সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার

 বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার যুক্তিতে মেলায় মুক্তি, বিশ্বাসে বহুদূর — আলী হোসেন    বিজ্ঞান কী? ল্যাটিন শব্দ ‘সায়েন্টিয়া’ থেকে ইংরেজি ‘সায়েন্স’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় ‘বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ ‘বিশেষ জ্ঞান’। প্রকৃত অর্থে, বিজ্ঞান হল প্রকৃতি সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা যায়। এবং যা প্রয়োগ করে কোনো বিষয় সম্পর্কে প্রকৃত সত্যে পৌঁছানো যায়। বিজ্ঞানমনস্কতা কী? বিজ্ঞানমনস্কতা হল এক বিশেষ মানসিকতা যা প্রচলিত বিশ্বাসকে সরিয়ে রেখে মানুষকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রকৃত সত্যে পৌঁছাতে উৎসাহিত করে। সত্যে পৌঁছানোর এই পদ্ধতিকে বলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।  বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতার উৎপত্তি : মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই কিছু মানুষ পার্থিব নানা জটিল সমস্যার সমাধানকল্পে বিশ্বাসের পরিবর্তে কার্যকারণ সম্পর্ককে আশ্রয় করে। অর্থাৎ প্রকৃতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করে। এদের হাত ধরেই জন্ম

রচনা : মৃণাল সেন

প্রবন্ধ রচনা : মৃণাল সেন ভূমিকা : মৃণাল সেন ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারিত হতো তার নামও। জন্ম ও শিক্ষাজীবন :  মৃণাল সেন ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম । এখানেই তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। এর পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাথমিক কর্ম :  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি সাংবাদিকতা, ওষুধ বিপণনকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। চল্লিশের দশকে মৃণাল সেন ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর চলচ্চিত্রে শব্দকুশলী হিসেবেও কাজ শুরু করেন। রাজনৈতিক দর্শন :  আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী মৃণাল সেন দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হন। ছবি পরিচালনা : বাংলা, ওড়ইয়আ, হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি বহুভাষিক চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ব

পরিবেশ দূষণের কারণ ও তার প্রতিকার

পরিবেশ দূষণের কারণ ও তার প্রতিকার পরিবেশ দূষণ ঃ প্রাকৃতিক কারণে অথবা মানুষের কার্যকলাপে উদ্ভূত দূষিত পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে তোলে। পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন ঘটে যা জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। এটিকে পরিবেশ দূষণ বলে।  পরিবেশ দূষণের কারণ ঃ ১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি  :  ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনজঙ্গল কেটে বসতবাড়ি তৈরি করা হয়। ফলে বৃষ্টিপাত কমে, স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে কলুষিত হয়, অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে অধিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয়। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। ২। নগরায়ন : নগরায়নের ফলে কলকারখানা ও গাড়ি বাড়ছে। ফলে কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণের সৃষ্টি করছে। গাড়ির হর্ণ থেকে শব্দ দূষণ হচ্ছে। আবার নদীর পানিতে কলকারখানার আবর্জনা মিশে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। কাজের আশায়  শহরে এলে বস্তি গড়ে উঠে। এই বস্তিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার অব্যবস্থা ও সচেতনতার অভাব পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।  ৩। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যা  : সমগ্র বিশ্বে জলবায়ুর পরিবর্তনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রবন্ধ রচনা : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভূমিকা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত একাধারে একজন মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। শিক্ষাজীবন : মধুসূদন দত্ত শিক্ষা গ্রহণ পর্ব শুরু হয় মায়ের তত্ত্বাবধানে সাগরদাঁড়ির পাঠশালায়। পরে সাত বছর বয়সে কলকাতা আসেন এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন।  এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তী জীবনে স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কলেজের পরীক্ষায় তিনি বরাবর বৃত্তি পেতেন। এ সময় নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিলেত যাওয়ার। তাঁর ধারণা ছিল বিলেতে যেতে পারলেই বড় কবি হওয়া যাবে।  এই উদ্দেশ্যেই ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্র

