সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল ক

“কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে।” কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে ক) চোখ দুটি কার? খ) তার শারীরিক বর্ণনা দাও। গ) বক্তার এই মানসিক অবস্থার কারণ বিশ্লেষণ করো। অথবা, সেই চোখ দুটো বক্তাকে পাগল করে কেন? ক) চোখ দুটি কার? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক তথা লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই রচনায় লেখক একটি কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট ১২-১৩ বছর বয়সী উলঙ্গ কিশোরের বর্ণনা দিয়েছেন, যে পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের সময় রাস্তা থেকে চাল ও ছোলা কুড়িয়ে খেতে দেখেছেন। এখানে বর্ণিত ‘চোখ দুটি’ হল এই উলঙ্গ ছেলেটির। খ) তার শারীরিক বর্ণনা দাও। এই ছেলেটি আসলে একটি ১২-১৩ বছরের উলঙ্গ কিশোর, যার দীর্ঘদিন অনাহারে থাকতে থাকতে মাজা পড়ে গেছে। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছে। হাঁটতে পারে না, তাই জন্তুর মতো চার হাত-পায়ে চলে। পাতলা কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছিল তার চোখ দুটো। লেখকের বর্ণনায়, একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়। তার আঙুলগুলো অস...

অমৃতের পুত্র মানুষ

“অমৃতের পুত্র মানুষ।” অমৃতের পুত্র মানুষ ক) কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এর এই উক্তি? খ) ‘অমৃতের পুত্র’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ) এই মানুষটির (অমৃতের পুত্র) বর্ণনা দাও। ঘ) এই উক্তির মাধ্যমে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? অথবা , এই উক্তির তাৎপর্য কী? অথবা , এই উক্তির মধ্য দিয়ে লেখকের কোন্ মনোভাব ফুটে উঠেছে? ক) কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এর এই উক্তি? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ প্রবন্ধ সংকলন থেকে নেওয়া ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রবন্ধে কথিত রাজবাড়ীর বাজার থেকে ফরিদপুরে ফেরার জন্য লেখক স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে একটা অদ্ভুত জন্তু দেখতে পান। অদ্ভুত এই জন্তু যেন চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে সে কী যেন খুঁটে খাচ্ছে। ঠিক মানুষের হাতের মতো তার সামনের থাবা দুটো। আঙুলগুলো বড্ড বেশি সরু। গায়ে এক ফোটা লোম নেই। একটু পরে, সামনাসামনি আসতেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে আবিষ্কার করেন —এটা কোন জন্তু নয়, একজন মানুষ। এই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা এবং স্তম্ভিত হয়ে যাবার ...

সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম

“সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম” সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম ক) কোন্ দৃশ্য দেখে লেখক স্তম্ভিত হয়ে গেলেন? খ) স্তম্ভিত হওয়ার কারণ কী ছিল? গ) পরবর্তীতে লেখকের কী উপলব্ধি হয়েছিল? ক) কোন্ দৃশ্য দেখে লেখক স্তম্ভিত হয়ে গেলেন? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ প্রবন্ধ সংকলন থেকে নেওয়া ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রবন্ধে কথিত রাজবাড়ীর বাজার থেকে ফরিদপুরে ফেরার জন্য লেখক স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মেলেটারি ছাউনির পাশে একটা অদ্ভুত জন্তু দেখতে পেলেন। এক অদ্ভুত জন্তু কেন চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। লেখক এর বর্ণনায়,  কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে তার দুটো চোখ। একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়। আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে জন্তুটি কী যেন খুঁটে খাচ্ছে। ঠিক মানুষের হাতের মতো তার সামনের থাবা দুটো। আঙুলগুলো বড্ড বেশি সরু। গায়ে তার এক ফোটা লোম নেই। একটু পরে সামনাসামনি আসতেই তিনি দেখলেন —এটা কোন জন্তু...

একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম

“একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম।” একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম ক) কে কখন কোথায় কী দেখলে? খ) অদ্ভুত জন্তুটির বর্ণনা দাও। গ) জন্তুটিকে কেন্দ্র করে লেখক কোন কথা বলতে চেয়েছেন? ক) কে কখন দেখলে? উদ্ধৃত অংশটি প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নামক রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটা ‘অদ্ভুত জন্তু’ দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের রাজবাড়ীর বাজারে ফরিদপুরে যাওয়ার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় তিনি একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে এই অদ্ভুত জন্তু দেখেছিলেন। খ) অদ্ভুত জন্তুটির বর্ণনা দাও। বাংলা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে লেখকের সময় পার হচ্ছিল। হঠাৎই তাঁর নজরে পড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য। দেখতে পান এক অদ্ভুত জন্তু চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। লেখক এর বর্ণনায়, “কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে তার দুটো চোখ। একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়।” আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে জন্তুটি কী যেন খুঁটে খা...

পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল

“পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল” পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল ক) ‘পঞ্চাশের আকাল’ কী? খ) এই সকালে দেখা দৃশ্যটির বর্ণনা দাও। গ) এই দৃশ্য দেখার পর লেখক এর মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ক) পঞ্চাশের আকাল কী? উদ্ধৃত অংশটি প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেয়া হয়েছে। এই রচনায় পঞ্চাশের আকাল বলতে ১৩৫০ বঙ্গাব্দে ঘটে যাওয়া বাংলার দুর্ভিক্ষ কে বুঝিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারের সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্য সংগ্রহ এবং কিছু দেশীয় মজুমদারদের অনৈতিক মজুমদারের কারণে এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খ) এই সকালে দেখা দৃশ্যটির বর্ণনা দাও। ১৩৫০ বঙ্গাব্দের দুর্ভিক্ষ পীড়িত কুয়াশায় মোড়া এক শীতের সকাল। লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় রাজবাড়ীর বাজারে গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছেন। গন্তব্য ফরিদপুর।  বাংলা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তার সময় পার হচ্ছিল। তিনি দেখছিলেন হিমালয় থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য। একটু দূরে হিমালয় পাহাড় আকাশের পিঠে পিঠ রেখে হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে, যেন ...

হাত বাড়াও : সু ভা ষ মু খো পা ধ্যা য়

হাত বাড়াও সু ভা ষ  মু খো পা ধ্যা য় হাত বাড়াও : সু ভা ষ  মু খো পা ধ্যা য় শীতকালে শুধু পায়ের পাতাটুকু ডোবে এমন নদী তিস্তা। হেঁটে পার হবার সময় পেছনে যদি তাকাও দেখবে আকাশের পিঠে পিঠ রেখে হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে প্রকাণ্ড এক দৈত্য। আসলে দৈতা নয়, হিমালয়া পাহাড়। নন্দীগ্রামের এক অখ্যাত গাঁয়ে নোনা-লাগা তালগাছের বন পেরিয়ে আকাশের কোলের কাছে প্রথমে ছোট্ট একটা ফোঁটা, তারপর আস্তে আস্তে তালগাছের মতো বড়ো হয়ে উঠল কী ওটা? আগন্তুক এক জাহাজের মাস্তুল। আর সামনের বালিয়াড়ি পেরিয়ে ধু ধু করে উঠল নীল সমুদ্র। বঙ্গোপসাগর। এই আসমুদ্রহিমাচল আমার বাংলা - পর্বত যার প্রহরী, সমুদ্র যার পরিখা। ফরিদপুরের গাড়ি আসতে তখনও অনেক দেরি। রাজবাড়ির বাজারে বসে আছি। পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল । একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম । আস্তে আস্তে চার পায়ে এগিয়ে আসছে। চেনা কোনো জন্তুর সঙ্গে তার মিল নেই। কুয়াশার মধ্যেও জ্বল জ্বল করছে তার দুটো চোখ। একা থাকলে ভয়ে মুর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়। ...

স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি?

