সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দ্বাদশ শ্রেণির গল্প : ভাত। প্রশ্ন ও উত্তর

মহাশ্বেতা দেবীর গল্প 'ভাত'। প্রশ্নোত্তর

মহাশ্বেতা দেবীর গল্প। ভাত। প্রশ্ন ও উত্তর

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য সংকলন - বাংলা সাহিত্যচর্চা

গল্পটি পড়ো

১) ভাত গল্প অবলম্বনে উৎসব নাইয়া চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো

২) ভাত গল্পে বাসিনি চরিত্রটির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

৩) ভাত গল্পের মধ্যে একদিকে রয়েছে অন্নের প্রাচুর্য এবং অপরদিকে রয়েছে বুভুক্ষ মানুষদের দুমুঠো অন্নের আশায় বাদার অন্বেষণ — মন্তব্যটির যথার্থতা আলোচনা করো।

৪) “ভাত খাবে, কাজ করবে”

ক) কি প্রসঙ্গে কে এই কথা বলেছে?
খ) নির্দিষ্ট লোকটি কীভাবে কী কাজ করলো?

৫) “লোকটার চাহনি বড় বাড়ির বড় বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি

ক) লোকটা কে?
খ) তার চাহনির বিশেষত্ব কী ছিল বলে তোমার মনে হয়?
গ) তার চাহনি বড় বউয়ের ভালো লাগেনি কেন?

৬) “এ সংসারে সব কিছুই চলে বড় পিসিমার নিয়মে।” ২০১৮, ২০২২

ক) কোন সংসারের কথা বলা হয়েছে?
খ) বড় পিসিমা কে?
খ) গল্পে তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায়?

৭) “তার বিয়ে হয়নি।”

ক) কার কথা বলা হয়েছে?
খ) বিয়ে না হওয়ার কারণ কী?
গ) সে কোন্ কোন্ দায়িত্ব পালন করত?

৮) “একথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে।”

ক) একথা বলতে কোন্ কথাকে বোঝানো হয়েছে?
খ) কথাগুলোর সত্যতা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়ার কারণ কী?

৯) “ময়ূর ছাড়া কার্তিক আসবে নাকি?

ক) কে কার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন?
খ) যার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে, তার চেহারার বর্ণনা দাও।
গ) লোকটি কোথায় কেন এসেছে লেখো।

১০) “রেধে বেড়ে শাশুড়িকে খাওয়ানো তার কাজ।”

ক) কার কাজ?
খ) বড় বাড়ির বড় ও মেজ বউ এর কাজ গুলি কি ছিল?

১১) “সেজন্যেই হোম-যজ্ঞি হচ্ছে।”

ক) হোম যজ্ঞী হওয়ার কারণ কী?
খ) এই যজ্ঞের আয়োজনের বর্ণনা দাও।

১২) বাসিনী এনেছে। বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।”

ক) বাসিনী কে?
খ) ও কাকে এনেছে?
গ) ‘আহিংকে’ শব্দের প্রকৃত অর্থ কি
ঘ) কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
ঙ) তার ভাতের ‘আহিংকে’ এতখানি কেন?
চ) ভাতের প্রতি তার কিরূপ আহিংকের প্রকাশ ঘটেছে?

১৩) “নামতে পারলে বাছা? চালগুলো তো বের করে দেবে?”

ক) কে, কাকে, কোথা থেকে নামার কথা বলেছেন?
খ) ‘চালগুলো’র বিবরণ দাও।

১৪) “চোখ ঠিকড়ে বেরিয়ে আসে তার”

ক) কার চোখ, কেন ঠিকরে বেরিয়ে আসে?
খ) চোখ ঠিকরে আসার তাৎপর্য কী?

১৫) “পিসিমা দেখতে পেলে সব্বনাশ হবে।”

ক) এ কথা কে কাকে বলেছে?
খ) পিসিমা দেখতে পেলে সব্বনাশ হবে কেন?

১৬) “কপালটা মন্দ তার। বড়ই মন্দ।”

ক) ‘তার' বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে?
খ) তার কপাল মন্দ কেন?

