিক’ এই গল্পের প্রশ্ন উত্তর পেতে এখানে যাও 'তারপর গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছোলেন হাসান আন্দালের জালে। ভয়ানক গরম পড়েছে। গনগনে রোদ। চারিদিক সুনসান। পাথরের চাঁই, ধু ধু বালি, ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালা। কোথাও একটা জনমানুষ নেই।' "তারপর কী হল মা?" আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি। 'গুরু নানক আত্মমগ্ন হয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল। কিন্তু কোথায় জল? গুৰু বললেন, ভাই মর্দানা, সবুর করো। পরের গাঁয়ে গেলেই পাবে।' কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন। অনেক দূর পর্যন্ত জল পাওয়া যাবে না, অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে। গুরু বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ‘দ্যাখো মর্দানা, কোথাও জল নেই, খানিকক্ষণ অপেক্ষা করো। এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।' মর্দানা তবু নড়তে রাজি নয়। সেখানেই বসে পড়ে। এগুবার আর উপায় নেই। গুরু গভীর সমস্যায় পড়লেন। মদীনার একগুঁয়েমি দেখে হাসি পেলেও সেই সঙ্গে বিরক্তও হলেন। পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি। চোখ খুলে দে...

সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো

“সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো।” ভারতীয় গল্প : অলৌকিক। “সেকালে ঘন ঘন ‘সাকা’ হতো” ক) ‘সাকা’ কী? খ) কোথায় সাকা হয়েছিল? গ) এর ফল কী হয়েছিল? ক) ‘সাকা’ কী? পাঞ্জাবি শব্দ ‘সাকা’র অর্থ হল ‘মহৎ কাজে প্রাণোৎসর্গ করা’। শিখ ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্ম জাতীয়তা ও সম্মান রক্ষার্থে জীবন উৎসর্গ করার ঘটনাকে ‘সাকা’ বলে। খ) কোথায় সাকা হয়েছিল? প্রখ্যাত পাঞ্জাবি সাহিত্যিক কর্তার সিং দুগাল রচিত ‘অলৌকিক গল্প’ থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই গল্পে ‘ হাসান আবদাল ’ নামে একটি অঞ্চল ও সেখানকার একটি জঙ্গলের কথা আছে। জনশ্রুতি আছে, এই জঙ্গলে গুরু নানক পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া পাথর হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে তাঁর হাতের ছাপ আজও লেগে আছে। এই ঘটনার  পরবর্তী সময় থেকে এই অঞ্চলের নাম হয় ‘ পাঞ্জাব সাহেব ’। এখানেই ‘সাকা’ হয়েছিল। [হাসান আবদাল জায়গাটা বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক জেলার একটি শহর, যা দেশের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে 40 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।] গ) এর ফল কী হয়েছিল? এই গল্পের বর্ণনা অনুযায়ী ইংরেজ শাসক গোষ্ঠী দূরের শহরের নিরস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদ...

গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত

“গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।” “গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত”। ভারতীয় গল্প : অলৌকিক  ক) কোন্ গল্প স্মরণ করে হাসি পেত? খ) গল্প মনে পড়লেই হাসি পেত কেন? গ) এই গল্পের প্রতি বক্তার কীভাবে বিশ্বাস জন্মেছিল? অথবা, হাসি কীভাবে চোখের জলে পরিণত হয় তা লেখো। ক) কোন্ গল্প স্মরণ করে হাসি পেত? কর্তার সিং রচিত অলৌকিক গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই গল্পে বলি কান্ধারী নামে একজন দরবেশ ছিল। এই দরবেশ গুরু নানককে আঘাত করার জন্য পাহাড়ের উপর থেকে একটি পাথর গড়িয়ে দেন। গুরু নানক তখন অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই পাথরে স্পর্শ করার মাধ্যমে পাথরটিকে থামিয়ে দেন। যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখকের কাছে এই ঘটনাটি একটি হাস্যকর গল্প বলে মনে হয়েছিল। পরবর্তীতে এই গল্পটি স্মরণ করলেই তাঁর হাসি পেত। খ) গল্প মনে পড়লেই হাসি পেত কেন? সাধারণ বিজ্ঞান বলে, কোন বস্তু উঁচু থেকে গড়িয়ে নিচে আসতে শুরু করলে, বস্তুটির গতিবেগ ক্রমশ বাড়ে। গতি বাড়লেই তার আঘাত করার শক্তি বাড়ে। বলি কান্দারি যখন পাহাড়ের চূড়া থেকে পাথরের চাইটি ছুঁড়ে দেয়, তখন তার গতিবেগ ক্রমশ বাড়ার কথা এবং প্রচন্ড শক্তি উৎপন্ন হওয়ার কথা। এই অবস্থায় ...

অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল?

 ক) ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? — ২০১৮ খ) পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল? — ২০১৮ ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? ক) অলৌকিক ঘটনা অবিশ্বাসের কারণ : আলোচ্য প্রশ্নে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের অন্তর্গত। এই গল্পে গুরু নানকের শিষ্য মর্দনার জল তেষ্টা পায়। হাসান আবদালের জঙ্গলের কাছে দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে সে গুরু নানকের পরামর্শে জল চায়। কিন্তু কান্ধারী তা দেয় না। এক সময় গুরু নানক হাত দিয়ে একটা পাথর সরালে জলের ঝর্ণা বেরিয়ে আসে। একই সঙ্গে কান্ধারীর কুপের জল অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কান্ধারী একটা পাথরের চাঁই ছুঁড়ে দেয় গুরু নানকের দিকে। গুরু নানক হাত দিয়ে পাথরের চাঁইটি থামিয়ে দেন। এই সব ঘটনার মধ্যে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে মর্দানাকে রক্ষা করার ঘটনাটি লেখকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কারণ, তাঁর যুক্তিবাদী চিন্তা এই ঘটনার মধ্যে কোন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজ...

চোখের জলটা তাদের জন্য — ২০১৭

“চোখের জলটা তাদের জন্য” — ২০১৭ “চোখের জলটা তাদের জন্য” — ভারতীয় গল্প : অলৌকিক  ক) বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? —২০১৭ অথবা, বক্তার চোখে জল আসার কারন কী? খ) যে ঘটনায় চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো। — ২০১৭ ক) বক্তা কাদের কেন জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? —২০১৭ অথবা বক্তার চোখে জল আসার কারন কী? উদ্ধৃত অংশটি কর্তার সিং দুগগালের লেখা অলৌকিক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এই গল্পের গল্পকথক তার মায়ের বান্ধবীর কাছ থেকে শুনেছিলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দীদের খিদে ও তেষ্টা মেটানোর জন্য পাঞ্জা সাহেবের মানুষজন নিজেদের জীবন বাজি রেখে কীভাবে তাদের বহনকারী ট্রেনটিকে থামিয়েছিলেন। জল রুটির ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এই জীবন উৎসর্গকারী মানুষদের আত্মত্যাগের কথা শুনে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই গল্পের শেষে তিনি তাঁর চোখের জলকে ওই সমস্ত আত্মত্যাগী মানুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। খ) যে ঘটনায় চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো। — ২০১৭ এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য  হাসান আবদালে গুরু নানক অলৌকিক ক্ষমতা বলে হাত দিয়ে টিলার উপর থেকে পড়া পাথর ঠেকিয়ে দেওয়ার কি...

ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?

“ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?” — ২০১৬ ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন? ক) এখানে কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬ গ) ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল? — ২০১৬ ঘ) ট্রেন থামানোর পরিণতি কি হয়েছিল? ক) এখানে কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? কর্তার সিং দুগালের লেখা অলৌকিক গল্পটিতে পাঞ্জা সাহেবের ট্রেন থামানোর একটি অলৌকিক আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। ট্রেনটি অনাহারে থাকা স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বন্দীদের নিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছিল। আলোচ্য গল্পে এই ট্রেনের কথাই বলা হয়েছে। খ) ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? — ২০১৬ এই ট্রেনের মধ্যে, লেখক এর বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েদিরা খিদে তেষ্টায় মরার মত অবস্থায় পৌঁছে গেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাদের খিদা বা দেশটা মেটানোর কোন ব্যবস্থাই করেনি। তারা হুকুম দিয়েছিল ট্রেনটি যেন কোথাও না থামে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় পাঞ্জাবের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সিদ্ধান্ত করে, যে কোন প্রকার এই হোক ট্রেনটিকে থামাতে হবে এবং কয়েদিদের জলখাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। ...

“গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো” — ২০১৫

১) “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হলো” — ২০১৫ ক) বক্তা কে? খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে? গ) গল্পটা কী? — ২০১৫ ঘ) স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? — ২০১৫ ক) বক্তা কে? কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের গল্পকথক হচ্ছেন উদ্ধৃত অংশটির বক্তা। খ) কোন স্কুলের কথা বলা হয়েছে? ‘অলৌকিক’ গল্পের গল্প-কথক স্বয়ং লেখক কর্তার সিং দুগ্গাল। তিনি নিজে যে স্কুলে পড়তেন সেখানেই কোন একদিন শোনানো হয়েছিল, গুরু নানক কীভাবে হাত দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরকে  থামিয়ে ছিলেন, তার গল্প। আলোচ্য উদ্ধৃতিতে এই স্কুলের কথাই বলা হয়েছে। গ) গল্পটা কী? — ২০১৫ গুরু নানক একদিন তার অনুচরদের নিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছান। ভয়ানক গরমের কারণে মর্দানা নামে তার এক অনুচর প্রচন্ড তৃষ্ণা অনুভব করে। কিন্তু আশেপাশে কোন জলের উৎস ছিল না। কারণ জায়গাটা ছিল পাথরের চাঁই, ধুধু বালি ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালায় ভরা সম্পূর্ণ জনমানব হীন। এই কারণে গুরু নানক তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে একটু অপেক্ষা করতে। আশ্বাস দেন পরের গাঁয়ে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানা সিদ্ধান্ত করে জল ছাড়া এক পাও এগোতে পারবে না। ফ...

এই তো জীবনের নিয়ম!

“এই তো জীবনের নিয়ম!” “এইতো জীবনের নিয়ম” নাটক : নানা রঙের দিন ক) জীবনের নিয়ম কী? খ) এখানে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও। অথবা, এখানে বক্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়? ক) জীবনের নিয়ম কী? নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নানা রঙের দিন নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই অংশের বক্তা নাটকের মূল চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ৬৮ বছর বয়সী রজনীকান্ত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছেন জীবনের সত্য কী? বুঝেছেন জীবন চলে কিছু নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে, যেখানে আছে জন্ম, যৌবন, জরা, ও মৃত্যুর এক অমোঘ ঘেরাটোপ। জীবনকে ঘিরে থাকা এই নিয়মের বন্ধনকেই রজনীকান্ত ‘ জীবনের নিয়ম ’ বলে অভিহিত করেছেন। খ) এখানে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও। অথবা, এখানে বক্তার কোন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়? রজনীকান্ত বুঝেছেন জীবনের সত্য কী? জেনেছেন জীবনকে ঘিরে থাকা নিয়মের অমোঘ বন্ধনকে। জীবন চলে এই নির্দিষ্ট নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে। এই নিয়মকে খন্ডানোর ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বুঝেছেন, জন্ম, যৌবন, জরা এবং মৃত্যু স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষের জীবনে আসে। একে অতিক্রম করা যায় না। কোন প্রতিভাই এই নিয়মক...

এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ

“এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ।” এই তো জীবনের সত্য কালিনাথ। নাটক : নানা রঙের দিন  ক) উক্তিটি কার? খ) বক্তা জীবনের কোন্ সত্যের কথা বলতে চেয়েছেন? অথবা, জীবনের সত্য কী? গ) বক্তা কীভাবে এই সত্যে উপনীত হলেন? ক) উক্তিটি কার? নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একাঙ্ক নাটক নানা রঙের দিন। এই নাটকের মঞ্চাভিনেতা ও মুখ্য চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। খ) বক্তা জীবনের কোন্ সত্যের কথা বলতে চেয়েছেন? অথবা, জীবনের সত্য কী? বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। দীর্ঘ ৪৫ বছরের অভিনয় জীবনের মধ্য দিয়েই এই জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছেন। এবং অতুলনীয় প্রতিভার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস। বর্তমানে তাঁর বয়স হয়েছে। তাই মানুষ ভেবেছে তাঁর প্রতিভার অপমৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মোমের আলোয় দর্শকহীন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘ সাজাহান ’ নাটকের ঔরঙ্গজেবের সেই ভয়ংকর সিনটা সফল ভাবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, বয়স বাড়লেও তাঁর অভিনয় প্রতিভার মৃত্যু হয়নি। পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাই তিনি বলেছেন, “প্রতিভা যাঁর আছে, বয়েসে তাঁর কী আসে যায়!” নিজের প্রতিভা সম্পর...

আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা

“আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা।” আজ রাতে — সবে হঠাৎ — ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা ক) বক্তা কে? খ) কোন প্রসঙ্গে এই উপলব্ধি? গ) বক্তা কোন্ কথাটা বুঝতে পেরেছিলেন? ক) বক্তা কে? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ নাটক থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই উদ্ধৃতির বক্তা হলেন, ৬৮ বছরের প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। খ) কোন প্রসঙ্গে এই উপলব্ধি? অভিনয় জীবনের ৪৫ বছর পার করেছেন প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। একদিন রাতে, ৬৮ বছর বয়সে, তিনি স্মৃতির সরণী বেয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ফেলে আসা দিনগুলির গৌরব উজ্জ্বল সময়কে ছুঁয়ে দেখার তাগিদে। অভিনয় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পার্শ্বচরিত্র ‘ দিলদার’ -এর ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে এই রাতেই ঘুম থেকে উঠে তিনি বুঝতে পারলেন দর্শকের অন্তরে তাঁর অজান্তেই তাঁর প্রতিভার অপমৃত্যুর হয়েছে। এই রাতের উপলব্ধির কথা তার সহকারি প্রম্পটার কালীনাথ জানানো প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন। গ) বক্তা কোন্ কথাটা বুঝতে পেরেছিলেন? গভীর রাতের নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে রজনীকান্ত ফ্ল্যাশব্যাক...

প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ

“... প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।” — ২০১৯ প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ ক) কে বলেছেন? খ) এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন? ক) কে বলেছেন? অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ নানা রঙের দিন ’ নাটক থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন, ৬৮ বছরের প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। খ) এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন? অভিনয় জীবনের ৪৫ বছর পার করেছেন প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। একদিন রাতে, ৬৮ বছর বয়সে, তিনি স্মৃতির সরণী বেয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ফেলে আসা দিনগুলির গৌরব উজ্জ্বল সময়কে ছুঁয়ে দেখার তাগিদে। গভীর রাতের নাট্যমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ফ্ল্যাশব্যাকে দেখছেন অভিনয়ের টানে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন। দেখছেন, অভিনয়কে ভালবেসে একজন অভিনেতা কীভাবে অনায়াসে ছেড়েছিলেন জীবনের প্রথম প্রেম ও সুন্দরী নারীকে। এভাবে প্রেমকে হারানোর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তিনি বুঝেছিলেন, সমাজে একজন অভিনেতাদের মূল্য ঠিক কতটা। বুঝেছিলেন, একজন অভিনেতার মূল্য সার্কাসের একজন জোকারের চেয...