“স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি?” — ২০২০ স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি? ক) উদ্ধৃত অংশটি যে কবিতার অন্তর্গত, সেই কবিতায় আর কোন্ কোন্ শাসকের নাম আছে? খ) ‘ফিলিপ’ কে? তিনি কেঁদেছিলেন কেন? গ) ‘আর কেউ কাঁদেনি?’ — বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন? ক) উদ্ধৃত অংশটি যে কবিতার অন্তর্গত, সেই কবিতায় আর কোন্ কোন্ শাসকের নাম আছে? উদ্ধৃত অংশটি ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। এই কবিতায় স্পেনের ফিলিপ বলতে স্পেন সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপকে বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় ফেভিক ছাড়াও এই কবিতায় রয়েছে আরও কয়েকজন পৃথিবী বিখ্যাত শাসকের নাম। এই নাম গুলি হল প্রাচীন গ্রিসের মেসিডোনিয়ার শাসক সম্রাট তৃতীয় আলেকজান্ডার , প্রাশিয়ার শাসক দ্বিতীয় ফেডারিক , প্রখ্যাত রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার । খ) ‘ফিলিপ’ কে? তিনি কেঁদেছিলেন কেন? স্পেনের সম্রাট চার্লস পঞ্চম এবং পর্তুগালের রাজা প্রথম ফার্দিনান্দের কন্যা  ইসাবেলার পুত্র , দ্বিতীয় ফিলিপ ১৫৫৬ সালে তার পিতার স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হন এবং একটি রাজবংশীয় সংকটের অবসান ঘটলে ১৫৮০ সালে পর্তুগিজ সিংহাসনের ...

বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল, স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব

“বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল, স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব” বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল, স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব ক) আর্মাডা কী? খ) আর্মাডা কেন ডুবেছিল? গ) আর্মাডা ডোবার প্রতিক্রিয়া কাদের মধ্যে কীভাবে দেখা গিয়েছিল? অথবা, মন্তব্যটির ঐতিহাসিক ভিত্তি উল্লেখ কর। ঘ) বক্তব্যটির মর্মার্থ আলোচনা করো। ক) আর্মাডা কী? প্রখ্যাত জার্মান কবি বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর লেখা ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই কবিতায় উল্লেখিত ‘আর্মাডা’ হল স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের নৌ-বহরের নাম। এই নৌবহরে মোট ২২ টি যুদ্ধজাহাজ ও ১০৮ টি অস্ত্রসজ্জিত বাণিজ্যিক জাহাজ সহ মোট ১৩০ টি জাহাজ। সুদক্ষ ও রণাকুশলী নৌ সেনাদের অসামান্য দক্ষতায় স্পেনীয় আর্মাডা তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নৌ-বহরে পরিণত হয়। খ) আর্মাডা কেন ডুবেছিল? মূলত স্পেনীয় আর্মাডার সাংগঠনিক দুর্বলতা, খারাপ আবহাওয়া, নৌ যুদ্ধের পুরনো কৌশল ব্যবহার তাদের অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে স্পেনের তুলনায় ইংরেজদের যুদ্ধ জাহাজের সংখ্যাধিক্য, নৌ-বন্দুক ও কামান ব্যবহারের নতুন কৌশল এবং উন্নত যুদ্ধ কৌশল প্রয়োগ, সর্বোপরি চেনা পরিবেশে যুদ্ধ পরিচা...

ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। / একলাই না কি?

“ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। / একলাই না কি?” — ২০১৯ ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। / একলাই না কি? ক) আলেকজান্ডার কে ছিলেন? খ) ‘একলাই না কি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? অথবা, এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন আলোচনা করো। গ) তাঁর ভারত জয় প্রসঙ্গ কবিতাটিতে কতটা প্রাসঙ্গিক হয়েছে? ঘ) সম্পূর্ণ উক্তিটিতে কবির যে মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে তার পরিচয় দাও। ক) আলেকজান্ডার কে ছিলেন? বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর লেখা ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে পৃথিবী বিখ্যাত গ্রিক বীর আলেকজান্ডারকে উপলক্ষ করে এই মন্তব্য করা হয়েছে। আলেকজান্ডার (ইতিহাসে তৃতীয় আলেকজান্ডার নামে পরিচিত) ছিলেন প্রাচীন গ্রিক রাজ্য ম্যাসিডনের রাজা। ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি তার পিতা দ্বিতীয় ফিলিপের স্থলাভিষিক্ত হন। ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তিনি মিশর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল এক সাম্রাজ্যের অধিপতি হন। এটা ছিল প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি জীবনের সবগুলো যুদ্ধে অপরাজিত ছিলেন এবং তাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও সফল সেনান...

কত সব খবর! / কত সব প্রশ্ন!