১৭) “কিন্তু এমন দুর্যোগে ভগবানও কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমোন বোধ করি।”

ক) ‘এমন দুর্যোগ’ বলতে কোন দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে?
খ) দুর্যোগের বর্ণনা দাও
গ) বক্তার কেন মনে হয়েছে ভগবান এমন দুর্যোগে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমান?

১৮) “সকাল হতেই বোঝা গিয়েছিল সর্বনাশের বহরখানা।”

ক) কার সর্বনাশের কথা বলা হয়েছে?
খ) সর্বনাশের বহরখানার পরিচয় দাও।

১৯) “যা আর নেই, যা ঝড়-জল-মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল।” — ২০১৭

ক) উচ্ছব কে?
খ) সে পাগল হয়েছিল কেন?
গ) দুর্যক্তির বর্ণনা দাও।
ঘ) দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?

২০)  “এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে”

ক) কোন গল্পের কথা বলা হয়েছে?
খ) গল্প মনে হওয়ার পর উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কি করেছিল?
গ) তারপর কী ঘটেছিল?

২১) “উচ্ছবের হঠাৎ মনে হয় কলকাতা গিয়ে খেয়ে মেখে আসি।”

ক) উচ্ছব কে? তার পরিচয় দাও।
খ) উৎসবের হঠাৎ এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?
গ) উৎসবের আশা কতটা পূরন হয়েছিল?

২২) “লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে

ক) লক্ষ্মী কে?
খ) আসতে না আসতে সে ভাসান যাচ্ছে কেন?
খ) উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

২৩) “তা দেখে উৎসব মাথায় হাত দিয়েছিল”

ক) কি দেখে উৎসব মাথায় হাত দিয়েছিল?
খ) মাথায় হাত দেওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।

২৩/১) “তারপরই মনে পড়ে যে রাতে ঝড় হয়।”

ক) কোন্ কথার পরে কার ঝড়ের রাতের কথা মনে পড়ে?
খ) কোন্ কোন্ কথা এ প্রসঙ্গে তার মনে পড়ে?

২৪) “ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড় উতলা করে।”

ক) ‘তাকে’ বলতে এখানে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?
খ) এই গন্ধ তাকে কেন উতলা করে?
গ) ভাতের প্রতি অত্যধিক আসক্তি তার জীবনে কী পরিনতি ডেকে এনেছিল?

২৪/১) “সেই সন্ধেয় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।”

ক) ‘সে’ কে?
খ) কোন্ সন্ধেয় সে পেট ভরে খেয়েছিল?
গ) সেই দিনটায় কী ঘটেছিল?

২৫) “গরিবের গতর এরা সস্তা দেখে

ক) বক্তা কে?
খ) সে কাদের সম্পর্কে এই মন্তব্য টি করেছে?
গ) এ বক্তব্যের কারণ কী?
অথবা, মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

২৫/১) “তুমি কী বুঝবে সতীশবাবু!”

ক) সতীশবাবু কে?
খ) তিনি কী বুঝবে না?
গ) সতীশবাবু উৎসবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল?

২৬) “এ হলো ভগবানের মার।”

ক) কে, কাকে একথা বলেছিল?
খ) পরিপ্রেক্ষিতটি কী তা বুঝিয়ে লেখো।

২৭) “সেই আশাতেই প্রেত উচ্ছব মানুষ হয়ে গেল নাকি?

ক) উচ্ছব কে?
খ) উক্তিটির প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
গ) প্রেত উচ্ছবের মানুষ হয়ে যাবার বিষয়টি আলোচনা করো।

২৮) “সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে” — ২০২০

ক) ‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
খ) ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন?
গ) সে কে?
ঘ) বুঝতে পেরে সে কি করেছিল?

২৯) “উৎসবের মাথায় এখন বুদ্ধিস্থির, সে জানে সে কি করবে।”

ক) উচ্ছব কীভাবে কোন্ বুদ্ধি স্থির করে নেয়?
খ) তার পরিণতি কী হয়?
গ) উৎসবের করণীয় কাজের মধ্য দিয়ে যে সমাজ সত্যটি উঠে এসেছে — তা আলোচনা করো।

৩০) “দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতই হিংস্র ভঙ্গি করে।”

ক) কে কার প্রতি এ রূপ আচরণ করেছিল?
খ/ তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো

৩১) “ভাতে হাত ঢুকিয়ে দিতে সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে

ক) কে কীভাবে এই ভাত জোগাড় করেছিল?
অথবা, কে কিভাবে এই অভিজ্ঞতা লাভ করে?
খ) তার এই অনুভূতির কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য লেখো।

৩২) বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।" — ২০১৬

ক) ‘বাদা’ কাকে বলে?
খ) এখানে কোন্ বাদার কথা বলা হয়েছে?
গ) ‘আসল বাদা’ বলতে কোন্ বাদার কথা বলা হয়েছে?
ঘ) উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?