তোমরাও হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো

“তোমরাও হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো।” — ২০১৬ ক) লেখক কাকে সাহায্য করতে বলেছেন? খ) তাকে কেন সাহায্য করতে বলেছেন? গ) কীভাবে সাহায্য করতে বলেছেন? ক) লেখক কাকে সাহায্য করতে বলেছেন? উদ্ধৃত অংশটি ‘আমার বাংলা’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নামক রচনার অন্তর্ভুক্ত। এটি লিখেছেন সাম্যবাদী ঘরাণার লেখক ও প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এই রচনায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন ১২-১৩ বছর বয়সী কিশোরের কথা বলেছেন। সে দু’পায়ে নয়, চার হাত-পায়ে হাঁটে। কারণ, দীর্ঘ অনাহারে থাকতে থাকতে সে মাজা তুলে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তার হাতের আঙুল গুলো অত্যন্ত সরু। দূর থেকে দেখলে মনে হয় লোমহীন কোনো এক অদ্ভুত জন্তু। লেখক প্রত্যক্ষভাবে এই অনাহারি কিশোরকে সাহায্য করতে বলেছেন। তবে গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত সমস্ত বিপন্ন মানুষকে এখানে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। খ) তাকে কেন সাহায্য করতে বলেছেন? লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন সাম্যবাদী ঘরানার লেখক। তাই তাঁর রচনায় মানবতাবাদ তথা ‘মানুষের শোষণ মুক্তির ভাবনা’ অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। এই ভাবনাই তাকে বুঝতে সাহায্য করে, সমাজ জুড়ে শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের

দু পায়ে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে সে

“দু পায়ে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে সে।” ক) এখানে কার উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে? খ) তার উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক আসলে কী দেখাতে চেয়েছেন? গ) লেখক তাকে কীভাবে ভাবে সাহায্য করতে বলেছেন? ক) এখানে কার উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘হাত বাড়াও’ নামক পাঠ্য থেকে। এই রচনায় পঞ্চাশের মন্বন্তর চলাকালীন সময়ে একজন ১২-১৩ বছরের কঙ্কালসার উলঙ্গ কিশোরের জীবন যুদ্ধের কথা রয়েছে। যার হাতের আঙুলগুলো অত্যন্ত সরু, দেখতে লোমহীন কোনো এক অজানা অদ্ভুত জন্তুর মত এবং যে জানোয়ারের মতো চার হাত পায়ে চলে। বাজারের রাস্তা থেকে চাল আর ছোলা খুটে খুটে খেয়ে বেঁচে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এখানে এই চার হাত পায়ে চলা কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট কিশোরের পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।  খ) তার উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক আসলে কী দেখাতে চেয়েছেন? আসলে তার এই উঠে দাঁড়ানোর অর্থ হলো, পুনরায় অভাবমুক্ত হয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হয়ে ওঠার সামর্থ্য অর্জন করা। সুতরাং তার এই উঠে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে লেখক এক সমাজ বিপ্লবের কথা বলেছেন

এবার শান্তি

“এবার শান্তি।” ক) এ শান্তি কীভাবে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে? খ) কেনই বা লেখক শান্তি প্রার্থনা করেছেন তা বুঝিয়ে লেখো। ক) এ শান্তি কীভাবে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘হাত বাড়াও’ নিবন্ধে পঞ্চাশের মন্বন্তরের এক হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী ছবি তুলে ধরেছেন। এই রচনায় ১২-১৩ বছর বয়সি এক কঙ্কালসার দেহ-বিশিষ্ট ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে একজন নিরন্ন কিশোরের বর্ণনা রয়েছে। যার জ্বলন্ত চোখের দৃষ্টি ‘বুকের রক্ত হিম করে দেয়’। লেখকের বিশ্লেষণে, তার এই জলন্ত চোখ দুটি শাস্তি চায়। শাস্তি চায় সেইসব খুনি মানুষদের, যারা শহরে, গ্রামে গঞ্জে, নগর বন্দরে ‘জীবনের গলায় মৃত্যুর ফাঁস পরাচ্ছে’। মানুষকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিচ্ছে না। সেই সঙ্গে সে চেয়েছে, এই শাস্তি আসুক শান্তির বার্তায় ভর করে। কামনা করেছে, বাংলার বুক জুড়ে সবুজ মাঠের সোনালী ফসলে ও চাষীর গোলা ভরা ধানে ভর করে সেই শান্তি আসুক। শান্তি আসুক কারখানায় কারখানায় বন্ধন মুক্ত মানুষের আন্দোলিত বাহুতে বাহু মিলনের মধ্য দিয়ে। মিলিত হোক যুদ্ধ আর অনাহারকে দূরে ঠেলে কোটি কোটি মানুষের বলিষ্ঠ হাত, স্