কত সব খবর! / কত সব প্রশ্ন! কত সব খবর! কত সব প্রশ্ন! ক) কীসের খবর? খ) এই সব খবরকে কেন্দ্র করে কবি যে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। গ) এইসব প্রশ্ন তোলার মধ্য দিয়ে কবি কোন্ মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়? ক) কীসের খবর? উদ্ধৃত অংশটি কবি বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  কবি এখানে মানব সভ্যতার বিবর্তনে শ্রমজীবী মানুষের যে অবর্ণনীয় অবদান রয়েছে তা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। এই চেষ্টার প্রেক্ষাপটেই উঠে এসেছে পৃথিবীর নানান গৌরব গাথার কথা। মিশর, ব্যাবিলন, চিন সহ ইউরোপের নানান দেশের এইসব ভুবন বিখ্যাত ঘটনার উত্থান, পতন ও তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ইতিহাসের পাতায় যে সব আপাত সত্যকে সত্য-সংবাদ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোকেই এখানে ‘খবর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। খ) এই সব খবরকে কেন্দ্র করে কবি যে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। এইসব ‘খবর’কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে প্রথাগত ইতিহাস। ফলে সেখানে প্রকৃত সত্য উপেক্ষিত থেকে গেছে যুগ যুগ ধরে। এই কবিতায় কবি সেই প্রকৃত সত্যের উদঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। এই চেস্টার প্রেক্ষাপটে তিনি প্...

বইয়ে লেখে রাজার নাম। / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে অনত?

“বইয়ে লেখে রাজার নাম। / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে অনত?” — ২০১৭ বইয়ে লেখে রাজার নাম / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? ক) এখানে কোন্ বইয়ের কথা বলা হয়েছে? খ) কারা পাথর ঘাড়ে করে আনতো? — ২০১৭ গ) তারা কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল? — ২০১৭ ঘ) কাদের কথাই বা এই বইয়ে লেখা থাকে এবং কেন? ঙ) এই বইয়ে কাদের কথা লেখা উচিত এবং কেন? ক) এখানে কোন্ বইয়ের কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি কবি বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন মিশরের সাত দরজা ওয়ালা থিমস নগরের কথা আছে। এই নগরী দরিদ্র লাঞ্ছিত শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙ্গা কায়িক শ্রমের বিনিময়ে গড়ে উঠেছিল। অথচ ইতিহাস তাদের মনে রাখেনি। উদ্ধৃত অংশে এই থিবস নগরী গড়ে ওঠার ইতিহাসের কথা বলা হয়েছে। খ) কারা পাথর ঘাড়ে করে আনতো? — ২০১৭ প্রাচীন মিশরের থিবস নগরের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সেখানকার শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ভূমিকাই ছিল প্রধান। কারণ, তারাই পাথর ঘাড়ে করে বয়ে এনে এই নগরী গড়ে তুলেছিলেন। গ) তারা কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল? — ২০১৭ শ্রমই সম্পদের মূল চাবিকাঠি। শ্রমিকের শ্রমেই মূল্যহীন বস্তু সম...

পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা?

পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা? — ২০১৬ ক) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ কী? খ) ‘পাতায় পাতায়’ বলতে কোন্ পাতার কথা বোঝানো হয়েছে? গ) ‘পাতায় পাতায়’ কাদের জয় লেখা? ঘ) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ যারা বানাত তাদের প্রতি কবির কী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? ক) ‘জয়োৎসবের ভোজ’ কী? উদ্ধৃত অংশটি  বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -এর লেখা ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক অনুবাদ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ‘ জয়োৎসবের ভোজ ’ কথাটির দ্বারা সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তির ‘ যুদ্ধ জয়ের উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ’কে বোঝানো হয়েছে। এবং বলা হয়েছে ‘যুদ্ধ জয়’ এবং সেই ‘জয়কে স্মরণীয় করে রাখার যে আয়োজন’ —সমস্ত অংশ জুড়েই রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের হাতের ছোঁয়া। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্য যে, এই উৎযাপন জয়ের প্রকৃত কান্ডারীদের নয়, স্মরণীয় করে রেখেছে তথাকথিত কান্ডারীদের যুদ্ধবাজ রাজাকে। খ) ‘পাতায় পাতায়’ বলতে কোন্ পাতার কথা বোঝানো হয়েছে? ‘পাতায় পাতায়’ বলতে এখানে সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় লেখা ইতিহাসের পাতাকে বোঝানো হয়েছে।  গ) ‘পাতায় পাতায়’ কাদের জয় লেখা? এই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে পুঁজ...

সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?

“সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?” — ২০১৫ ক) ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? খ) রাজমিস্ত্রিরা কী নির্মাণ করেছিল? গ) এই নির্মানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখো। ঘ) এই প্রশ্নের মাধ্যমে বক্তা কি বলতে চেয়েছেন? ক) ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে? ক) বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -এর লেখা ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক অনুবাদ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের বিনিময়ে চিনের প্রাচীর গড়ে ওঠার প্রসঙ্গ এনেছেন।  ‘সেই সন্ধ্যায়’ বলতে এখানে এই প্রাচীর তৈরীর কাজের সমাপ্তির দিন সন্ধ্যার কথা বোঝানো হয়েছে, যে সন্ধ্যার পর থেকে এইসব হতভাগ্য রাজমিস্ত্রিদের কেউ আর খোঁজ রাখেনি, জায়গা হয়নি প্রাচীর তৈরীর ইতিহাসের পাতায়ও। খ) রাজমিস্ত্রিরা কী নির্মাণ করেছিল? উদ্ধৃত অংশে উল্লিখিত ‘রাজমিস্ত্রীরা’ জীবন মরণ পণ করে চিন দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করেছিলেন সুবিশাল প্রাচীর। বিশ্বের সপ্তমাশ্চর্যের মধ্যে এটা অন্যতম। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকাতেও এর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ) এই নির্মানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখো। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম ...

কবিতা : পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন - বের্টোল্ট ব্রেখট

‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ - বের্টোল্ট ব্রেখট পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন - বের্টোল্ট ব্রেখট বের্টোল্ট ব্রেখ্ট কে বানিয়েছিল সাত দরজাঅলা থি? বইয়ে লেখে রাজার নাম। রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? আর ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল, কে আবার গড়ে তুলল এতবার? সোনা- ঝকঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল তারা থাকত কোন বাসায়? চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা? জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম। বানাল কে? কাদের জয় করল সিজার? এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম, সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত? এমনকী উপকথার আটলান্টিস, যখন সমুদ্র তাকে খেল ডুবতে ডুবতে সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল ক্রীতদাসের জন্য। ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। একলাই না কি? গলদের নিপাত করেছিল সিজার। নিসেন একটা রাঁধুনি তো ছিল? বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি? সাত বছরের যুদ্ধ জিতেছিল দ্বিতীয় ফ্রেডারিক। কে জিতেছিল? একলা সে? পাতায় পাতায় জয় জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা? দশ-দশ বছরে এক-একজন মহামানব খরচ মেটাত কে? কত সব খবর! কত সব প্রশ্ন! -------xx------ 📔 এই কবিতার প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । ভাষান্ত...

ভারতীয় গল্প : অলৌকিক - কর্তার সিং দুগ্গাল

ছোটগল্প : অলৌকিক - লিখেছেন কর্তার সিং দুগ্গাল কর্তার সিং দু গ্‌ গা ল-এর লেখা ছোটগল্প ‘অলৌকিক’ এই গল্পের প্রশ্ন উত্তর পেতে এখানে যাও 'তারপর গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছোলেন হাসান আন্দালের জালে। ভয়ানক গরম পড়েছে। গনগনে রোদ। চারিদিক সুনসান। পাথরের চাঁই, ধু ধু বালি, ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালা। কোথাও একটা জনমানুষ নেই।' "তারপর কী হল মা?" আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি। 'গুরু নানক আত্মমগ্ন হয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল। কিন্তু কোথায় জল? গুৰু বললেন, ভাই মর্দানা, সবুর করো। পরের গাঁয়ে গেলেই পাবে।' কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন। অনেক দূর পর্যন্ত জল পাওয়া যাবে না, অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে। গুরু বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ‘দ্যাখো মর্দানা, কোথাও জল নেই, খানিকক্ষণ অপেক্ষা করো। এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।' মর্দানা তবু নড়তে রাজি নয়। সেখানেই বসে পড়ে। এগুবার আর উপায় নেই। গুরু গভীর সমস্যায় পড়লেন। মদীনার একগুঁয়েমি দেখে হাসি পেলেও সেই সঙ্গে বিরক্তও হলেন। পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি। চোখ খুলে দে...