৩৩) “আসল বাদাটা খোঁজ করা হয় না আর

ক) উচ্ছব কে?
খ) সে কোন্ বাদার খোঁজ করতে চেয়েছিল?
অথবা, আসল বাদা কোনটি?
গ) কেন তার পক্ষে সেই বাদাটি খোঁজ করা হয়ে উঠল না
অথবা, তা আর উৎসবের খোঁজ করা হয় না কেন?
অথবা, উৎসব ‘আসল বাদা’ খুঁজতে যেতে পারে না কেন?
ঘ) আসল বাঁধা কোথায় কীভাবে থেকে যায়?
ঙ) উচ্ছবের এই অসমাপ্ত অনুসন্ধানের কারণ ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

৩৪) “সে বাদাটা বড় বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে।”

ক) বাদা কাকে বলে? 
খ) তা বড় বাড়িতে অচল থেকে যায় কেন?
গ) অচল হয়ে থাকার অর্থটি বুঝিয়ে দাও।

৩৪) “মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়।”

ক) উচ্ছোব কে?
খ) খ) ওরা কারা?
গ) কারা কেন তাকে থানায় নিয়ে যায়?

--------xx---------


📢 দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অন্যান্য গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর পেতে :

  এখানে ক্লিক করো 👉  গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর 




মন্তব্যসমূহ

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি - সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রবন্ধ রচনা : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভূমিকা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত একাধারে একজন মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। শিক্ষাজীবন : মধুসূদন দত্ত শিক্ষা গ্রহণ পর্ব শুরু হয় মায়ের তত্ত্বাবধানে সাগরদাঁড়ির পাঠশালায়। পরে সাত বছর বয়সে কলকাতা আসেন এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন।  এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তী জীবনে স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কলেজের পরীক্ষায় তিনি বরাবর বৃত্তি পেতেন। এ সময় নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিলেত যাওয়ার। তাঁর ধারণা ছিল বিলেতে যেতে পারলেই বড় কবি হওয়া যাবে।  এই উদ্দেশ্যেই ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি খ্রিস্ট...

বাংলা বই : দ্বাদশ শ্রেণি । প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলা বই - দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চমাধ্যমিক 'বাংলা বই'য়ে👨তোমাকে স্বাগত 💁 তোমার প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরটি পেতে ওপরের মেনু বারের বিষয় মেনুতে ক্লিক করো । গল্পের প্রশ্ন চাইলে ‘ গল্পের  প্রশ্ন’  ট্যাবে , কবিতার প্রশ্ন চাইলে ‘ কবিতার প্রশ্ন’ ট্যাবে ক্লিক করো ।  এভাবে প্রয়োজনীয় বিষয়ের  ট্যাবে  ক্লিক করে প্রশ্নের পাতায় যাও। সেখানে দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশ্ন ও উত্তর খোঁজ। অথবা নিচের প্রয়োজনীয় লিঙ্কে ক্লিক করো। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো। ১)  দ্বাদশ শ্রেণির গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ২)  দ্বাদশ শ্রেণির কবিতা 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৩)  দ্বাদশ শ্রেণির নাটক 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৪)  আন্তরজাতিক কবিতা ও ভারতীয় গল্প 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৫)  দ্বাদশ শ্রেণির পূর্নাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ  👉  প্রশ্ন ও উত্তর ৬)  দ্বাদশ শ্রেণির শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস 👉   প্রশ্ন ও উত্তর ৭)  দ্বাদশ শ্রেণির ভাষা বিভাগ 👉   প্রশ্ন ও উত্তর   ৮)  দ্বাদ...