সেই দুটি জ্বলন্ত চোখ শাস্তি চায়

“সেই দুটি জ্বলন্ত চোখ শাস্তি চায়” ক) এখানে ‘কোন্ চোখে’র কথা বলা হয়েছে? অথবা, কার কথা বলা হয়েছে? খ) সে কীরূপ শাস্তি চায়? অথবা, সে কীভাবে শাস্তি চায়, বুঝিয়ে লেখো। গ) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখক কী উপলব্ধিতে উপনীত হয়েছিলেন? ঘ) লেখক তাকে কীভাবে এবং কেন সাহায্য করতে বলেছেন? ক) এখানে কোন্ ‘চোখে’র কথা বলা হয়েছে? অথবা, কার কথা বলা হয়েছে? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নিবন্ধে পঞ্চাশের মন্বন্তরের এক মর্মস্পর্শী ছবি তুলে ধরেছেন। এই রচনায় ১২-১৩ বছর বয়সি এক কঙ্কালসার দেহ-বিশিষ্ট ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে এক নিরন্ন কিশোরের বর্ণনা রয়েছে। যার জ্বলন্ত চোখের দৃষ্টি ‘বুকের রক্ত হিম করে দেয়’। আলোচ্য উদ্ধৃতিতে এই কিশোর এবং তার জ্বলন্ত চোখের কথা বলা হয়েছে। খ) সে কীরূপ শাস্তি চায়? অথবা, সে কীভাবে শাস্তি চায় বুঝিয়ে লেখো। এই জ্বলন্ত চোখ দুটি শাস্তি চায়। শাস্তি চায় সেইসব খুনি মানুষদের, যারা শহরে, গ্রামে গঞ্জে, নগর বন্দরে ‘জীবনের গলায় মৃত্যুর ফাঁস পরাচ্ছে’। মানুষকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিচ্ছে না। তার সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সে যেন সেইসব

সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেইসব খুনিদের সে শনাক্ত করছে

“সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেইসব খুনিদের সে শনাক্ত করছে” ক) কে শনাক্ত করছে? খ) এখানে কাদের খুনি বলা হয়েছে এবং কেন? অথবা, এখানে খুনি বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন এবং কেন? গ) সে খুনিদের শনাক্ত করছে কেন? অথবা, ‘সে শনাক্ত করছে’ বলার কারণ কী? ক) কে শনাক্ত করছে? উদ্ধৃত অংশটি লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেয়া হয়েছে। এই রচনা তিনি ‘অদ্ভুত জন্তু’র মতো দেখতে এক অনাহারি উলঙ্গ কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট কিশোরের কথা বলেছেন। লেখক এর ভাষ্য মতে, এই কিশোরীই যেন পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের সময় অনাহারে মৃত অসংখ্য মানুষের খুনিদের শনাক্ত করছে। খ) এখানে কাদের খুনি বলা হয়েছে এবং কেন? অথবা, এখানে খুনি বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন এবং কেন? পঞ্চাশের মন্বন্তর ছিল মূলত মনুষ্যসৃষ্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জনিত ভয়াবহ আর্থিক সংকট, ইংরেজ সরকারের লাগামহীন শাসন ও শোষণ, সরকারের উদাসীনতায় বেড়ে ওঠা জোতদার, মজুতদার ও মহাজনদের সীমাহীন লোভ, নিরন্ন মানুষের প্রতি উচ্চবিত্ত মানুষের উদাসীনতা এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বার্থপর মানসিকতা এই ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। লেখকের ভাবনায়, অনাহা

দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি।

“দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি।” দু-হাতে সোনা ছড়ানো নদী মালার দিকে তাকিয়ে তার নিঃশ্বাস শুনি। ক) এখানে কার নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে? খ) ‘নদীমালা’র সঙ্গে ‘দু-হাতে সোনা ছড়ানো’র সম্পর্ক কী? গ) তার সম্পর্কে লেখক যা বলতে চেয়েছেন বুঝিয়ে বলো। ক) এখানে কার নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃত অংশটি লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই রচনায় তিনি এক ১২-১৩ বছরের উলঙ্গ কিশোরের বর্ণনা দিয়েছেন, যে চার হাত পায়ে হেঁটে বাজারের রাস্তা থেকে চাল আর ছোলা খুঁটে খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। এখানে এই ছেলেটির বেঁচে থাকার জন্য সীমাহীন কষ্টে ডুবে থাকা নিঃশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। খ) নদীমালার সঙ্গে দু-হাতে সোনা ছড়ানোর সম্পর্ক কী? প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশ নদীমাতৃক একটি জনপদ। নদীবিধৌত পলিমাটি এবং মৌসুমী জলবায়ুর কারণে বাংলার ভূমি হয়ে উঠেছে, কবির কথায়, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। প্রকৃতির অকৃত্রিম আশীর্বাদে প্রতিবছর বাংলার মাঠ তাই সোনালি ফসলে ভরে ওঠে। পলিমাটির সাথে সাথে নদীর জলও এই সোনালি ফসলের অন্যতম প্রাণ ভোমরা। তাই মালার মত ছড়িয়ে থাকা অসংখ

কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল ক

“কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে।” কিন্তু আজও সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে ক) চোখ দুটি কার? খ) তার শারীরিক বর্ণনা দাও। গ) বক্তার এই মানসিক অবস্থার কারণ বিশ্লেষণ করো। অথবা, সেই চোখ দুটো বক্তাকে পাগল করে কেন? ক) চোখ দুটি কার? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক তথা লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই রচনায় লেখক একটি কঙ্কালসার দেহবিশিষ্ট ১২-১৩ বছর বয়সী উলঙ্গ কিশোরের বর্ণনা দিয়েছেন, যে পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের সময় রাস্তা থেকে চাল ও ছোলা কুড়িয়ে খেতে দেখেছেন। এখানে বর্ণিত ‘চোখ দুটি’ হল এই উলঙ্গ ছেলেটির। খ) তার শারীরিক বর্ণনা দাও। এই ছেলেটি আসলে একটি ১২-১৩ বছরের উলঙ্গ কিশোর, যার দীর্ঘদিন অনাহারে থাকতে থাকতে মাজা পড়ে গেছে। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছে। হাঁটতে পারে না, তাই জন্তুর মতো চার হাত-পায়ে চলে। পাতলা কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছিল তার চোখ দুটো। লেখকের বর্ণনায়, একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়। তার আঙুলগুলো অস

অমৃতের পুত্র মানুষ

“অমৃতের পুত্র মানুষ।” অমৃতের পুত্র মানুষ ক) কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এর এই উক্তি? খ) ‘অমৃতের পুত্র’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ) এই মানুষটির (অমৃতের পুত্র) বর্ণনা দাও। ঘ) এই উক্তির মাধ্যমে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? অথবা , এই উক্তির তাৎপর্য কী? অথবা , এই উক্তির মধ্য দিয়ে লেখকের কোন্ মনোভাব ফুটে উঠেছে? ক) কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এর এই উক্তি? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ প্রবন্ধ সংকলন থেকে নেওয়া ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রবন্ধে কথিত রাজবাড়ীর বাজার থেকে ফরিদপুরে ফেরার জন্য লেখক স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে একটা অদ্ভুত জন্তু দেখতে পান। অদ্ভুত এই জন্তু যেন চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে সে কী যেন খুঁটে খাচ্ছে। ঠিক মানুষের হাতের মতো তার সামনের থাবা দুটো। আঙুলগুলো বড্ড বেশি সরু। গায়ে এক ফোটা লোম নেই। একটু পরে, সামনাসামনি আসতেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে আবিষ্কার করেন —এটা কোন জন্তু নয়, একজন মানুষ। এই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা এবং স্তম্ভিত হয়ে যাবার

সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম

“সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম” সামনাসামনি আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম ক) কোন্ দৃশ্য দেখে লেখক স্তম্ভিত হয়ে গেলেন? খ) স্তম্ভিত হওয়ার কারণ কী ছিল? গ) পরবর্তীতে লেখকের কী উপলব্ধি হয়েছিল? ক) কোন্ দৃশ্য দেখে লেখক স্তম্ভিত হয়ে গেলেন? সমাজ সচেতন প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ প্রবন্ধ সংকলন থেকে নেওয়া ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রবন্ধে কথিত রাজবাড়ীর বাজার থেকে ফরিদপুরে ফেরার জন্য লেখক স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মেলেটারি ছাউনির পাশে একটা অদ্ভুত জন্তু দেখতে পেলেন। এক অদ্ভুত জন্তু কেন চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। লেখক এর বর্ণনায়,  কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে তার দুটো চোখ। একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়। আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে জন্তুটি কী যেন খুঁটে খাচ্ছে। ঠিক মানুষের হাতের মতো তার সামনের থাবা দুটো। আঙুলগুলো বড্ড বেশি সরু। গায়ে তার এক ফোটা লোম নেই। একটু পরে সামনাসামনি আসতেই তিনি দেখলেন —এটা কোন জন্তু নয়

একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম

“একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম।” একটা অদ্ভুত জন্তু দেখলাম ক) কে কখন কোথায় কী দেখলে? খ) অদ্ভুত জন্তুটির বর্ণনা দাও। গ) জন্তুটিকে কেন্দ্র করে লেখক কোন কথা বলতে চেয়েছেন? ক) কে কখন দেখলে? উদ্ধৃত অংশটি প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ নামক রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটা ‘অদ্ভুত জন্তু’ দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের রাজবাড়ীর বাজারে ফরিদপুরে যাওয়ার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় তিনি একটু দূরে স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে এই অদ্ভুত জন্তু দেখেছিলেন। খ) অদ্ভুত জন্তুটির বর্ণনা দাও। বাংলা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে লেখকের সময় পার হচ্ছিল। হঠাৎই তাঁর নজরে পড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য। দেখতে পান এক অদ্ভুত জন্তু চার পায়ে ভর দিয়ে এগিয়ে আসছে। লেখক এর বর্ণনায়, “কুয়াশার মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে তার দুটো চোখ। একা থাকলে ভয়ে মূর্ছা যেতাম। কেননা সেই চোখের দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা বুকের রক্ত হিম করে দেয়।” আরো একটু এগিয়ে এলে তিনি দেখতে পান রাস্তার ধুলো থেকে জন্তুটি কী যেন খুঁটে খা

পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল

“পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল” পাতলা কুয়াশায় মোড়া পঞ্চাশের আকালের এক সকাল ক) ‘পঞ্চাশের আকাল’ কী? খ) এই সকালে দেখা দৃশ্যটির বর্ণনা দাও। গ) এই দৃশ্য দেখার পর লেখক এর মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ক) পঞ্চাশের আকাল কী? উদ্ধৃত অংশটি প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘হাত বাড়াও’ রচনা থেকে নেয়া হয়েছে। এই রচনায় পঞ্চাশের আকাল বলতে ১৩৫০ বঙ্গাব্দে ঘটে যাওয়া বাংলার দুর্ভিক্ষ কে বুঝিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারের সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্য সংগ্রহ এবং কিছু দেশীয় মজুমদারদের অনৈতিক মজুমদারের কারণে এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খ) এই সকালে দেখা দৃশ্যটির বর্ণনা দাও। ১৩৫০ বঙ্গাব্দের দুর্ভিক্ষ পীড়িত কুয়াশায় মোড়া এক শীতের সকাল। লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় রাজবাড়ীর বাজারে গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছেন। গন্তব্য ফরিদপুর।  বাংলা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তার সময় পার হচ্ছিল। তিনি দেখছিলেন হিমালয় থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য। একটু দূরে হিমালয় পাহাড় আকাশের পিঠে পিঠ রেখে হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে, যেন প্রক