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ

ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিছিন্নতাবাদ নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান্ — অতুল প্রসাদ সেন  ভূমিকা : জাতীয় সংহতি হল একটি দেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি সাধারণ পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা। এর অর্থ হল, আমাদের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও, আমরা এই সত্যকে স্বীকার করি যে, আমরা সবাই এক। এটি কেবল একটি জাতীয় অনুভূতি নয়, এটা সেই চেতনা যা সমস্ত উপভাষা ও বিশ্বাসের মানুষকে একই প্রচেষ্টায় একত্রিত করে। জাতীয় একীকরণের সংজ্ঞা: ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণ বলেছেন, national integration cannot be made by bricks and mortar, mould and hammer, but it quietly grows in people’s minds through education.1️⃣ এইচ এ গণি সংজ্ঞায়িত করেছেন, “National integration is a socio-psychological and educational process through which a feeling of unity and harmony develops in the hearts of the people and a sense of common citizenship or feeling of loyalty to the nation is fostered among them”2️⃣ এককথায়, জাতীয় সংহতির ধারণার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্ত্...

বাংলার ঋতুরঙ্গ বা বাংলা ঋতু বৈচিত্র্য

 বাংলার ঋতুরঙ্গ বা ঋতু বৈচিত্র্য বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। — জীবনানন্দ দাস ভূমিকা : ঋতুবৈচিত্র্যের বর্ণিল উপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিপূর্ণ। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই বাংলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যময় ঋতুরূপ। ভিন্ন ভিন্ন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতু ঘুরে ফিরে আসে এই বাংলায়। প্রতিটি ঋতুই স্বতন্ত্র সৌন্দর্যে অপরূপা। বাংলা প্রকৃতির এই অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়ে জীবনানন্দ দাশ একে ‘ রূপসী বাংলা ’ বলে অভিহিত করেছেন। ঋতু বৈচিত্রের কারণ : বাংলাদেশ  কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থিত। এখানকার আবহাওয়াতে তাই নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। এখানেই রয়েছে বাংলার ঋতু বৈচিত্রের মূল চাবিকাঠি।  নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত এখানে হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হয় প্রচুর বৃষ্টিপাত। ছয় ঋতুর ‘রূপসী বাংলা’ : বাংলার এই ছটি ঋতু যেন বিনি সুতোয় গাঁথা মালার মতো। এই মেলায় পর পর গাঁথা আছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও ঋতুরাজ বসন্ত। প্রতি ...

কবিতা 'মহুয়ার দেশ' - কবি সমর সেন

কবিতা : মহুয়ার দেশ কবিতা : 'মহুয়ার দেশ কবি : সমর সেন ১ মাঝে মাঝে সন্ধার জলস্রোতে পলাশ সূর্য দেয় এঁকে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ, আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়। সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো। অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ, সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য, আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল নামুক মহুয়ার গন্ধ।                                             ২                                             এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে                                    ...

রচনা : মৃণাল সেন

প্রবন্ধ রচনা : মৃণাল সেন ভূমিকা : মৃণাল সেন ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারিত হতো তার নামও। জন্ম ও শিক্ষাজীবন :  মৃণাল সেন ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম । এখানেই তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। এর পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাথমিক কর্ম :  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি সাংবাদিকতা, ওষুধ বিপণনকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। চল্লিশের দশকে মৃণাল সেন ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর চলচ্চিত্রে শব্দকুশলী হিসেবেও কাজ শুরু করেন। রাজনৈতিক দর্শন :  আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী মৃণাল সেন দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হন। ছবি পরিচালনা : বাংলা, ওড়ইয়আ, হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি বহুভাষিক চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি...

প্রবন্ধ : ভগিনী নিবেদিতা

ভগিনী নিবেদিতা ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ভগিনী নিবেদিতার নাম। পৈত্রিক সূত্রে তিনি ছিলেন স্কচ। আধুনিক ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ও ধর্মনেতা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারতবর্ষে আসেন। ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা নেন। ভারতে সমাজ সেবা ও নারী শিক্ষার প্রসারেও নিবেদিতার ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও বংশ পরিচয় : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল ছিলেন ধর্মযাজক। মায়ের নাম মেরি ইসাবেলা। মাত্র দশ বছর বয়সে মার্গারেটের বাবা মারা যান। তারপর তাঁর দাদামশাই তথা আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হ্যামিলটন তাঁকে লালনপালন করেন। শিক্ষাজীবন : মার্গারেট লন্ডনের চার্চ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর হ্যালিফ্যাক্স কলেজে তিনি ও তাঁর বোন মেরি পড়াশোনা করেছিলেন। কর্মজীবন : ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে, সতেরো বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে মার্গারেট শিক্ষিকার পেশা গ্রহণ করেন। দু’বছরের জন্যে কেসউইকের একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ান। এরপরে একে ...

মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ

মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় এর চরিত্র আলোচনা কর মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ 👉 ভূমিকা : সমাজ সচেতন কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্প ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’। ১৯৪৩ সালের ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে তিনি রচনা করেছেন এই গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দিয়ে এঁকেছেন একের পর এক দৃশ্যপট। এই দৃশ্যপটগুলো বিশ্লেষণ করলেই ধরা পড়ে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ। 👉  মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র 👉 মানব দরদী মন : শহর কলকাতায় অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎই একদিন মৃত্যুঞ্জয় ‘অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য’ প্রত্যক্ষ করে। মানুষের এই মৃত্যুবরণ তার দরদি মনের গভীরে তৈরি করে অপূরণীয় ক্ষত। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। 👉 পরোপকারী ইচ্ছা শক্তি : এদিকে, কীভাবে এই মৃত্যুকে প্রতিরোধ করা যাবে, সেই ভাবনায় তার হৃদয়মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে, খাওয়া-ঘুম ছুটে যায়। সিদ্ধান্ত নেয়, নিজের সর্বস্ব দিয়ে এই মৃত্যুর বিরুদ্ধে সে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। 👉 আবেগপ্রবণ : মৃত্যুঞ্জয়ের মন...

ছোটগল্প হিসেবে 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটির সার্থকতা বিচার

ছোটগল্প হিসেবে 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটির সার্থকতা বিচার : ছোটগল্প হিসাবে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ কতটা সার্থক ছোটগল্প হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটি কতটা সার্থক হয়েছে আলোচনা করো। ছোটগল্প হিসাবে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ কতটা সার্থক 👉 ভূমিকা : ছোটো প্রাণ, ছোটো ব্যথা, ছোটো ছোটো দুঃখকথা নিতান্ত সহজ সরল, ........ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ। কথাগুলো বলেছিলেন বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । কবিতার ছন্দে বলা এই অংশতেই রয়েছে সার্থক ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যে র যথাযথ বিবরণ। এডগার অ্যালান পো -এর মতে, যে গল্প অর্ধ থেকে এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করা যায়, তাকে ছোটগল্প বলে। ছোটগল্পে জীবনের সামগ্রিক দিকটি উপন্যাসের মতো বিস্তারিতভাবে বর্ণিত না হয়ে, তার খণ্ডাংশ নিয়ে পরিবেশিত হয়। এজন্য ছোটগল্প যথাসম্ভব বাহুল্যবর্জিত, রসঘন ও নিবিড় হয়ে থাকে। সংগত কারণেই এতে চরিত্রের সংখ্যা হয় খুবই সীমিত। ছোটগল্পের প্রারম্ভ ও প্রাক্কাল সাধারণত এবং খানিকটা নাটকীয়ভাবেই শুরু হয়। 👉   ছোটগল্পের বৈশ...

কবিতা : ‘আমি দেখি’ : শক্তি চট্টোপাধ্যায়

 কবিতা : ‘আমি দেখি’ কবিতা : ‘আমি দেখি’ : শক্তি চট্টোপাধ্যায় কবি : শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘Aami Dekhi’ - a Poetry, written by Sakti Chattopadhyay  গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও আমার দরকার শুধু গাছ দেখা গাছ দেখে যাওয়া গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরবদের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন বহুদিন জঙ্গলে যাইনি বহুদিন শহরেই আছি শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে...                               তাই বলি, গাছ তুলে আনো                               বাগানে বসাও আমি দেখি                               চোখ তো সবুজ চায়!                               দেহ চায় সবুজ বাগান                             ...